Pages

Monday, August 29, 2016

বিয়ের পরে মেয়েদের স্তন নরম হয় কেন?

http://banglanews2010.blogspot.com/
একটি কারণ হলো বিয়ের আগে মেয়েদের দুশ্চিন্তা কাজ করে বিয়ে ঠিকঠাক হবে কিনা, কেমন হবে নতুন জীবন, সবকিছু ঠিকমতো হবে কিনা এসব নিয়ে। বিয়ের পর আর সেই মানসিক চাপ থাকে না। তাই রিল্যাক্সড হয়ে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস গড়ে ওঠে। যার ফলে তারা মোটা হয় এবং স্তন বড় হয়ে য়ায।



 হানিমুন, প্রচুর দাওয়াত, বিভিন্ন জায়গায় খেতে, এবং বার বার যৌন কাজ করা , এসব চলতেই থাকে। আর অনেকের মধ্যেই এমন একটা ধারণা কাজ করে যে বিয়ে হয়ে গেলে আর আকর্ষণীয় থাকার দরকার নেই। তাই তারা স্তন নিয়ে তেমন একটা চিন্তা করেন্।
বিয়ের পর ঘুম এবং খাওয়ার সময় উল্টোপাল্টা হয়ে যায় যেটা মেটাবলিজমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই মেদ জমতে শুরু করে। মেদ যত জমে স্তন তত নরম হয়।

কার সুখ বেশি, পুরুষ নাকি নারী?

http://banglanews2010.blogspot.com/
‘মহাভারতে’ এই প্রশ্ন নিয়ে বেশ তোলপাড় হয়েছিল বলেই জানা যায়। এই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল ভীষ্ম এবং যুধিষ্ঠীরের মধ্যে। জ্যেষ্ঠ পাণ্ডব প্রশ্নটি করেছিলেন শরশয্যায় শায়িত পিতামহকে।



গ্রিক পুরাণে একটা কাহিনি রয়েছে। দেবরাজ জিউস এবং দেবরাণি হেরার মধ্যে একবার এই নিয়ে তর্ক হয়, সঙ্গমে কার বেশি সুখ— পুরুষ না নারী? তর্কের মীমাংসা করতে তাঁরা তাইরেসিয়াস নামক এক দার্শনিক এবং ভবিষ্যকথকের দ্বারস্থ হন। তাইরেসিয়াস পড়েন ফাঁপরে। কাকে খুশি করবেন, স্থির করতে না পেরে খুব গেলমেলে একটা উত্তর দেন তিনি। জিউস এবং হেরা বুঝতে পারেন, তাঁদের ধোঁকা দিয়েছেন তাইরেসিয়াস। হেরা তাঁকে অন্ধত্বের অভিশাপ দেন। টাইরেসিয়াসকে দীর্ঘ অন্ধত্বের পর্ব কাটাতে হয়।
এই প্রশ্ন এ দেশের পুরাণে যে ওঠেনি, তা নয়। খোদ ‘মহাভারতে’ এই প্রশ্ন নিয়ে বেশ তোলপাড় হয়েছিল বলেই জানা যায়। এই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল ভীষ্ম এবং যুধিষ্ঠীরের মধ্যে। জ্যেষ্ঠ পাণ্ডব প্রশ্নটি করেছিলেন শরশয্যায় শায়িত পিতামহকে। ভীষ্ম তাঁকে রাজা ভঙ্গাশ্যনের কাহিনি শোনান। এই কাহিনি অনুযায়ী, দেবরাজ ইন্দ্রের অভিশাপে ভঙ্গাশ্যন নারীতে পরিণত হন। তিনি একমাত্র ব্যক্তি, যিনি পুরুষ এবং নারী— উভয়ের সঙ্গম-সুখের অনুভূতি কেমন, তা জানতেন। পুরুষ ও নারী উভয় অবস্থাতেই তিনি সন্তানলাভ করেন। সেই সব সন্তানদের একাংশ তাঁকে বাবা ও একাংশ মা বলে সম্বোধন করত। ইন্দ্র তাঁকে যখন পুনরায় পুরুষ হতে অনুরোধ করেন, তখন তিনি নারী হিসেবেই থেকে যেতে চান। কারণ হিসেবে তিনি জানান, সঙ্গমে নারীর সুখই অধিক।
তাইরেসিয়াসের মিথের সঙ্গে ভঙ্গাশ্যনের মিথের যথেষ্ট মিল রয়েছে। অন্ধত্বের আগে তাইরেসিয়াসকেও একটা বড় সময় নারী হিসেবে কাটাতে হয়েছিল। দুই পুরাণ-কাহিনির মধ্যে এই আশ্চর্য মিল কি আপতিক? মিথ-বিশ্লেষকরা জানান, এই জিজ্ঞাসা যেহতু মানুষের চিরন্তন, সেহেতু মিল থাকা স্বাভাবিক। আবার এমনও হতে পারে, ‘মহাভারত’-এর কাহিনি সাগর পেরিয়ে পৌঁছেছিল গ্রিক ভুবনে। এই কাহিনিগুলির সঙ্গে মিল রয়েছে আইরিশ পুরাণেরও। কিন্তু প্রায় সবাই একই কথা বলে— সঙ্গমে নারীর সুখই অধিক।
তন্ত্র বা সহজিয়া দর্শনে নারীকে শক্তি হিসেবে দেখা হয়। দেহ-সাধনার ক্রিয়াগুলিতে নারীর যে সক্রিয় ভূমিকার কথা তারা বলে, তাতেও প্রতীতি হয় এই সত্য। শরীর-বিজ্ঞান এই নিয়ে স্পষ্ট কিছু না বললেও এটা বোঝাই যায়, স্ত্রী-অনুভূতির ভূবনে ‘ইতিহর্ষ’ এক প্রলম্বিত বিষয়। অথচ পুরুষের বীর্যধারণ তো মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যাপার!

