Pages

Sunday, July 31, 2016

আজ বাদে কাল বিয়ে? এই ১০টি খাবার খাবেন না

http://banglanews2010.blogspot.com/
১) কোনও রকম সোডা জাতীয় ড্রিংক খাবেন না। সফট ড্রিংক একেবারেই এড়িয়ে চলুন। সুইট লাইম সোডাও বাদ দেওয়াই ভাল। এমনি ঘরে তৈরি সরবত খান পরিবর্তে।
২) যদি চিউয়িং গাম খাওয়ার অভ্যাস থাকে তবে এই ক’দিন সেই ইচ্ছে দমন করুন। এতে মুখশুদ্ধির চেয়ে পেটে হাওয়া ঢোকে বেশি।
৩) বলাই বাহুল্য এই সময়ে অ্যালকোহল সেবন ঠিক নয়। ওয়াইন, শ্যাম্পেন বা ব্রিজারও না খাওয়াই ভাল।
৪) বিয়ের দিন বা বিয়ের আগের দিন ড্রাই ফ্রুটস যতটা পারবেন কম খাবেন। এগুলি বেশি খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়।
৫) ফুলকপি বা ব্রকোলি জাতীয় সবজি না খাওয়াই ভাল। বরং বেশি করে খান সেলেরি, শশা ইত্যাদি।
৬) চিজ এবং পোট্যাটো চিপস এই সময়ে খাবেন না। এগুলিও শরীর থেকে জল টেনে নেয় খুব বেশি করে। এতে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা তা থাকেই, সঙ্গে মুখও শুকিয়ে যায়।






৭) বিয়ের দিন উপোস করে প্রচুর বার চা খান অনেকে। এই অভ্যাসটি মারাত্মক। এই অভ্যাসের জন্যই অনেকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগেই অজ্ঞান হয়ে যান।
৮) খুচরো খিদের জন্য যখন-তখন বাদাম খান? তবে বিয়ের দিন এই অভ্যাসটি ত্যাগ করুন।
৯) দুধ এবং মিল্ক-শেক জাতীয় কোনও ড্রিংক এই সময় না খাওয়াই ভাল। এমনিতেই বিয়ের দিন সবাই হালকা টেনশনে থাকেন। এই খাবারগুলি হজম হতে অসুবিধা হয়।
১০) ভাজাভুজি, তেলমশলা জাতীয় খাবার একেবারেই বর্জন করুন। সে সব আস্বাদ তুলে রাখুন না হয় বউভাতের জন্য।

Saturday, July 30, 2016

চায়ের মধ্যে দুধ মেশানো ভালো না খারাপ?

http://banglanews2010.blogspot.com/
আপনি যদি চা পছন্দ করে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আনন্দ পাওয়ার জন্য বা ভালো লাগার জন্যই খান, এর স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা চিন্তা করে নিশ্চয়ই খাওয়া হয় না? বিশ্বে দুই বিলিয়ন মানুষ চা পান করে। অনেকেরই চায়ের সাথে দুধ মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস আছে। এতে স্বাদ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, চায়ের সাথে কয়েক ফোঁটা দুধ মিশ্রিত করলে চায়ের গুণাগুণ নষ্ট হয়। ভাবছেন নিশ্চয়ই এটা কীভাবে সম্ভব? আসুন তাহলে জেনে নেই চায়ের সাথে দুধ মেশালে কী হয়?



চায়ে এমন অনেক সক্রিয় উপাদান আছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব বিস্তার করে। চায়ে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন থাকে। চা ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করে, রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে, কোষের ক্ষতি কমায় এবং কারডিওভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধ করে। কিন্তু চায়ের মধ্যে দুধ মিশ্রিত করলে ভাস্কুলার সিস্টেম এর উপর উপকারী প্রভাব দূর হয়ে যায়।
১৬ জন মহিলার উপর একটি ছোট গবেষণা করা হয়। যেখানে তাঁদের ব্ল্যাক টি, দুধ চা এবং গরম পানি পানের প্রভাব পরীক্ষা করা হয়। বিজ্ঞানীরা মহিলাদের ডান হাতের ব্রাকিয়াল ধমনী চা পানের ২ ঘন্টা পরে পরীক্ষা করে দেখেন যে, ব্ল্যাক টি পান করার ফলে রক্ত নালীর প্রসারণ হয়। এই গবেষণার নেতৃত্ব দানকারী প্রধান লেখক ও আণবিক জীববিজ্ঞানী Mario Lorenz বলেন যে, “আমরা দেখতে পেলাম … চায়ের সাথে দুধ মিশ্রিত করার ফলে এর জৈবিক প্রভাব পুরোপুরি প্রতিহত হয়”।
চায়ে উপস্থিত ফ্লেভনয়েডকে ক্যাটেচিন বলে যা হার্টের জন্য উপকারী। দুধের প্রোটিন ক্যাসেইন ক্যাটেচিনকে সংহত হতে বাঁধা দেয়।
২০০২ সালে United States এর হিউম্যান নিউট্রিশন রিসার্চ সেন্টারের একটি গবেষণায় পাওয়া যায় যে, এক কাপ চায়ে ৫০ গ্রাম দুধ মেশানো হলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা ৯০% কমিয়ে দেয়। যখন চায়ের ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যায় তখন শরীরের ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষমতাও কমে যায়।


২০০৬ সালের জার্মানির একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, চায়ের মধ্যে দুধ মেশালে ব্ল্যাক টি এর হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ব্ল্যাক টি ধমনীকে শিথিল ও প্রসস্থ করে এবং রক্তচাপ স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রাখে।
তারপর ও যদি চায়ের সাথে দুধ মিশিয়ে খেতে চান তাহলে সয়া দুধ খাওয়ার চেষ্টা করুন। সয়া দুধে লেসিথিন থাকে যা ক্যাসেইন থেকে ভিন্ন ধরণের এবং চায়ের ক্যাটেচিনকে আবদ্ধ করে ফেলেনা।

যে ৫ টি কারণে পরিবারের মেজো সন্তানেরা সবার চাইতে আলাদা

http://banglanews2010.blogspot.com/
পরিবারের মেজো সন্তানকে নিয়ে অনেক সময় বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তার সীমা থাকে না। কারণ বেশীরভাগ সময়ই পরিবারের মেজো সন্তানকে হতে দেখা যায় স্বাধীনচেতা, আত্মনির্ভরশীল এবং একেবারে আলাদা মনমানসিকতার মানুষ। কিন্তু সত্যিকার অর্থে পরিবারের মেজো সন্তানটি হয়ে থাকে সবচাইতে ভালো মনের মানুষ।
পরিবারের বড় সন্তানেরা অনেক বেশি আত্মত্যাগী ও ছোটরা উড়নচণ্ডী ধরণের হয়ে থাকে বলেন অনেকেই। কিন্তু মেজোজনের বৈশিষ্ট্য কিন্তু সহজে চোখে পড়ে না। তারা কতোটা চিন্তা করে চলেও তাও অনেকে বুঝতে পারে না। আর তাদের এই ধরণের চিন্তাই তাদের করে তোলে একেবারে আলাদা ও ভালো মানসিকতার।
১) মেজো ছেলেমেয়েরা সম্পর্কের মূল্য অনেক বেশি ভালো বুঝে থাকেন
বড় এবং ছোটদের সাথে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তাদের সাথে কীভাবে চললে সম্পর্ক অনেক বেশি ভালো থাকে তা মেজোরাই ভালো বুঝে থাকেন। কারণ তিনি তার বড় ভাই-বোনের কোনো ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে থাকলে নিজের ছোটোজনের সাথে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তা বুঝে যান। এবং তিনি নিজের বড় কারো সাথে যেভাবে ব্যবহার করবেন সেটাই তিনি তার ছোটজনের কাছ থেকে ফিরে পাবেন ভেবে তাও নিজে থেকেই শিখে নেন। এই দুটি বিষয় কিন্তু পরিবারের বড় এবং ছোটো সন্তানেরা এভাবে ভাবতে পারে না।
২) আত্মনির্ভরশীল মানুষ হয়ে গড়ে উঠেন বাবা-মায়ের মেজো সন্তান
বড় সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের আলাদা একধরণের টান থাকেই কারণ তিনি প্রথম সন্তান। এবং ছোটো সন্তান পরিবারের সকলের আদরের সন্তান হিসেবেই মানুষ হয়ে থাকেন। কিন্তু সত্যি বলতে কি, বাবা-মা সন্তানদের মধ্যে পার্থক্য না করলেও বড় ও ছোটো সন্তানকে যেভাবে সময় দিয়ে থাকেন তা মেজো সন্তানকে দিতে পারেন না অনেক সময়েই। আর সে কারণেই পরিবারের মেজো সন্তানেরা অনেক বেশি আত্মনির্ভরশীল হয়ে গড়ে উঠে।



