Pages

Saturday, August 6, 2016

দার্জিলিং গিয়ে যে ৯টি জায়গায় না-খেলেই নয়। সঙ্গে রইল খরচের আন্দাজও

http://banglanews2010.blogspot.com/
দার্জিলিং‌ যাচ্ছেন? এই মরসুমে বা পুজোয় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন? রইল দার্জিলিংয়ে দুর্দান্ত ৯টি খাবারের জায়গার সন্ধান। ট্রাই করে দেখতেই পারেন।
দার্জিলিং কি শুধুই বেড়ানোর জায়গা? যাঁরা বলেন, তাঁরা অর্ধসত্য বলেন। বাকি অর্ধেকটা জু়ড়ে রয়েছে খাবার। যাঁরা খাদ্যরসিক এবং যাঁরা পেটুক, তাঁদের জন্য রইল এমন কয়েকটি খাবারের জায়গার সন্ধান, যেখানে গেলে গ্যারান্টি দিয়ে আপনার পেট তো ভরবেই, তার থেকেও বড় কথা, মন ভরবে। মন আর পেট যুগপৎ না ভরলে কি আর খাওয়া হল?
১. কেভেন্টার্স: আলাদা করে কিছু বলার নেই। কফি, হট চকোলেট তো খাবেনই। সঙ্গে নিন এঁদের বিখ্যাত সসেজ-সালামির প্লেট। চিকেন বা পর্ক, যেটা খুশি। বাজি ফেলে বলা যায়, এমন স্বাদ চট করে কোথাও পাবেন না। এখানে কোনও খাবারই ২৫০ টাকার বেশি নয়।
২. কুংগা: কেভেন্টার্সের কোণাকুনি উল্টোদিকে কুংগা রেস্তোরাঁ। আয়তনে ছোট্ট। কিন্তু সাজানো-গোছানো ব্যাপারটা বেশ নজর কাড়বে। এখানকার টিবেটান ফুড একবার চেখে দেখুন। কচি বাঁশের শিকড় দিয়ে চিকেনের প্রিপারেশন! ভাবা যায়! মোটামুটি ৫০০ টাকায় ভরপেট খাওয়া হয়ে যাবে দু’জনের।
৩. গ্লেনারিজ: ম্যালে উঠতেই বাঁ-হাতে পড়বে এই বেকারি। কেক-পেস্ট্রির এমন স্বাদ সাধারণত জিভে পড়ে না। দু’জনের স্ন্যাকস-এর খরচ কমবেশি ২০০ টাকা।

৪. জোয়েস পাব: ১৯৪৮ থেকে চলে আসছে। এই ছোট্ট পাবে মিলবে ব্রিটিশ আমলের মেজাজ। এখানে দু’দণ্ড বসে দু’পেগ পছন্দের পানীয়ের সঙ্গে অনবদ্য সাইড ডিশ। পানীয় এবং আহার মিলিয়ে দু’জনের আনুমানিক খরচ ১,২০০ টাকা।
৫. হেস্টি-টেস্টি: যাঁরা নিরামিষ পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য রইল এই ঠিকানা। দক্ষিণ ভারতীয় থেকে শুরু করে উত্তর, সবরকম খাবার পাওয়া যায়। দু’জনের লাঞ্চে আনুমানিক খরচ ৩০০ টাকা।
৬. টয়ট্রেনের লাইনের ধারে ছোট্ট দোকান: চলে আসুন একবার। ছোট্ট দোকানে গরম, ধোঁয়া ওঠা ন্যুড্‌লস স্যুপে চিকেন বা সবজি। একবার চেখে দেখলে সহজে ভুলবেন না। আনুমানিক খরচ দু’জনের ১০০ টাকা।
৭. শহরে রাস্তার ধারের দোকান: এখানে খেতে হবে মোমো। ঘরে তৈরি স্টিম্‌ড চিকেন মোমোর স্বাদ ভোলার নয়। বড় দোকানও হার মানবে। দু’জনের আনুমানিক খরচ ৫০ টাকা।
৮. মিরিক রোড: মিরিক যাওয়ার পথে পশুপতি মার্কেটের কাছে ছোট্ট চায়ের দোকানে বসে ভেজ পকোড়া বা টিকিয়া এবং চা। দু’জনের আনুমানিক খরচ ৫০ টাকা।
৯. ম্যাল রোড: ম্যাল রোড ধরে মহাকাল মন্দিরের গা ঘেঁষে নিরিবিলি পথে মেঘ-কুয়াশা চিরে এগিয়ে যান। রাস্তা যেখানে বাঁ-দিকে বাঁক নিয়েছে, সেখানে পাবেন চা এবং মুড়ি (সঙ্গে আলু-মটরের ঝোল-ঝোল লালচে তরকারি)। এটা মিস করবেন না। পথের ধারে বসে থাকা বৃদ্ধার হাতে এটা খেয়ে দেখুন। দু’জনের আনুমানিক খরচ ৩০ টাকা।

0 comments:

Post a Comment

 
Blogger Templates