গর্ভপাত ও পরবর্তী জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (ভিডিও সহ)

http://banglanews2010.blogspot.com/
গর্ভপাত বা প্রসব-পরবর্তী সময়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। নয়তো অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভাবস্থা হতে পারে। এনটিভির স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৩২০তম পর্বে গর্ভপাত এবং এর পরবর্তী জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন ডা. লুৎফা বেগম লিপি। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রসূতি ও ধাত্রী বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : গর্ভপাতজনিত সমস্যায় কী ধরনের রোগী আপনারা বেশি পেয়ে থাকেন?
উত্তর : গর্ভপাতের বিভিন্ন ধরনের রোগী আমরা পাই। অনেকের কোনো কারণ ছাড়াই গর্ভপাতের সমস্যা হতে পারে। যেটা গর্ভাবস্থার যে কোনো সময়ই হতে পারে। আর কিছু কিছু রোগী আমরা পাই, অনেকে আনওয়ানটেড প্রেগনেন্সি (অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ) রাখতে চান না। তখন দেখা যায় তাঁরা গর্ভপাত করিয়ে থাকেন। হয়তো অনেকে অসচেতন বা অদক্ষ হাতে করেন। অনেক সময় তাঁরা সেপটিক অ্যাবোরশন নিয়ে আসেন। এ সমস্ত রোগীকে আমাদের বেশি ব্যবস্থাপনা করতে খুব হিমশিম খেতে হয়।
প্রশ্ন : গর্ভপাতের ঝুঁকিগুলো নিয়ে একটু বলুন।
উত্তর : এটি নির্ভর করবে কত মাস সে গর্ভাবস্থায় ছিল এর ওপরে। যদি প্রাথমিক অবস্থায় গর্ভপাত হয়, তখন রক্তপাতের ঝুঁকি বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তবে যতই তার গর্ভাবস্থার সময়টি বাড়তে থাকে, তত তার রক্তপাতের সময় অতিরিক্ত ক্ষরণ, সংক্রমণ এগুলো বাড়ার ঝুঁকি থাকে।
আগে দেখা যেত গর্ভপাতের কারণে অনেক বেশি মৃত্যু হতো। তবে দিনে দিনে জিনিসটি কমে আসছে।
 প্রশ্ন : গর্ভপাত করাতে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে?
উত্তর : গর্ভপাত করানোর অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন, হয়তো একজন ছাত্রী, সে বৈবাহিক জীবন শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে হয়তো সন্তান ধারণ করল, সে গর্ভপাত করাতে চাইতে পারে। যেহেতু সে জন্ম নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা সম্বন্ধে ভালো করে জানত না তাই অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভাবস্থা হয়তো হয়েছে। আবার দেখা যায় কিছু মেডিকেল ডিজঅর্ডার আছে, এগুলোর ক্ষেত্রে গর্ভধারণ করলে তার জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে, তখন গর্ভপাত করানো হতে পারে।
আবার অনেক সময় দেখা যায় কিছু ত্রুটিযুক্ত শিশু হলে, যেহেতু এই বাচ্চাগুলো বাঁচবে না তখন মায়েদের গর্ভপাত করাতে হয়।