৩) সবার সাথে সহজে মিশতে পারার ভালো গুনটি থাকে মেজো সন্তানদের মধ্যেই
বুঝতে পারার বয়স থেকে বড় ও ছোটো ভাইবোনের সাথে কীভাবে মিশতে হবে তা সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই শিখে নেন মেজোজন। আর সে কারণেই ছোটোবড় সকলের সাথেই বেশ ভালো করে মিশতে পারার একটি গুণ তৈরি হয়ে যায়, যা পরিবারের বড় ও ছোটো সন্তানের মধ্যে খুব বেশি দেখা যায় না। একারণে আত্মীয়স্বজন থেকে সকলেই মেজো সন্তানটিকে বেশ পছন্দ করে ফেলেন।
৪) ছোটো-বড় সকলকেই সঠিক মূল্যায়নে পরিচালনা করতে পারেন মেজোরাই
কাকে কি বলে, কীভাবে চালানো সম্ভব এই গুণটিও পরিবারের বড় ও ছোটো ভাইবোনের মধ্যে থাকতে থাকতে রপ্ত হয়ে যায় পরিবারের মেজো সন্তানের। এতে করে বাইরের জগতেও কার সাথে কীভাবে কথা বলে তাকে পরিচালনা করা সম্ভব তা তৈরি হয় নিজে থেকেই।
৫) মেজো সন্তানেরা অনেক বেশি সৃজনশীল হয়ে থাকেন
বড় ও ছোটো সন্তানদের তুলনায় মেজো সন্তানটি অনেক বেশি সৃজনশীল হয়ে থাকেন। তাদের চিন্তাভাবনা অন্য সকলের থেকে একটু আলাদা প্রকৃতির হয়ে থাকে। দেখা যায় বড় বা ছোটো ভাই বোন স্বাভাবিক নিয়মে জীবন যাপন করে বেশ বড় স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়ে কাজ করছেন কিন্তু মেজোজন নিজের সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দিয়ে নিজের নিয়মে চলছেন। অবশ্য একারণে বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তা কারণ হতে দেখা যায় পরিবারের মেজো সন্তানকে।

মাত্র দুটো জিনিসেই পুরুষের জন্য পাগল মেয়েরা

http://banglanews2010.blogspot.com/
রূপসী মেয়েদের জন্য যেমন পাগল পুরুষরা ঠিক তেমনি পুরুষদের জন্যও পাগল মেয়েরাও।  তবে মাত্র দুটো জিনিস চাই।  দুটো জিনিসের একটি ঘাটতি হলে কিন্তু মহাবিপদ।  সেজন্য আগেভাগেই মাথায় রাখতে হবে পুরুষদের।

একজন নারী তার স্বামীর সংসারে এসে দুটো জিনিসে সবথেকে বেশি খুশি হয়। প্রথমত স্বামীর
ভালো অর্থনৈতিক অবস্থা দেখলে, দ্বিতীয়ত স্বামীর কাছ থেকে পাওয়া ভালবাসায়।
তবে প্রথমটার থেকে দ্বিতীয়টাই মহিলাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।  প্রত্যেক স্বামীরও উচিত নিজের স্ত্রীকে পরিপূর্ণ সুখ দেয়া।  অনেক পুরুষ জ্ঞানের অভাবে স্ত্রীকে এ দুটো জিনিস দিতে পারে না।  ফলে যা হবার তাই হয়।
তবে এ জন্য মাথা খারাপ করলে চলবে না।  জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে পুরুষকে।  দাম্পত্য জীবনে সুখি হতে চাইলে দুটি জিনিসে ঘাটতি রাখা যাবে না।  এ জন্য পুরুষদের হিসাব কষে এগুতে হবে।  কোনো অবস্থাতেই এ দুটো দুর্বলতা নিয়ে রূপসীর প্রেমে পড়বেন না।  তাহলে কিন্তু কেল্লা ফতে।

পুরুষের তুলনায় নারীরা কেন বেশিদিন বাঁচে?

http://banglanews2010.blogspot.com/
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দাম্পত্য জীবনের শেষ দিকে অধিকাংশ নারীকেই একা থাকতে হয়। প্রকৃতির নিয়ম মেনে যুগের পর যুগ নারীরা যেন তাদের সঙ্গী হারিয়ে বিধবা জীবন পার করছেন। অপরদিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই মাত্রাটা উল্লেখযোগ্যহারে কম দেখা যায়। কারণ হিসেবে দেখা গেছে, পুরুষরা নারীকে একা করে আগেভাগেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। এই প্রবণতা শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও রয়েছে সমান হারে।



ব্রিটেনে ইউনিভার্সিটি অব এক্সিটার এর এক দল গবেষক একটি পরীক্ষা চালান। তারা জানান, যৌনজীবন এবং জাবতীয় কাজের চাপ মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা বেশি নিয়ে থাকেন। তাই নারীর তুলনায় পুরুষের জীবনীশক্তি দ্রুত ক্ষয় হতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সমবয়সী নারী সঙ্গীর চেয়ে পুরুষ সঙ্গী দ্রুত মারা যান।
এই তথ্যের প্রমাণ হিসেবে তারা একটি গবেষণামূলক পরীক্ষার ফলাফল ‘ফাউন্ডেশন ইকোলজি’ নামক জার্নালে প্রকাশ করেন। সেখানে তারা মাছির ওপর একটি পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন। কম বয়সে স্ত্রী প্রজাতির মাছির সঙ্গে জোরপূর্বক মিলিত হওয়ার কারণে পুরুষ মাছিদের জীবনকাল কমে আসে। এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা নারী মাছির বেশি বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকার কারণ খুঁজে পেয়েছেন।
গবেষক দলের প্রধান ডেভিড হোসকেন বলেন, যৌনকর্মে পুরুষকে নিতে হয় প্রধান ভূমিকা। দৈনন্দিন জীবনে ঝুঁকিপূর্ন এবং কায়িক পরিশ্রমের কাজও বেশি করতে হয় পুরুষকে। নানা পরীক্ষায় বহু প্রাণীর পুরুষ প্রজাতির মধ্যে দেখা গেছে একই প্রবণতা। তাদের যৌনজীবনের সঙ্গে বেঁচে থাকার সময়ের গভীর যোগসূত্র রয়েছে। আর এই প্রাণীদের মধ্যে মানুষ অন্যতম। তাই পুরুষের জীবনীশক্তি নারীর আগেই ফুরিয়ে যেতে দেখা যায়।
গবেষণায় বলা হয়, যৌনতার ক্ষেত্রে স্ত্রীকে দখলের প্রতিযোগিতা এবং প্রয়োজন পূরণ পুরুষ প্রজাতির মাছিদের সহজাত প্রবণতা। আবার প্রকৃতিতে বেঁচে থাকার লড়াই করে তারাই। এ দুটো বিষয়কে নিয়ে বেঁচে থাকতে দারুণ চাপের মুখে থাকতে হয় পুরুষদের। বিপরীত দিক থেকে হিসেব করলে দুটো বিষয়ই মানব জাতির পুরুষদের ওপরও বেশি প্রভাব ফেলে। আর এতেই পুরুষের জীবনকাল এক-তৃতীয়াংশ কমে যায়।
ডেভিড হোসকেন আরও জানান, যৌনকর্মে যে মাছি দম্পত্তি সমান অংশীদার থাকে তাদের জীবনকালও প্রায় সমান থাকে। এ ধরনের প্রভাব মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য বলে জানান গবেষকরা।

কলার খোসার ব্যবহারে সমাধান হবে ব্রণ, দাঁত, আঁচিল সহ ৭টি সমস্যার

http://banglanews2010.blogspot.com/
আমরা অনেকেই হয়তো জানি না কলার খোসার কত গুন রয়েছে৷ অধিকাংশ সময়ই আমরা কলার খোসা ফেলে দিই ডাস্টবিনে৷ অবিশ্বাস্য হলেও একথা এখন প্রমাণিত যে কলার খোসাতেই হতে পারে নানাবিধ সমস্যার সমাধান৷ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন আপনি এই খোসাকে।
সকলের কাছে কলা অধিক রক্তচাপ ও হৃদরোগের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল হিসেবে পরিচিত হলেও এর খোসাতেও রয়েছে নানাবিধ উপকার৷
জেনে নিন পাকা এবং কাঁচা কলার খোসার অভিনব কিছু ব্যবহারঃ
১. দাঁত সাদা করতেঃ
দাঁতের হলদে ভাব অনেকেরই সমস্যা ও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ার কারণ হয়ে থাকে। এই সমস্যার সমাধান করতে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। দু’মিনিট ধরে কলার খোসার ভেতরের দিকটা দাঁতে ঘষতে থাকুন । এরপর পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে ফেলুন। মাত্র সাত দিনেই দাঁত হয়ে উঠবে ঝকঝকে সাদা।