এ বিষয়ে মায়েদের ক্ষেত্রে একটি কথা বলার থাকবে তারা যেন এমন অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে গর্ভধারণ না করে। সেই জন্য তাকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আবার কিছু সামাজিক সমস্যার জন্য কিন্তু এমন অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত হতে পারে।
গর্ভপাতের জন্য যদি দক্ষ চিকিৎসকের কাছে যাওয়া হয়, তাহলে গর্ভপাতের রেশ ধরে যে সমস্যা হয়, যেমন : সেপটিক অ্যাবরশন শক, সংক্রমণ এগুলো হয়তো বা হবে না। মায়ের মৃত্যু হবে না।
প্রশ্ন : গর্ভপাত বা প্রসবের পরে যদি কেউ জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চায়, সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা কী হবে?
উত্তর : প্রত্যেকটি মা যখন অ্যাবোরশন করায় বা প্রসব হয়, আমরা এখন জোর দিই তার জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর। যেন শিশু অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত আবার না হয়। অনেক সময় দেখা যায় ছোট একটি বাচ্চাকে নিয়ে সে আরেকটি গর্ভাবস্থা নিতে চায় না। আবার দেখা যায়, কোন জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তার জন্য উপযুক্ত সেটা সে বুঝতে পারে না। আমরা বলি, যেদিন তার অ্যাবোরশন হবে সেদিন থেকে সে যেকোনো পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারে। যদি সে স্বল্পমেয়াদি বিরতি চায় সে ক্ষেত্রে খাওয়ার ওষুধ ব্যবহার করতে পারে, কনডম ব্যবহার করতে পারে। আবার তিন মাস মেয়াদি যে ইনজেকশন রয়েছে সেটি দিতে পারে।
যদি কেউ চায় এখনই বাচ্চা নেব না, দীর্ঘমেয়াদি একটি ব্যবস্থা নেবে, এ ক্ষেত্রে ইমপ্লেনন আছে। এটি কাঠির মতো, হাতে আটকে দেওয়া হয়। সেটি তিন বছর মেয়াদেরও আছে। পাঁচ বছর মেয়াদেরও আছে। আরেকটি আছে জরায়ুতে আমরা প্রতিস্থাপন করে দিই একে কপার-টি বলা হয়। এটি ১০ বছর সুরক্ষা দেবে। এটি নন হরমোনাল পদ্ধতি। এতে হরমোন নেই। মায়েদের মুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। রক্তচাপ বাড়ার আশঙ্কা নেই। অনেক সময় এই জটিলতাগুলো দেখা দেয়। সবারই উচিত একটি জন্মনিয়ন্ত্রক পদ্ধতি ব্যবহার করা। কারণ গর্ভপাতের পর অষ্টম দিনের মাথায় ওভুলেশনের আরেকটি চক্র হতে পারে। মানে ডিম ফুটে যেতে পারে। তাই সে যদি ব্যবস্থা না নেয়, দেখা যায় পরবর্তী ঋতুস্রাব হওয়ার আগেই একটি গর্ভধারণ হচ্ছে।
প্রশ্ন : জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি কার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে সেটি নিরূপণ করেন কীভাবে?
উত্তর : বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা যেমন অনেক সময়ন মাইগ্রেন থাকে, জটিল ধরনের মাথাব্যথা থাকে, কার্ডিয়াক কিছু সমস্যা থাকে, তাদের মুখের খাওয়ার পিল আমরা এড়িয়ে যেতে বলি। সে ক্ষেত্রে নন-হরমোনাল আইওসিডি উপযুক্ত। আবার অনেকে দেখা যায় একটি বাচ্চার পর তিন চার বছর নেবে না। তাদের ক্ষেত্রে ইমপ্লেনন যেটি আমরা বলছি, সেটা তার জন্য উপযুক্ত।