২. আঁচিল দূর করতেঃ
অনেকেই শরীরে অতিরিক্ত আঁচিল নিয়ে অনেক বিব্রত থাকেন। কলার খোসা এই আঁচিল দূর করতেও সাহায্য করতে পারে। কলার খোসার ভিতরের অংশ আঁচিলের ওপর রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল শুকিয়ে পড়ে যাবে। তবে সাত দিনের মধ্যে এ পদ্ধতিতে আঁচিল পড়ে না গেলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
৩. ব্রণ দূর করতেঃ
ব্রণকে দ্রুত দূর করতে সাহায্য করে কলার খোসা। কলার খোসার ভিতরের অংশটি দিয়ে ব্রণের উপর ঘষতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন ব্রণ মিলিয়ে গেছে।
৪.মশা বা পোকামাকড়ের কামড়ঃ
মশা বা পোকামাকড়ের কামড়ের ফলে ত্বকে এক ধরনে জ্বালা বা চুলকানি হয়। এই জ্বালা বা চুলকানি থেকে তাৎক্ষণিক রক্ষা পেতে চাইলে কলার খোসার ভিতরের দিক ওই স্থানে ঘষুন। দেখবেন জ্বলুনি বা চুলকানি একদমই কমে গিয়েছে।
৫. জুতো চকচকে করে তুলতেঃ
হাতের কাছে শু পলিস না থাকলে শু পলিসের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। প্রথমে জুতায় ময়লা লেগে থাকলে তা পরিষ্কার করে নিন। এবার পাকা কলার খোসার ভেতরের অংশ দিয়ে জুতোর উপরে ঘষুন অন্তত পাঁচ মিনিট। নিজেই দেখবেন যে চকচকে হয়ে উঠতে শুরু করেছে জুতো। এবার একটি পাতলা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে জুতা জোড়া ভালো করে মুছে নিন।
৬. সিডি বা ডিভিডির স্ক্র্যাচ দূর করতেঃ
সিডি বা ডিভিডিতে কিছুদিনের মধ্যেই স্ক্র্যাচ পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এতে সিডি চলতে চায় না, ডিভিডির ভিডিও আটকে আটকে যায়। এ সমস্যা সমাধান করতে পারে কলার খোসা। কলার খোসার ভিতরের অংশটি দিয়ে সিডি বা ডিভিডিটি ভালো করে ঘষে নিন। দেখবেন স্ক্র্যাচ একেবারেই চলে গিয়েছে। এবং সিডি বা ডিভিডিও চলছে আগের মতোই৷
৭. খাবার হিসেবেঃ
কাঁচা কলা খাওয়া হয় সবজি হিসেবে। এর ফেলা দেয়া খোসাও খাওয়া যায় খাবার হিসেবে। কাঁচা কলার খোসার উপরের আঁশ ফেলে দিয়ে কুচি করে নিন। এরপর এটা ভাঁপিয়ে নিন। এর সাথে শুকনো মরিচ ভাজা, পেঁয়াজ, রসুন ও সরিষার তেল দিয়ে বেটে নিন। হয়ে গেল চমৎকার ভর্তা। চাইলে এর সাথে ছোট চিংড়ি মাছও ভেজে যোগ করতে পারেন।

যত বেশী স্তন দর্শন তত বেশী আয়ু, বলছেন গবেষক!

http://banglanews2010.blogspot.com/
এও আবার হয় নাকি! অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি। অন্তত জার্মান গবেষকদের এমনটাই দাবি। দিনে অন্তত ১০ মিনিট টানা মহিলাদের স্তনের দিকে তাকিয়ে থাকলে নাকি পুরুষদের আয়ু বাড়বে গড়ে পাঁচ বছর! কারণ এ ভাবে তাকিয়ে থাকা নাকি ৩০ মিনিট ওয়ার্কআউটের সমান। সম্প্রতি ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন’-এ প্রকাশ হয়েছে এমনই গবেষণাপত্র। প্রায় ২০০ জন পুরুষের ওপর পাঁচ বছর ধরে চালানো হয়েছে এই গবেষণাটি।
এর মধ্যে ১০০ জনকে মহিলাদের স্তনের দিকে তাকিয়ে থাকতে বলা হয়েছিল। বাকিদের ঠিক উল্টো কাজ করানো হয়। দেখা গিয়েছে, যাঁদের তাকাতে বলা হয়েছিল, তাঁদের রক্তচাপ অনেক কম। হৃৎপিণ্ড অনেক বেশি সচল এবং সুস্থ। ওই গবেষকদের আরও দাবি, নিয়মিত মহিলাদের স্তনের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও অনেকটাই কমে যায়।

যেখানে ভাড়া হয় পুরুষ যৌনকর্মী!

http://banglanews2010.blogspot.com/
কতইনা আশ্চার্য বিষয় ঘটতে থাকে। আজব পৃথিবীর আজব সব মানুষ আমরা। আর আজব আজব আমাদের কাজকারবার। আজ শুনাবো ভিন্ন ধরনের এক তথ্য।
নারী এখন আর কোনো ব্যাপারেই পিছিয়ে নেই। যৌনতার জন্য এতোদিন কেবল পুরুষকে টাকা-পয়সা খরচ করতে দেখা গেছে। কিন্তু এখন নারীরাও উপভোগের জন্য পুরুষ ভাড়া করছে। এক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। তারা পছন্দমতো পুরুষ যৌনকর্মী ভাড়া করে থাকে। ‘উইমেন হু পে ফর সেক্স’ শিরোনামে বিবিসি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের একটি বিলাসবহুল এসকর্ট এজেন্সির মালিক নিকোল। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও তার গ্রাহক। শহর থেকে প্রায় মাইল খানেক দূরে নিকোলের বিলাসবহুল বাংলো বাড়ির ভেতরে কী চলছে সেটা বাইরে থেকে কোনভাবেই বোঝার উপায় নেই। নিকোল বলেন, নারী গ্রাহকরা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে চান।
সাংবাদিক হান্নাহ বারনেসের ফিচারধর্মী এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে এমন অনেক নারী আছেন যারা বার কিংবা নাইটক্লাবে গিয়ে পুরুষ সঙ্গী খোঁজা পছন্দ করেন না। যৌনতার জন্য ‘এসকর্ট এজেন্সি’র (যৌনকর্মী ও গ্রাহকদের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান) সাহায্য নেন। এসব এজেন্সির কাছে ‘এসকর্ট’ চাইলেই তারা নারী গ্রাহকদের কাছে তা পাঠিয়ে দেয়।




ক্যাটরিনা জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার কাছে যৌনতা সবসময়ই একটি বিষাদময় ব্যাপার। কখনো ভাবেননি যে তাকে কখনো একজন পুরুষ যৌনকর্মী খুঁজতে হবে। ক্যাটরিনার সাবেক প্রেমিকরা যৌনতা উপভোগের ক্ষেত্রে তার শারীরিক প্রতিবন্ধীতাকে দায়ী করে তাকে ছেড়ে যান। ধীরে ধীরে তার তখন তার আত্মবিশ্বাস কমতে থাকে। ক্যাটরিনা বলেন, ‘যৌনকর্মী অ্যান্ড্রুর কারণে আমার ভেঙে পড়া আত্মবিশ্বাস ফিরে আসতে শুরু করে। প্রথম বারের পরই আমি দেখলাম যৌনতায় আমি সম্পূর্ণ সক্ষম। আনন্দময় যৌন অভিজ্ঞতা হলো আমার।

Thursday, July 28, 2016

দেহের সৌন্দর্য বাড়ায় ঘাড়ের ব্যায়াম

http://banglanews2010.blogspot.com/
যারা ব্যায়াম করে তাদের ঘাড়ের পেশি বৃদ্ধি হয় না। তখন তাকে পেন্সিল নেক বলে। পেন্সিল নেকের কারণ হচ্ছে, ব্যায়ামের ফলে অন্যসব পেশি বেশি বেড়ে যায় এবং রক্ত চলাচলের পরিমাণ ওই সব পেশিতে বেড়ে যায়, ঘাড়ে রক্ত চলাচল তেমন মাত্রায় বাড়ে না তখন নেক বা ঘাড় চিকন হয়ে যায়। এর ফলে পরবর্তী পর্যায়ে, ৪০ বছরের পর, স্পনডিলাইটিসের  সমস্যা দেখা যায়। ঘাড় দুর্বল হওয়ার ফলে ব্যথা হয়। দেখতেও বাজে লাগে। তাই যারা নিয়মিত ব্যায়াম করে তারা অবশ্যই ঘাড়ের ব্যায়াম করবে।
ব্যায়াম
টেবিল মেশিনে হুকিং দিয়ে গোল করে বেল্ট লাগিয়ে নেবেন। বেল্টটি মাথায় আটকাবেন। এরপর মাথাটা নিচের দিকে নেবেন এবং দৃষ্টি নিচের দিকে দেবেন। এরপর আবার মাথা উঁচু করে ওপর দিকে দৃষ্টি দেবেন। সম্পূর্ণ বিষয়টি কেবল ঘাড়ের পেশি দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করবেন।
এই ব্যায়ামে কখনো শিড়দাড়ার (স্পাইন) ওপর দিকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। কোমর নিচু করে ব্যায়াম করবেন না। ঘাড়ের হাড়ের গঠন বা পেশির গঠন অন্যান্য পেশির মতো শক্তিশালী নয়। এর ফলে এসব জায়গায় আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ধূমপান ছাড়ুন একদিনেই

http://banglanews2010.blogspot.com/
কাউকে ধূমপান ছাড়ার কথা বলা হলেও তিনি বলেন, এতোদিনের অভ্যাস কি আর একদিনে ছাড়া যায়। ধীরে ধীরে ছেড়ে দেব। কিন্তু গবেষণা বলছে, অন্য কথা। ধূমপান ছাড়লে ধীরে ধীরে নয়, একদিনেই ছাড়তে হবে। কারণ যারা ধীরে ধীরে ধূমপান ত্যাগ করার কথা বলে তাদের থেকে যারা একদিনেই ছেড়ে দিতে চান, তারাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধূমপান ত্যাগ করতে পারে।