আরেকটি বিষয় রয়েছে, যারা তরুণ, একদমই নতুন বিয়ে করেছে, ক্যারিয়ার গড়তে চায়, লেখাপড়া শেষ করতে চায়, একটি লম্বা বিরতি নিতে চায়, তাদের ক্ষেত্রে পিল খাওয়া সমস্যার হয়ে যায়। পড়ালেখার মাঝখানে দেখা যায় পিল খেতে সে হয়তো ভুলে যায়। সেই সমস্ত ক্ষেত্রে ইমপ্লেনন নিরাপদ। ইমপ্লেনন তিন বছরের সুরক্ষা দেবে। পরবর্তী সময়ে বাচ্চা নেওয়ার সময়ও তার সমস্যা হবে না। কাজেই সে সহজে তিন বছরের জন্য একটি নিশ্চিন্ত জীবন পাচ্ছে।
প্রশ্ন : জন্মনিয়ন্ত্রক পদ্ধতির কি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?
উত্তর : আসলে যে কোনো ওষুধের মধ্যেই তো কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। সেটা আসলে আমাদের বুঝতে হবে। যেমন ওষুধ খাওয়াতে আমাদের অনেক অনীহা। প্রতিদিন খেতে হবে। মাথা ব্যথা করে, মাথা ঘোরে, বমি বমি ভাব হয়, মোটা হয়ে যায়। এই সমস্ত সমস্যার কারণে অনেকে ওষুধ খেতে চায় না। আবার কপার-টি দেওয়া হবে, এতে জরায়ু অনেক সময় ফুটো হয়ে যায়, স্বামী পছন্দ করছে না-এ ধরনের কিছু সমস্যা থাকে। এ থেকে ভালোভাবে যদি রোগীকে পরামর্শ দিই তখন কিন্তু অনেক সময় পরিত্রাণ পেয়ে যায়। একটি ওষুধ নতুন এসেছে যেটি খেলে মোটা হওয়ার ঝুঁকি থাকে না। এটি ব্যবহার করতে পারে। হার্টের সমস্যা থাকলেও সে সুরক্ষা দেয়। আর যে হরমোনাল পদ্ধতি চাচ্ছে না, তাদের ক্ষেত্রে আমরা কপার-টি করতে পারি। দক্ষ হাতে যদি কেউ কপারটি পরে, এটি ১০ বছরের জন্য সুরক্ষা দেবে এবং হরমোনের জন্য তার কোনো জটিলতা হবে না। এতে সে ভালো থাকবে।
প্রশ্ন : এই দক্ষ হাত কোথায় পাবে?
উত্তর : এখন সরকারিভাবে বিভিন্ন মডেল ক্লিনিক থাকে, এই ক্লিনিকগুলোতে সবাই দক্ষ। এখানে সবাইকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আগে যেমন পরিবার পরিকল্পনায় জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাগুলো দিত। এখন স্বাস্থ্য সেক্টরে যারা কাজ করি, তারাও কিন্তু এই ইমপ্লেনন, কপার-টি করার জন্য আমরাও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
স্বাস্থ্য সেক্টরের যখন কোনো অ্যাবোরশন পাই তখন কিন্তু দক্ষ হাতেই বিষয়টিকে ব্যবস্থা করে থাকি। আবার প্রসবের পরপর এখন কপার-টি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। সিজারের সময়ই আমরা অনেক সময় কপার-টি করে দিচ্ছি। এতে আর পরবর্তী সময়ে আসতে হচ্ছে না। আমরা সব বের করে পরিষ্কার করে কপার-টি লাগিয়ে দিয়ে সেলাই দিয়ে দিই। আবার স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রেও কিন্তু এটি করা হয়। একই সঙ্গে সে কিন্তু দুটো সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে।

মানুষকে চিরযৌবন দিতে শিগগিরই আসছে এক মহৌষধ

http://banglanews2010.blogspot.com/
চিরযৌবনময় করে রাখতে চায়। কিন্তু শত চেষ্টা করেও কারো পক্ষে তা ধরে রাখা সম্ভব হয় নি। মানুষের সেই চাওয়া বোধহয় এবার পূরণ হবে! বিজ্ঞানীরা এবার চিরযৌবনের ট্যবলেট আবিষ্কার করতে চলেছেন। যা সেবন করলে আয়ু বাড়বে ১০ বছর, সেই সঙ্গে থাকবে যৌবনের উল্লাস। মার্কিন একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, মানুষকে চিরযৌবন দিতে তারা শিগগিরই নিয়ে আসছেন এক মহৌষধ।



এ ওষুধ মানুষের অকালবার্ধক্যকে ঠেকাবে। সেই সঙ্গে আয়ুও বাড়িয়ে দেবে ১০ বছরের বেশি। বিজ্ঞানীরা বলেন, এই গবেষণার জন্য তারা হাচিসন গ্লিফোর্ড প্রোজেরিয়া সিনড্রোমে (এইচজিপিএস) আক্রান্ত শিশুদের ত্বকের কোষ নিয়েছিলেন। এটি বিরল রোগ। এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা খুব তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যায়। সাধারণত তাদের ১২ বছর বয়সে মৃত্যু হয়। বিজ্ঞানীরা ‘র‌্যাপামাইসিন’ নামের এক ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে ওই শিশুদের কোষকে সারিয়ে তুলেছেন। বিজ্ঞানীরা এ ওষুধকে বলছেন ‘চিরযৌবনের ওষুধ’।
মানবদেহের কোনো অঙ্গ প্রতিস্থাপন করলে শরীরের প্রতিরোধব্যবস্থা দুর্বল করার জন্য র‌্যাপামাইসিন ব্যবহার করা হয়। এটি তৈরি করা হয়েছে ইস্টার আইল্যান্ডের মাটিতে পাওয়া এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে।

দাম্পত্য জীবনে যদি সন্তান না হয়, কি করবেন?

http://banglanews2010.blogspot.com/
দাম্পত্য জীবনে সন্তান না হওয়া নানা কারণ হতে পারে। সেটা অনিচ্ছা, দম্পতির মতের মিল অমিল এবং সবচাইতে বড় ব্যাপার হচ্ছে শারীরিক অক্ষমতার কারণে ঘটতে পারে। তাই বলে সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে হতাশ হয়ে গেলে চলে না। সন্তান না হওয়া মানেই দাম্পত্য জীবনের শেষ নয়! সন্তান ছাড়াই আপনি আপনার সঙ্গীর সাথে জীবন কাটাতে পারেন। তাই এই ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে কিছু জিনিস অনুসরণ করতে পারেন।
১. আপনার অনুভূতি গুলো ব্যক্ত করুনঃ
যখন আপনি নিশ্চিত হবেন যে আপনাদের দাম্পত্য জীবনে কোন সন্তান আসছে না, তাহলে সবার আগে যে কাজটি করণীয় সেটা হচ্ছে আপনার ভেতরে যদি কোন হতাশা, ক্রোধ, দুঃখ থেকে থাকে সেগুলো ঝেড়ে ফেলুন। মনে রাখবেন, এই কাজটি একবারই করবেন। বার বার যেন আপনার জীবনে চলার পথে এসব জিনিস বাধা হয়ে না দাঁড়াতে পারে। দরকারে আপনার সঙ্গীর সাহায্য নিন। তার সাথে আপনার অনুভূতি শেয়ার করুন।
২. বাস্তবতাকে মেনে নিনঃ