মার্কিন একদল গবেষক মোট ৬৯৭ জন ধূমপায়ীর ওপর গবেষণা চালানো হয় এমনই তথ্য উদঘাটন করেছেন। গবেষণায় ধূমপায়ীদের দু’ভাগে ভাগ করা হয়। একদলকে বলা হয় একটা বিশেষ দিন ঠিক করে হঠাত্ই ধূমপান ছেড়ে দিতে। যা করতে তাঁদের সাহায্য করেন এক দল নার্স। অন্য দলকে বলা হয় দু’সপ্তাহ ধরে ধীরে ধীরে ছাড়তে। দু’দলকেই একই রকম কাউন্সেলিং ও নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির সাহায্যে চিকিত্সা করা হয়। দ্বিতীয় দল দু’সপ্তাহে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত সিগারেট কমিয়ে আনতে পারলেও পুরোপুরি ছেড়ে দিতে পারেনি।
এরপর প্রথমে চার সপ্তাহ ও পরে ছয় মাসের বিরতি দিয়ে আবার দু’দলকেই পরীক্ষা করা হয়। দেখা গেছে সিগারেট পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দলের থেকে প্রথম দলের হার ২৫ শতাংশ বেশি। সম্প্রতি অ্যানালস অফ ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণার ফল।

সংসার সুখের হয় ‘পর্ন’-এর গুণে? বলছেন কী দম্পতি!

http://banglanews2010.blogspot.com/
ক্যামেরা অন করে সঙ্গম করলে নাকি বাড়ে যৌনসুখ। এমনটাই দাবি করেছেন এক দম্পতি। এতে নাকি উন্নত হয়েছে দাম্পত্য সম্পর্ক আর অবৈধ প্রেমের কোনও জায়গাই নেই। একশো শতাংশ বিশ্বাস করেন পরস্পরকে।



বহুদিন ধরে পর্ন তোলেন ফ্যালিচা কার এবং তাঁর স্বামী স্টিভ বিগ্‌স। নিজেরাই অভিনেতা, নিজেরাই পরিচালক। বলা ভাল, নিজেদের যৌনমিলনইক্যামেরাবন্দি করেন তাঁরা। তার পর একটি পর্নসাইটে আপলোড করেন নিয়মিত।
এমনটা করার কারণ শুনলে তাজ্জব বনে যেতে হয়। স্টিভ বলেন, ‘‘আমাদের লুকোনোর কিছু নেই। বন্ধ দরজার ওপারে বলে কিছু নেই। সব কিছু উন্মুক্ত। আমাদের সবটা সবাই জানেন।’’
কিন্তু কেন? স্টিভের বক্তব্য, ক্যামেরা চলছে এটা জানলে নাকি ওঁর এবং ওঁর স্ত্রীর যৌন উদ্দীপনা বে়ড়ে যায়, মিলনেও তৃপ্তি আসে বেশি। শুধু তা-ই নয়, স্টিভ জানিয়েছেন যে, এর ফলে ওঁদের দাম্পত্য জীবন নাকি প্রভূত উন্নত হয়েছে। পরস্পরের থেকে শারীরিক-মানসিক তৃপ্তির যেহেতু কোনও ঘাটতি নেই তাই অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হওয়ারও কোনও সম্ভাবনা দেখেন না তাঁরা।
দু’জন দু’জনকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করেন।

স্বামীর আগে স্ত্রীর বীর্যপাত ঘটানোর উপায় জেনে নিন !

http://banglanews2010.blogspot.com/
অনেক স্ত্রীর ধাতু এমন কঠিন যে, স্বামী সহবাস করে উঠে গেলেও স্ত্রীর বীর্যপাত হয় না। যদি স্বামী বীর্য আগে বের হয়ে যায়, আর স্ত্রীর বীর্যপাত হয় না, সে নারীর মনের কষ্ট ব্যক্ত করার কোনো স্থান থাকে না। স্বামির মনেও একটি আক্ষেপ থেকে যায় যে, সে তার স্ত্রীর সাথে সহবাসে পেরে উঠলো না। সহবাসের ক্ষেত্রে সে তার স্ত্রীকে কষ্ট দেওয়া ছাড়া আর কিছুই দিতে পারলো না।
এরূপ আক্ষেপ সৃষ্টি হওয়াতে অনেক স্বামী ধীরে ধীররে সহবাসের সাহস হারিয়ে ফেলে, ফলে ধীরে ধীরে তার সহবাসের আগ্রহ হ্রাস পায় এবং যখনই সহবাস করতে যায়, দেখা যায় যে, তার ঐ চিন্তার কারণে বীর্যপাত পূর্বের তুলনায় আরো তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে। এজন্য স্বামীকে স্ত্রীর বীর্যপাত তার থেকে দ্রুত ঘটাতে নিম্মোক্ত তদবীর গ্রহণ করতে হবে। এতে সে তার স্ত্রীর সাথে সহবাসে জয়ী হতে পারবে।
দ্রুত বীর্যপাতের সমাধান
১. বিশুদ্ধহিং আধা তোলা, চামিলির তেলসহ কোনো পাত্রে গরম করে একটু গাঢ় করবে। সহবাস করার পূর্বে ঐ তেল পুরুষাঙ্গে মালিশ করে সহবাস করবে। এর দ্বারা স্বামীর আগেই স্ত্রীর বীর্যপাত হবে এবং স্ত্রীর মনে অধিক আনন্দ জম্মাবে। এমনকি সহবাসের সময় উভয়ে আত্মহারা হবে।
২. চৌকিয়া সোহাগা ও আরবী গদ, এ দু’টি আগুনে খৈ করে ফুটিয়ে গুড়ো করে পানির সাথে গুলে বটিকা তৈরী করবে। যখন সহবাস করার প্রবল ইচ্ছা হবে, তখন ঐ বটিকা ভেঙ্গে মুখে থুথুতে গুলে পুরুষাঙ্গে প্রলেপ দিয়ে সহবাস করলে স্ত্রীর বীর্য স্বামির আগেই বের হয়ে যাবে এবং স্ত্রী তার স্বামীর প্রেমানুরাগী হয়ে চিরকাল থাকবে। এটিও এ কাজের জন্য খুবই কার্যকরী।

এক মিনিটে ঘুমিয়ে পড়তে এই কৌশলটি ব্যবহার করুন

http://banglanews2010.blogspot.com/
ঘুম না হওয়ার সমস্যা যাদের আছে তারাই এর কষ্টটা উপলব্ধি করতে পারেন। অনেকেই অনেক ভাবে ঘুমানোর চেষ্টা করে থাকেন। কুসুম গরম পানিতে গোসল করা, ঘুমানোর আগে কুসুম গরম দুধ খাওয়া, মনে মনে ভেড়া বা সংখ্যা গননা করার মত কাজও করে থাকেন। কিন্তু অনেক সময়েই দেখা যায় পদ্ধতি গুলো কাজ করে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুয়ে থেকে এপাশ ওপাশ করার পরও ঘুম না আসার মত কষ্টকর ও হতাশা জনক ব্যাপার হয়তো আর কিছু হতে পারে না। যা একটা মানসিক যুদ্ধে পরিনত হয় ফলশ্রুতিতে ইনসমোনিয়া দেখা দিতে পারে। তাই এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হার্ভার্ড এর একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক Dr. Andrew Weil এর একটি পরামর্শ কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন সেটা হচ্ছে “সঠিক ভাবে নিঃশ্বাস নিন”।



যার ফলে এক মিনিটে ঘুমিয়ে পড়া সম্ভব। চলুন তাহলে প্রক্রিয়াটি জেনে নেই- এই প্রক্রিয়াটি তাদের জন্যই যাদের ঘুম আসার অপেক্ষায় রাত প্রায় শেষ হয়ে যায়। Dr. Andrew Weil প্রবর্তিত কৌশলটি ৪-৭-৮ কৌশল নামে পরিচিত। খুবই সহজ একটি প্রক্রিয়া। কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করলেই হয়। সেই ধাপগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো- ১) ৪ সেকেন্ড নিঃশ্বাস নিন। ২) ৭ সেকেন্ড নিঃশ্বাস ধরে রাখুন। ৩) ৮ সেকেন্ড নিঃশ্বাস ছাড়ুন। লক্ষ্য করুন এই প্রক্রিয়াটিতে ৪ সেকেন্ড, ৭ সেকেন্ড এবং ৮ সেকেন্ড সময় ধরে সঠিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়া হয়েছে। তাই এই প্রক্রিয়াকে ৪-৭-৮ কৌশল বলা হয়ে থাকে। এবার ৮ সেকেন্ড নিঃশ্বাস ছাড়ার পর আবার ৪ সেকেন্ডের জন্য নিঃশ্বাস নিন। আগের প্রক্রিয়াতে আবার করুন। ঠিক এইভাবে ৩ বার করুন। এই প্রক্রিয়াটি ৩ বার করতে ৫৭ সেকেন্ড সময় লাগবে এবং এরপরই আপনি ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করবেন।
৪-৭-৮ কৌশলটি কেন কার্যকরী- হয়তো অবাক হতে পারেন নিতান্ত সাধারণ এবং কোনো রকম কষ্টকর কাজ ছাড়াই এই প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে। এই প্রক্রিয়াটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে দ্বিতীয়টি। কারন এই ধাপে নিঃশ্বাস ৭ সেকেন্ডের জন্য ধরে রাখা হয়। একটি গভীর শ্বাস নেয়ার পর এই ধাপে ফুসফুস অক্সিজেন দ্বারা পূর্ণ থাকে এই সময়টা। এর ফলে সারা দেহে অক্সিজেন প্রবাহিত হয় যা দেহকে শিথিল করতে সাহায্য করে। এটি মানসিক চাপ ও হতাশা দূর করতে সাহায্য করে। এইজন্যই Dr. Weil উদ্বেগ কমাতে এই প্রক্রিয়াটির পরামর্শ দিয়েছেন। শ্বাস প্রশ্বাসের কৌশল ঐতিহ্যগত চিকিৎসার একটি অংশ এবং এখন এটির সাহায্যে খুব দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার কৌশলও আবিষ্কৃত হলো। তাহলে আর দেরি কেন আজ রাত থেকেই শুরু করুন প্রক্রিয়াটি যা আপনাকে স্বপ্নের জগতে নিয়ে যাবে খুব দ্রুত।