যখন ভেতরের সব হতাশা, ক্রোধ, দুঃখ নিঃশেষ হয়ে যাবে তখন মাথা ঠাণ্ডা করুন। তারপর ব্যাপারটির গভীরতা চিন্তা করুন। তারপর বাস্তবতা মেনে নেয়ার চেষ্টা করুন। কি হতে পারতো কিংবা কি হয় নি সেগুলো চিন্তা না করে বর্তমানে কি হচ্ছে সেদিকে নজর দিন। তারপর সন্তান ছাড়া আপনার ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে সেটা ভাবুন এবং ঠিক সেইভাবে প্রস্তুতি নিন। আর একটা ব্যাপার, যদি সন্তানের জন্য কোন ধরণের খেলনা বা অন্যান্য জিনিসপত্র কিনে থাকেন সেগুলো প্যাক করে দূরে সরিয়ে দিন। সবচাইতে ভালো হয় যদি জিনিসগুলো এমন কাউকে দিয়ে দিন যার কাজে লাগতে পারে।
৩. আপনার শরীরের খেয়াল রাখুনঃ
যেটা হয়েছে সেটা হয়েছেই। তার জন্য নিজের জীবন বিপদের মুখে ঠেলে দেয়ার মানে নেই কোন। আর মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার জন্য সুস্থ শরীর প্রয়োজন। তাই এইসময়ে নিজেকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত ঘুমান, ঘুম না আসলে হালকা ডোজের ঘুমের ওষুধ নিন। তার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়া করুন, মানসিক চাপ কমানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।
৪. নৈতিবাচক আবেগ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখুনঃ
এই ধরণের পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে হতাশা ঘিরে ধরবে এইটাই স্বাভাবিক। তাই আগে থেকে সাবধান করুন। দাম্পত্যের শুরুতে বা মাঝামাঝি হতাশা ঘিরে ধরলে অনেক বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কখনো ভাববেন না আপনি ব্যর্থ। কেবল মাত্র সন্তান হলেই সফল হবেন এই ধরণের চিন্তা ভাবনা মাথায় আনার মানে নেই। তার পাশাপাশি রাগ, ভয় এই ধরণের অনুভূতিগুলোও সরিয়ে রাখুন। কারণ রাগের মাথায় নেয়া কোন সিদ্ধান্তই কখনো ভালো হয় না। এছাড়া ইনসোমনিয়া, অরুচি, মাথাব্যাথা এই ধরণের শারীরিক অসুস্থতার ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারে শরণাপন্ন হোন।
৫. বন্ধু বান্ধবের সাথে সময় কাটানঃ
আপনার এই সময়টাতে বন্ধু বান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনের সাথে সময় কাটানো অনেকটাই জরুরী। এতে আপনার মধ্যে থাকা একাকীত্ব, হতাশাজনক অনুভূতিগুলো অনেকাংশেই কমে যাবে।
৬. যদি সামর্থ্য থাকে, তাহলে দত্তক নিনঃ
সন্তান জন্ম দিলেই পিতামাতা হওয়া যায় এমন ভাবার কোন কারণ নেই। যদি আপনি প্রস্তুত থাকেন এবং আপনার সঙ্গী আপনার সাথে একাগ্রতা প্রকাশ করে তাহলে অনাথ শিশুদের প্রতিষ্ঠান থেকে সন্তান দত্তক নিতে পারেন। তবে যদি তা না চান তাহলে শিশুদের কাছাকাছি থাকার আরো পথ আছে। আপনার বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনের বাচ্চাদের সাথে সময় কাটান, কিংবা এমন কোথাও কাজ করতে পারেন যেখানে শিশুদের সরাসরি যোগাযোগ আছে। যেমনঃ কিন্ডারগার্টেন স্কুল, শিশু বিষয়ক সামাজিক প্রতিষ্ঠান।
৭. সবশেষে নিজেকে সময় দিনঃ
যদি সন্তান নেয়ার ব্যাপারটা না ঘটে, তাহলে নিজেকে সময় দিন। আপনার ক্যারিয়ারে মনোযোগ দিতে পারেন। আপনি গৃহিণী হলে ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অনলাইন বুটিক হাউজ, কেক শপ এই ধরণের। এতে আপনি ব্যস্ত থাকবেন, আর আপনার নিজের একটি ক্যারিয়ারও হবে।
সব মিলিয়ে সন্তান জন্ম না দিতে পারা একটি দুঃখের বিষয়। কিন্তু তাই বলে নিজের জীবন এইজন্য ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়ার মানে নেই। নিজেকে শক্ত করুন, আত্মবিশ্বাস আনুন। সঙ্গীর সাথে সুখী জীবনযাপন করুন।.

চুমু কত রকম, জানেন? জেনে নিন ১৫টির নাম-ধাম

http://banglanews2010.blogspot.com/
জীবনের অত্যন্ত মধুর এক অভিজ্ঞতা হল চুমু। কাল চুম্বন দিবস। তার আগে দেখে নিন কত রকমের চুমু হয় পৃথিবীতে।
ফ্রেঞ্চ কিস
ঠোঁটের অন্দরে অন্দরে কথা হয় এই চুমুতে। জিভ ছুঁয়ে যায় মুখের ভিতরের জমি। এমন নামকরণের কারণ, বিশ শতকের গোড়ায় ফ্রান্সে এই ধরনের চুমু খাওয়া শুরু হয়েছিল। ফরাসীরা বরাবরই যৌনতায় নতুন ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালবাসে। সেখান থেকেই এই চুমু আর তার নামের উৎপত্তি।
এস্কিমো কিস
নাকে নাক ঘষে আলতো আদর। এই হল এস্কিমো কিস। প্রথম এই বিষয়টি সকলের নজরে পড়ে এস্কিমোদের জীবন নিয়ে ১৯২২ সালে তোলা রবার্ট ফ্লহার্টি-র পৃথিবীবিখ্যাত তথ্যচিত্র ‘নানুক অফ দ্য নর্থ’-এ।
সিঙ্গল-লিপ কিস