মুখ নয়, শরীর নয়, মেয়েদের চিনুন কেবল পা দেখে

http://banglanews2010.blogspot.com/
গ্রহলক্ষণ বা জন্মপত্রিকায় যাওয়ার আগে সামুদ্রিক বিচার সম্পন্ন করতেন জোতিষীরা। এই সময়ে সামুদ্রিক বিদ্যার চল কমে এলেও অনেকেই আস্থা রাখেন এই পদ্ধতির উপরে। সত্যাসত্য বিচার পরে।
ভারতীয় জ্যোতিষের একটি বিশিষ্ট শাখা সামুদ্রিক শাস্ত্র। ‘সামুদ্রিক’, অর্থাৎ মুদ্রা বা লক্ষণ দেখেই বিচার হয়ে থাকে এই শাস্ত্রে। গ্রহলক্ষণ বা জন্মপত্রিকায় যাওয়ার আগে সামুদ্রিক বিচার সম্পন্ন করতেন জোতিষীরা। এই সময়ে সামুদ্রিক বিদ্যার চল কমে এলেও অনেকেই আস্থা রাখেন এই পদ্ধতির উপরে। সত্যাসত্য বিচার পরে। একটা কথা এই সিদ্ধান্তগুলি থেকে প্রাঞ্জল যে, কতটা খুঁটিয়ে মানব শরীরকে লক্ষ করেছিলেন শাস্ত্রকাররা, তা বোঝা যায় এই ‘বিচার’গুলিতে।
এখানে সামুদ্রিক শাস্ত্রে উল্লিখিত একটি বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা রাখা হল। বিষয়টি মেয়েদের পা। স্ত্রীয়াশ্চরিত্রম নাকি পদপল্লবেই প্রস্ফূটিত। দেখা যাক, সামুদ্রিক জ্যোতিষ কী বলে।
• যে নারীর পায়ের পাতা নরম, মোলায়েম, উষ্ণ, হালকা গোলাপি রঙের এবং ঘামহীন, তাঁরা যৌনজীবনে সুখী। কিন্থ জীবনে দুর্দশাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা তাঁদের রয়েছে।
• যে নারীর পায়ের পাতায় শঙ্খ, চক্র, পদ্ম, পতাকা বা মৎস্য চিহ্ন রয়েছে, তাঁদের রাজরানি হওয়ার যোগ রয়েছে। কিন্তু ইঁদুর, সাপ অথাবা কাক চিহ্নযুক্তাদের কপালে দারিদ্র্যযোগ রয়েছে।
• যে নারীর পায়ের নখ গোলাপি রঙের, মেলায়েম এবং কিছুটা বেরিয়ে থাকা ও গোলাকৃতি, তাঁদের জীবনে সুখ ও সম্পদ অবশ্যম্ভাবী। কালো ও ভাঙা নখের মালকিনদের ক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটা।
• যে নারীর পায়ের বুড়ো আঙুল ছোট, তাঁদের আয়ু কম।
• যে নারীর পায়ের পাতার তলদেশ এবড়ো-খেবড়ো, তাঁরা জটিল চরিত্রের।
• বুড়ো আঙুল আর পায়ের পাতার তলদেশের মধ্যেকার কার্ভ যদি বেশি বাঁকানো হয়, তবে ধরে নিতে হবে তাঁর আর্থিক অবস্থা সাধারণ।
• যে নারীর পায়ের আঙুল একটি উপরে আর একটি চেপে থাকে, তাঁর বৈধব্যযোগ থাকতে পারে বলে জানাচ্ছে সামুদ্রিক শাস্ত্র।
• যদি কোনও নারীর পায়ের কনিষ্ঠাঙ্গুল মাটি স্পর্শ না করে, তাহলে তাঁর স্বামীর তাঁকে ত্যাগ করে অন্য নারী বিবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।





• হাঁটার সময়ে যে নারীর পা থেকে ধুলো ছিটকোয়, তিনি পরিবারের লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারেন।
• যে নারীর পায়ের বুড়ো আঙুলের থেকে পাশের আঙুলটি বড়, তিনি দাম্পত্যজীবনে সুখী।
• যে নারীর গোড়ালি দৃঢ়, তাঁকে কাঙ্ক্ষা না করাই ভাল। যে নারীর গোড়ালি উঁচু, তাঁর দুশ্চরিত্রা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Wednesday, July 27, 2016

অ্যালার্জি কাদের বেশি হয়?

http://banglanews2010.blogspot.com/
অ্যালার্জি একটি প্রচলিত সমস্যা। বিভিন্ন কারণে অ্যালার্জি হয়। এই সমস্যা কাদের বেশি হয় এবং এর চিকিৎসা কী, সেটা নিয়ে কথা বলেছেন বিশিষ্ট অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমিউনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ্চন্দ্র দাস।
প্রশ্ন : অ্যালার্জি ব্যাপক একটি বিষয়। তবে মূলত অ্যালার্জি বলতে আমরা ত্বকের অ্যালার্জিকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি। একজন মানুষের ত্বকে অ্যালার্জি হয় কেন?
উত্তর : ত্বকে যেই অ্যালার্জি হয় একে সাধারণত বলি আর্টিকেরিয়া। শরীর চাক চাক হয়ে যায়, লাল হয়ে যায়। আবার অনেক সময় ছোট বাচ্চাদের হয়, লাল হয়ে যায়, চুলকায়- একে বলে এটোপিক ডার্মাটাইটিস। বড়দের অনেক সময় হয় কনট্রাক্ট ডার্মাটাইটিস। কোনো কোনো স্পর্শে অ্যালার্জি হয়- এগুলো হয় ত্বকে। নাকের মধ্যে যে অ্যালার্জি হয় নাক চুলকায়, নাক দিয়ে পানি পড়ে, হাঁচি হয়, অনবরত হাঁচি, একে বলা হয়, অ্যালার্জি রাইনাইটিস।
আর ফুসফুসের মধ্যে যখন অ্যালার্জি হয়, শ্বাসকষ্ট হয়, কাশি হয়, রাতে ঘুমাতে পারে না। এই সবইঅ্যালার্জির বিভিন্ন রকম প্রকাশ।
প্রশ্ন : এই অ্যালার্জির কারণ কী? এটি হয় কেন?
উত্তর : আপনি ঠিকই বলেছেন, একটি পরিবারে হয়তো পাঁচটি ভাই আছে। একজন বা দুজনের অ্যালার্জি হবে আর তিনজনের হবে না। সাধারণত যাদের রক্তে আইজিইর পরিমাণ বেশি, তাদের সাধারণত অ্যালার্জি হয়।
কতগুলো সাবসট্যান্স থাকে যেগুলো অ্যালার্জির জন্য সহায়ক। সবচেয়ে বেশি অ্যালার্জির জন্য সহায়ক হলো ধুলাবালি, বাড়ি ঘরের বিছানাপত্র। এসবের মধ্যে এক ধরনের পোকা থাকে। এই ধরনের পোকা একটি তোশকের মধ্যে প্রায় ২০ লাখের বেশি থাকে। একে হাউজ ডাস্ট মাইট বলে। তা ছাড়া ফুলের রেণু, ফাঙ্গাস, কোনো খাদ্য, পশু পাখির লোম- এগুলো থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে। তবে একেকজনের একেকটি বিষয় থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।
প্রশ্ন : তাহলে এই অ্যালার্জি থেকে বাঁচার উপায় কী?



উত্তর : আমাদের লেপ তোশক ব্যবহার করতেই হয়। আমি সবাইকে বলি, যে তোশকে আমরা ঘুমাই এগুলো মাঝে মাঝে রোদ্রে দেওয়া উচিত। বিশেষত বিছানার চাদরটি প্রতিদিন তো ধোয়া সম্ভব নয়, একে প্রতিদিন রোদে শুকাতে দেওয়া উচিত। আর বিদেশে বা বাংলাদেশেও এখন মাইটরোধী কাভার পাওয়া যায়। এই কভারগুলো যদি আমরা তোশকের ওপর দেই বা বালিশের ওপর দেই ভেতর থেকে মাইটটা আসবে না। এতে আমাদের কষ্ট অনেকটা লাঘব হবে।
আসলে সবারই একটি অ্যালার্জি পরীক্ষা করানো উচিত। কার কিসে অ্যালার্জি। কারো মাইটে অ্যালার্জি হয়, কারো ফাঙ্গাল অ্যালার্জি হয়। আমাদের একটি সাধারণ ধারণা অ্যাজমা হয়েছে, গরুর মাংস, চিংড়ি , বোয়াল মাছ, গজার মাছ সব খাওয়া বাদ দিতে হবে। তবে এগুলো ঠিক নয়। আমার ২০ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি শতকরা ৯৮ শতাংশ রোগীরই গরুর মাংসে অ্যালার্জি হয় না। গরুর মাংস খেলেও যা, না খেলেও তা। তাই অ্যাজমা হয়েছে দেখে গরুর মাংস, চিংড়ি খাওয়া যাবে না, সেটি ঠিক নয়। প্রথমে একটি অ্যালার্জির পরীক্ষা করতে হবে। অ্যালার্জি পরীক্ষা করে যে এলার্জেন পাওয়া যায় সেটিকে শুধু এড়িয়ে যেতে হবে।
প্রশ্ন : অ্যালার্জির কোনো চিকিৎসা আছে কি? ধরুন আমি পরিমিত খাব, তবে সবই খেতে চাই। আবার অ্যালার্জি মুক্তও থাকতে চাই। এটি সম্ভব কি না?
উত্তর : এটি সম্ভব। অ্যালার্জির টেস্ট দুইভাগে করা হয়। হাতের মধ্যে বিভিন্ন এলার্জেন দিয়ে পিক পিক করে টেস্ট করি। টেস্ট করার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর আমরা বলে দিতে পারি তার কিসে কিসে অ্যালার্জি।
তা ছাড়া স্পেসিফিক আইজি বলে একটি বিষয় আছে। শরীর থেকে রক্ত নিয়ে মেশিনের মধ্যে দিয়ে দেখি কিসে অ্যালার্জি আছে। এটা সাধারণত আমরা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে করি। তার পিক নিতে ভয় পায় দেখে সাধারণত করে থাকি।
অ্যালার্জি টেস্ট করার পর উৎসটাকে যদি বাদ দিয়ে দেই, তাহলে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম থাকে।
অ্যান্টি আইজি ওমালিজমাফ একটি ইনজেকশন আছে, সেখানেও আইজিকে কমানো যায়। এই দুটো করা হলে আইজির পরিমাণ কমবে। অ্যালার্জির পরিমাণ কমবে।
আর যে প্রদাহগুলো হবে সেগুলোতে স্টেরয়েড, মন্টিলুকাস, অ্যান্টি হিসটামিন- এগুলো ওষুধ দিয়ে ঠিক করা যায়। (যে কোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।) আর অ্যাজমার অন্যতম একটি কারণ মানসিক চাপ। এদের যতই্ ওষুধ দেওয়া হয় কোনো কাজ হবে না, যদি মানসিক চাপ কমানো না হয়। এজন্য আমাদের দরকার যোগব্যায়াম, প্রাণায়েম, মেডিটেশন, শিথিল হওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি। এগুলো করলে এই ধরনের অ্যালার্জি জনিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। দীর্ঘমেয়াদি ভালো থাকা সম্ভব।
প্রশ্ন : অ্যালার্জির জন্য যেই পরীক্ষা করা দরকার এগুলো কী বাংলাদেশে সম্ভব?
উত্তর : সব পরীক্ষাই বাংলাদেশে সম্ভব। অনেকের ধারণা বাংলাদেশে অ্যালার্জির কোনো চিকিৎসা নেই। সব চিকিৎসা বিদেশে রয়েছে। জানা দরকার, অ্যালার্জির কেন হচ্ছে সেটি নির্ণয় করে চিকিৎসা নিলে ভালো থাকা সম্ভব। আর সব ধরনের পরীক্ষা এবং চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেই আছে। এজন্য বিদেশে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
প্রশ্ন : অ্যালার্জির সঙ্গে তাপমাত্রার সম্পর্ক কী? কারো দেখা যায়, ঠান্ডা বা গরমে অ্যালার্জি হচ্ছে, কারো বৃষ্টির পানিতে ভিজলে অ্যালার্জি হচ্ছে। এই বিষয়টি কী?
উত্তর : ঠান্ডা-গরম হলে নাকের রিসেপটরগুলো ঠিক মতো গ্রহণ করতে পারে না। তখন নার্ভাস পদ্ধতির হরমোনের ভারসাম্য কমে গিয়ে এই সমস্যা হয়।
প্রশ্ন : অ্যালার্জি প্রতিরোধের উপায় কী? বিশেষ করে ভ্যাকসিন বা টিকার কোনো ভূমিকা আছে কি না?
উত্তর : অবশ্যই ভূমিকা আছে। আমি আগেই বলেছি, এর যদি সঠিক চিকিৎসা নেওয়া হয়, তাহলে দীর্ঘমেয়াদী ভালো থাকা যায়। রোগী এলে আমরা সাধারণত ইনহেলার বা একটি ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেই। এটা করলে হবে না। প্রথম হলো যেই কারণে অ্যালার্জি হচ্ছে সেই ট্রিগার নির্ণয় করে সেটি পরিহার করতে হবে। ট্রিগার যদি পাওয়া যায় তাহলে আমাদের কষ্ট কম হবে। অ্যালার্জির ভ্যাকসিনও এখন বাংলাদেশে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এটি আছে, চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং রোগীও ভালো হচ্ছে।
অ্যালার্জি ভ্যাকসিনের কাজ হলো আমাদের শরীরে যে আইজিই বেশি থাকে, তার সমস্যা হয়। আইজিইকে যে আইজিজিতে রূপান্তর করে সেটাকে বলা হয় অ্যালার্জি ভ্যাকসিন। এখন অল্প মাত্রা থেকে আস্তে আস্তে একটি মাঝামাঝি ডোজে শরীরে দেওয়া হয়। দুইভাবে করা হয়, ইনজেকশনের মাধ্যমে এবং জিহ্বার নিচে দিয়ে। এর কাজ হলো আইজিইটাকে আইজিজিতে পরিণত করে। তখন আর কষ্ট হয় না।
প্রশ্ন : ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে কী কোনো পরীক্ষা করতে হয়?
উত্তর : এক্ষেত্রে অ্যালার্জি টেস্ট বা আইজিই পরীক্ষা করে নিতে হয়। সাধারণত তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সে এটি শুরু করা যায়।
আপনি আরেকটি বিষয় দেখবেন আমাদের অনেকেরই হাঁচি হয়। দীর্ঘদিন সমস্যাটি থাকে। আমরা একে কোনো গুরুত্ব দেই না। হাঁচির পর অ্যাজমা হওয়ার আশঙ্কা ৯০ ভাগ। এই হাঁচির চিকিৎসা করতে হবে। তাহলে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যাবে।
প্রশ্ন : অ্যালার্জি ভ্যাকসিন কি জীবনের যেকোনো সময় নেওয়া যায়?
উত্তর : অ্যালার্জি পরীক্ষা করার পর যার যে কারণে সমস্যাটি হয়, সেই কারণে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। রোগী চিকিৎসকের কাছে এলে পরীক্ষা করে ট্রিগারটি নির্ণয় করলে চিকিৎসা শুরু করা হয়। এটি সাধারণত তিন থেকে পাঁচ বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি দিনও দেওয়া হয়। দিলে আইজিইর মাত্রা কমে গেলে সারা জীবনের জন্য সে সুস্থ থাকবে।

বজ্রপাতের সময় কি করবেন?

http://banglanews2010.blogspot.com/
বজ্রপাতের সময় কী করতে হবে তা অনেকেরই অজানা। এসময়ে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা খুবই জরুরি। বাংলাদেশে বিশেষ করে বর্ষাকালে আকাশে ঘন কালো মেঘ দেখলেই সাবধান হতে হবে। মেঘের আওয়াজ শুনলেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হবে। এসময় পাকা বাড়িতে আশ্রয় নেয়া বেশি নিরাপদ। গাড়ির ভেতরেও আশ্রয় নেয়া যেতে পারে। গাছের নিচে, টেলিফোনের খুঁটির পাশে বা বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের খুঁটির পাশে দাঁড়ানো মোটেও নিরাপদ নয়। ফাঁকা মাঠের মধ্যে অবস্থান সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক। পানির সংস্পর্শে মোটেই যাওয়া যাবে না। বৃষ্টি ও মেঘের গর্জন না থামা পর্যন্ত নিরাপদে থাকা বাঞ্ছনীয়।
বজ্রপাতের আওয়াজ শোনার আগেই তা মাটি স্পর্শ করে। সোজাসোজি মানুষের গায়ে পড়লে মৃত্যু অবধারিত। বজ্রপাতে আহত ব্যক্তিকে স্পর্শ না করে শুকনো কাঠ দিয়ে ধাক্কা দিতে হবে। ঝড়ের পূর্বাভাস দেখলে কখনও খোলা মাঠ, পাহাড়ের চূড়া, সমুদ্র সৈকতে অবস্থান করা মোটেও ঠিক নয়।
অনেক সময় আছে যখন নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। তখন নিজেকে যতটা সম্ভব গুটিয়ে নিন। মাথার চুল যদি একদিকে লম্বা হয়ে থাকে তাহলে বজ্রপাত পড়ার আশঙ্কা বেশি। কারণ বজ্রপাত সব সময় উঁচুতে আঘাত করে।



বজ্রপাতের সময় কোন খোলা মাঠে বা খোলা স্থানে দাঁড়াবেন না, যদি ওই স্থানে কোনো বড় গাছ না থাকে, তবে আপনি সেই স্থানের সব থেকে উচু। তাই বজ্রপাত আপনাকেই স্পর্শ করবে।
যদি খোলা মাঠে থাকেনও তাহলে পায়ের পাতায় ভর করে হাটুর উপর হাত রেখে যতটা সম্ভব মাথা নিচু করে রাখুন। হাটু বা হাত যেন  কোনোটাই মাটিতে স্পর্শ না করে।
অনেকে মনে করেন, বজ্রপাতের সময় শুয়ে পড়তে হয়। এটা খুবই মারাত্মক ভুল ধারণা। এতে বজ্রপাতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা শতভাগ। যদি নদীতে নৌকায় থাকেন তাহলে একইভাবে নিজেকে গুটিয়ে রাখুন। সম্ভব হলে ছইয়ের নিচে অবস্থান নিতে পারেন। বনের মধ্যে থাকলে বড় গাছের নিচে না গিয়ে ছোট গাছপালার নিচে নিজেকে গুঁটিয়ে রাখুন।
কর্ডযুক্ত কোনো ফোন ব্যবহার করা যাবে না। বাড়ি নিরাপদ রাখতে আর্থিং সংযুক্ত রড বাড়িতে স্থাপন করতে হবে। বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত পানির ফোয়ারায় গোসল করা যাবে না। বাসা, অফিস কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হলে বিদ্যুতের সব সুইচ বন্ধ রাখতে হবে এবং দরজা-জানালা ভালোমতো বন্ধ রাখতে হবে। বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালা স্পর্শ করা যাবে না। এ সময় ধাতববস্তু যেমন : বাড়ির ধাতবকল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করা যাবে না। বজ্রপাতের সময় এগুলো স্পর্শ করেও বহু মানুষ আহত হয়।
বিদ্যুৎচালিত বিভিন্ন যন্ত্র যেমন- টিভি, ফ্রিজ, পানির মোটর ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও ধরা উচিত না। বজ্রপাতের আভাস পেলে আগেই এগুলোর প্লাগ খুলে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করতে হবে।
বজ্রপাত হওয়ার আগের মুহূর্তের কয়েকটি লক্ষণ দেখে এটা বোঝা যেতে পারে। যেমন : বিদ্যুতের প্রভাবে আপনার চুল খাড়া হয়ে যাবে, ত্বক শিরশির করবে বা বিদ্যুৎ অনুভূত হবে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য বজ্রপাত প্রাকৃতিক চার্জ হিসেবে কাজ করে। তাই বজ্রপাতকে প্রতিরোধ করা সম্ভব না। তবে উপস্থিত বুদ্ধি ও কৌশল জেনে সময়মতো কাজে লাগিয়ে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।

যৌন আলাপচারিতার ফলে গুপ্তাঙ্গ ভিজে গেলে কি গোসল ফরজ হয়?

http://banglanews2010.blogspot.com/
প্রশ্নঃ আমার স্বামী বিদেশে থাকেন। প্রযুক্তির কল্যাণে ভিডিও ও অডিও উভয়ভাবেই আমাদের কথা চলে, আমরা অনেক সময়ই যৌনতা বিষয়ক আলাপচারিতা করি। এর ফলে প্রায় সময়ই আমার গুপ্তাঙ্গ ভিজে ওঠে। এমতাবস্থায় কি গোসল ফরজ হয়? আর স্বামী স্ত্রীর এ ধরনের আলাপচারিতা সম্পর্কে ইসলামের কি কোনো বিধি নিষেধ আছে? উত্তরটি জানালে উপকৃত হবো।
উত্তরঃ এক্ষত্রে গোসল অবশ্যই ফরজ হয়ে যায়।জেনে নিন যে কারণে ফরজ গোসল করতে হয়,
গোসল ফরজ হওয়ার কারণসমূহ হলো-
১. জাগ্রত বা নিদ্রা অবস্থায় উত্তেজনার সাথে বীর্যপাত হওয়া। কিন্তু নিদ্রা অবস্থায় উত্তেজনার অনুভব না হলেও গোসল করা ফরজ। কেননা নিদ্রা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে মানুষ অনেক সময় তা বুঝতে পারে না। মোট কথা গোসল ফরজ হওয়ার জন্য বীর্যপাত শর্ত তাতে উত্তেজনা থাকুক আর না থাকুক সেটা কোনো বিষয় নয়।
২. স্ত্রী সহবাস করার দ্বারা গোসল ফরজ হয়। সহবাসের ক্ষেত্রে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে পুরুষাঙ্গের সর্বনিম্ন আগাটুকু (সুপারি পরিমাণ আংশ) প্রবেশ করালেই গোসল ফরজ হয়ে যাবে । কেননা এ ব্যাপারে নবি [সা.] বলেন, পানি নির্গত হলেই পানি ঢালতে হবে। [মুসলিম, অধ্যায় : হায়েজ, অনুচ্ছেদ : পানি নির্গত হলেই পানি ঢালা। হা/ ৩৪৩।] অর্থাৎ বীর্যের পানি নির্গত হলেই গোসল করতে হবে।
নবি [সা.] আরো বলেন, স্ত্রীর চার শাখার (দুই হাত দুই পায়ের) মাঝে বসে, তার সাথে সহবাসে লিপ্ত হলেই গোসল ফরজ হবে। [বুখারি, অধ্যায় : গোসল, অনুচ্ছেদ : উভয় লিঙ্গ মিলিত হলে করণীয়, হা/ ২৯১। মুসলিম, অধ্যায় : হায়েয, অনুচ্ছেদ : পানি ঢালার সম্পর্ক পানি নির্গত হওয়ার সাথে। হা/ ৩৪৮।] এখানে বীর্যপাতের কোনো কথা বলা হয়নি। এর দ্বারা বুঝা যায় এই এইভাবে স্ত্রী সহবারে যদিও বীর্যপাত না হয় তবুও গোসল ফরজ হবে। এ বিষয়টি অনেক মানুষের জানা নেই। অনেক লোক স্ত্রী সহবাসে বীর্যপাত না করলে অজ্ঞতা বশত সপ্তাহ মাস কাটিয়ে দেয় গোসল করে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এমন ভুল থেকে বাচার নেক তাওফিক দান করুন। আমিন। এটি একটি মারাত্মক ধরণের ভুল। এ জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের শরীয়তের সীমারেখা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ফরজ। অতএব উল্লেখিত হাদিসের ভিত্তিতে সহবাস করে বীর্যপাত না হলেও গোসল করা স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপর ফরজ।



৩. নারীদের ঋতু (হায়েজ-মিনস) বা নেফাস (সন্তান প্রসোবত্তোর স্রাব) হওয়া। ঋতুবতী নারীর স্রাব বন্ধ হলে গোসলের মাধ্যমে তাকে পবিত্র হতে হবে। এই গোসলও ফরজ গোসলের অন্তর্ভূক্ত। কেননা আল্লাহ বলেন অর্থাৎ তারা তোমার কাছে জিজ্ঞাসা করে হায়েজ সম্পর্কে । বলে দাও, এটা অপবিত্র। কাজেই তোমরা হায়েজ অবস্থায় স্ত্রী মিলন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের সাথে সহবাসে লিপ্ত হবে না; যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তমরূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে তখন গমন করো তাদের কাছে। যেভাবে আল্লাহ্ আমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তওবাকারী এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের পছন্দ করেন। (সূরা বাক্বারা- ২২২)
নবি [সা.] ইস্তেহাজা বিশিষ্ট নারীকে নির্দেশ দিয়েছেন, ঋতুর নির্দিষ্ট দিনসমূহ সে বিরত থাকবে তারপর গোসল করবে। নেফাস থেকে পবিত্র হওয়ার ক্ষেত্রেও অনুরূপ বিধান। তার উপরও গোসল করা ফরজ। হায়েয ও নেফাস থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য ফরজ গোসল করার পদ্ধতি নাপাকি থেকে গোসল করার পদ্ধতির অনুরূপ। তবে কোনো ইসলামি পণ্ডিতরা ঋতুবতীর গোসলের সময় বরই পাতা ব্যবহার করা মুস্তাহাব বলেছেন। কেননা এতে অধিক পরিস্কার ও পবিত্র হওয়া যায়। বরই পাতার বদলে সাবান বা শ্যম্পু ব্যবহার করলেও উক্ত উদ্দেশ্য হাসিল হয়।
৪. আবার কেউ কেউ মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়া ফরজ বলে উল্লেখ করেছেন। এই কথার দলীল হচ্ছে, নবি [সা.] -এর কন্যা যয়নবকে যারা গোসল দিচ্ছিলেন, তিনি তাদেরকে বললেন, যয়নবকে তিনবার গোসল করাও, অথবা পাঁচবার অথবা সাতবার অথবা এর চাইতে অধিকবার- যদি তোমরা তা মনে কর। [বুখারি, অধ্যায় : জানাযা, অনুচ্ছেদ : মৃতকে পানি ও বরই পাতা দিয়ে গোসল দেয়া ও অজু করানো। হা/১২৫৩। মুসলিম, অধ্যায় : জানাযা, অনুচ্ছেদ : মৃতকে গোসল দেয়া, হা/৯৩৯।]
তাছাড়া বিদায় হজে আরাফা দিবসে জনৈক ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় বাহন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু বরণ করলে নবি [সা.] বলেন, তোমরা তাকে পানি ও বরই পাতা দ্বারা গোসল দাও এবং পরিহিত দু’টি কাপড়েই কাফন পরাও। [বুখারি, অধ্যায় : জানাযা, অনুচ্ছেদ : ইহরামকারী মৃত ব্যক্তিকে কিভাবে কাফন পরাতে হয়। হা/ ১২৬৭। মুসলিম, অধ্যায় : হজ, অনুচ্ছেদ : ইহরামকারী মৃত্যুবরণ করলে কি করতে হবে। হা/১২০৬।]
মৃত্যু ব্যক্তিকে গোসল করানো ফরজ। কিন্তু এটা জীবিতের সাথে সম্পর্কিত। কেননা মৃত্যু বরণ করার কারণে উক্ত ব্যক্তির উপর শরীয়তের বাধ্যবাধকতা শেষ হয়ে গেছে। তাই জীবিতদের উপর ফরজ হচ্ছে, তাকে গোসল করিয়ে দাফন করা। কেননা নবি [সা.] এ সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছেন।
ফরজ গোসলের ফরজসমূহ হলো-
গোসলের ফরজ মোট তিনটি। এই তিনটির কোনো একটি বাদ পরলে ফরজ গোসল আদায় হবে না। তাই ফরজ গোসলের সময় এই তিনটি কাজ খুব সর্তকতার সাথে আদায় করা উচিত।
১. গড়গড়া কুলি করা।
২. নাকে পানি দেওয়া।
৩. এরপর সারা দেহে পানি ঢালা ও ভালোভাবে গোসল করা।
ফরজ গোসলের সুন্নাত আমলগুলো হলো-
১. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গোসল করার নিয়ত করা।
২. ফরজ কাজগুলোর মাঝে ক্রম বা ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।
৩. প্রথমে ওজু করা।
৪. দুই হাতের কবজি পর্যন্ত ধোয়া।
৫. শরীরে কোনো নাপাকি থাকলে তা দুর করা।
৬. মেছওয়াক করা।
৭. সারা দেহে তিন বার পানি ঢালা।
ফরজ গোসলের মুস্তাহাবসমূহ হলো-
১. উচু স্থানে বসে গোসল করা যাতে পনি গড়িয়ে যায় ও গায়ে ছিটা না লাগে।
২. পানির অপচয় না করা।
৩. বসে বসে গোসল করা।
৪. লোক সমাগমের স্থানে গোসল না করা।
৫. পাক জায়গায় গোসল করা।
৬. ডান দিক থেকে গোসল শুরু করা।
ফরজ গোসলের সঠিক-শুদ্ধ নিয়ম-পদ্ধতি
১. গোসলের জন্য মনে মনে নিয়ত করতে হবে। বাড়তি মুখে কোন আরবি শব্দ উচ্চারণ করে নিয়ত করাতেই হবে এমনটা ভাবা বা জরুরি মনে করা বিদআত।
২. প্রথমে দুই হাতে কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুয়ে নেওয়া।
৩. এরপর ডান হাতে পানি নিয়ে বামহাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধৌত করা এবং শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধুয়ে পরিস্কার করা।
৪. এবার বাম হাতকে ভালো করে ধুয়ে ফেলা।
৫. এরপর অজু করতে হবে তবে দুই পা ধোয়া যাবে না।
৬. ওজু শেষে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।
৭. এরপর সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশই বা কোন লোমও শুকনো না থাকে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুতে হবে।
৮. সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে ধুতে হবে।
বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে
১. ফরজ গোসলে পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে।
২. এই নিয়মে গোসলের পর নতুন করে আর ওজুর দরকার নাই, যদি ওজু না ভাঙ্গে।
মূল : মুফতি শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমিন (রহ.)
ভাষান্তর : মাওলানা মিরাজ রহমান

যে বঙ্গে ভাই-বোনের বিয়ে হয়

http://banglanews2010.blogspot.com/
সভ্যতার ঊষালগ্নে মানুষের মধ্যে কোনো প্রকার বৈষম্য ছিল না। না ছিল শ্রেণি বৈষম্য না ধন বৈষম্য না লিঙ্গ বৈষম্য। সেই ব্যবস্থাকে বলা হত আদিম সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থা। তারও আগে এই ভারতভূমে যে পরিবার ব্যবস্থা বা যৌথ ব্যবস্থা চোখে পড়ে সেখানে নারী-পুরুষের কিংবা রক্তের সম্পর্কের মধ্যে বাড়তি কোনো স্পর্শকাতরতা ছিল না। ভাইয়ের সাথে বোনের অথবা বর্তমানে কল্পনাই করা যায় না এমন সম্পর্কের মানুষদের মধ্যেও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠতো অনায়াসে। পারস্পরিক আবেদনে সাড়া দেয়া ছিল তখন প্রকৃতিগত অকৃত্রিম ব্যাপার।






কিন্তু আজকের দুনিয়ায় যান্ত্রিকতা, কৃত্রিমতা মানুষকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরলেও মায়ের পেটের বোনের সঙ্গে বিয়ে করার কথা কেউ ভাবতেই পারেন না। সেটা না পারাই তো স্বাভাবিক। আদিম যৌথ জীবন থেকে অগ্রসরমানতার পথে প্রয়োজনের তাগিদে ক্রমশই মানুষের মধ্যে ব্যক্তিতান্ত্রিকতা বিস্তার লাভ করে। তার পর ধীরে ধীরে ভারী হয়ে আসে বিভেদ আর বৈষম্যের আকাশ।  তবে কম অংশে হলেও আজও কেউ কেউ অতীতকে আঁকড়ে রাখতে চায়। শিক্ষার হার কম থাকায় এখনো বিশ্বের কোথাও কোথাও চোখে পড়ে যুথবদ্ধ সমাজব্যবস্থা। সেই সমাজে হয়তো এখনো ভাই-বোনের মধ্যে বিয়ে কিংবা শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে বাধাবন্ধহীনভাবে।
আমাদের তথাকথিত আধুনিক সমাজে মায়ের পেটের না হলেও ভাই-বোনের মধ্যে বিয়ের বিষয়টি প্রায়শই দেখা যায়। কিন্তু এ কেমন বিবাহ ব্যবস্থা! যেখানে খুড়তুতো, পিসতুতো, মাসতুতো, মামাতুতো এ রকম তুতো বোনকেই বিয়ে করেন যুবকরা। অবশ্য বিয়ের আগে অবশ্য এক বছর সংসার করতে হয়। আর তারপর পছন্দ না হলে বোনকে ছেড়েও দেয়া যায়। আর এই একবছর সহবাসের ফলে যদি সন্তানের জন্ম হয়েও যায়, তাহলেও বোনকে ছাড়া যায়। তবে নিয়ম মাফিক ভাইকে করতে হয় প্রায়শ্চিত্ত। এ আজব নিয়ম এখনো ঠিকে আছে টোটো নামে ভারতের এক জনজাতির মধ্যে। পৃথিবীর সবচেয়ে ছোটো জনজাতি টোটো। তাদের মধ্যেই এই বিয়ের প্রাচীন নিয়ম বর্তমান আজও। তবে টোটোদের জনসংখ্যা কমতে কমতে এখন তলানিতে। বর্তমানে টোটোদের জনসংখ্যা ১,৫৭৪। তার মধ্যে পুরুষ ৮১৯ জন ও মহিলা ৭৫৫ জন।
অবিভক্ত জলপাইগুড়ি জেলার মাদারিহাট ব্লকের টোটোপাড়ায় এই টোটো জনজাতির বাস। টোটোদের মধ্যে শিক্ষিতের হার কম। সেজন্যই নাকি তাদের মধ্যে প্রাচীন এই প্রথা চলে আসছে আজও। নিয়ম অনুযায়ী, পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন মেয়েকেই বিয়ে করতে হয় যুবকদের। কেমন সেই বিয়ের নিয়ম? কোনও টোটো যুবক রাতের অন্ধকারে তার আত্মীয় অর্থাৎ মামার মেয়ে বা পিসির মেয়েকে পালিয়ে নিয়ে চলে আসেন নিজের ঘরে। তারপর মেয়েটির অর্থাৎ তুতো বোনের বাড়িতে খবর দেয়া হয়, তাদের মেয়েকে নিয়ে চলে এসেছেন ওই যুবক। এক বছর মেয়েটির সঙ্গে ঘর করার পর যদি যুবকের মেয়েটিকে পছন্দ না হয় কিংবা এক বছর সংসার করার পর যদি মেয়েটির সন্তান হয়, তাহলেও মেয়েটিকে ছেড়ে দিতে পারেন ওই যুবক। এরপর মেয়েটিকে ফের বাপের বাড়ি চলে যেতে হবে।
আর যুবককে প্রায়শ্চিত্ত করতে হয় পশুবলি দিয়ে। সম্প্রতি সুজন টোটো তার মামাতো বোন গোপী টোটোকে মামারবাড়ি থেকে পালিয়ে নিয়ে চলে এসেছেন। একবছর সংসার করার পর গোপীকে বিয়ে করেছেন সুজন। কিন্তু কেন? অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে, টোটোদের মধ্যে শিক্ষিতের হার কম। সেই কারণে প্রাচীন নিয়ম চলে আসছে আজও। তবে টোটো কল্যাণ সমিতির প্রধান গোকুল টোটো বলেন, ‘ইদানিং ছবিটা বদলাচ্ছে। যারা লেখাপড়া শিখছেন তাদের অনেকেই এখন এ রীতি মানছেন না। ভিন জাতিতে বিয়ের প্রবণতা বাড়ছে।’
 
Blogger Templates