একজনের ঠোঁটের ফাঁকে যখন আর একজনের ঠোঁট থাকে, অনেকটা স্যান্ডউইচের মতো, তখন তাকে বলে সিঙ্গল-লিপ কিস। প্রেমের প্রথমদিকে কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে এমন কিস খুবই রোম্যান্টিক।
বাটারফ্লাই কিস
চুমু খাওয়ার সময় যদি দু’জনের চোখের পাতা ঠেকাঠেকি হয়ে যায় তবে প্রজাপতির পাখার মতোই ডানা ঝাপটায়। তেমন চুমুই হল বাটারফ্লাই কিস।
ম্যারাথন কিস
এমন চুমুর কোনও সময়জ্ঞান থাকে না। এ হল অনন্ত চুম্বন যার শুরু আছে কিন্তু কোনও শেষ নেই।
স্পাইডারম্যান কিস
স্পাইডারম্যান কীভাবে চুমু খায় বলুন তো? সে ঝোলে শূন্য থেকে উলটো হয়ে আর তার প্রেমিকা দাঁড়িয়ে থাকে মাটিতে। কিন্তু তাতে প্রেমের গভীরতার কোনও অভাব থাকে না। অভিনব নিঃসন্দেহে। শূন্যে ঝুলতে হবে না, বিছানায় শুয়েই এমন মিষ্টি চুমু খেতে পারেন।
লিপ গ্লস কিস
এ হল প্রেম-খেলার চুমু। সঙ্গীর ঠোঁটে লিপ গ্লস বা লিপস্টিক মাখিয়ে দেওয়া হয় আগে। তার পর মুহুর্মুহু চুম্বন যতক্ষণ না একজনের ঠোঁটের রং সম্পূর্ণভাবে চলে যায় অন্যজনের ঠোঁটে।
লিজি কিস
জিভ দিয়ে একে অপরের ঠোঁট লেহনই হল লিজি কিস। বেশ একটা কিংকি ভাব রয়েছে গোটা ব্যাপারটায়।

শরীরের কোন অংশ কাঁপলে কী হয়, জানেন?

http://banglanews2010.blogspot.com
ডান চোখ নাচলে অমুক হয়, বাঁ চোখে নাচলে তমুক হয়, এমন কথা কতবার শুনেছেন?
জ্যোতিষী বিদ্যা জানাচ্ছেন দেহের কোন স্পন্দন করলে কী ফল পেতে পারেন।
১-মাথা ঢিপঢিপ করলে: ভূমি লাভ
২-কপাল ঢিপঢিপ করলে: স্থান বৃদ্ধি
৩-ভ্রু বা নাক কাঁপলে: প্রিয়জনের সঙ্গে সঙ্গম
৪-চোখ কাঁপলে: আনুগত্য প্রাপ্তি
৫-ডান চোখ কাঁপলে: অর্থ লাভ বা বন্ধু সমাগম
৬-ডান
চোখের নীচের অংশ কাঁপলে: যন্ত্রণা
৭-বাঁ চোখে কাঁপলে: অর্থহানি, কলহ
৮-চোখের কোন কাঁপলে: স্ত্রী লাভ
৯-ঠোঁট কাঁপলে: ইচ্ছাপূরণ
১০-গলা কাঁপলে: সুখ, ধন, ভোজন
১১-জিভ কাঁপলে: বন্ধু লাভ
১২-তালু কাঁপলে: বিবাদ ভয়
১৩-ডান কান কাঁপলে: বিদ্যা, স্ত্রী ও কুটুম্ব লাভ
১৪-বাঁ কান কাঁপলে: মাথা যন্ত্রণা
১৫-দুই কান এক সঙ্গে কাঁপলে: ধন এবং সন্তোষ লাভ
১৬-কানের প্রান্ত কাঁপলে: প্রিয় সংবাদ

যে বয়সে যৌনজীবন হয়ে ওঠে সবচেয়ে রোমাঞ্চকর

http://banglanews2010.blogspot.com/
সবাই জানেন যে, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে মানুষের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে আসে। কিন্তু কানাডার ইউনিভার্সিটি অব গুয়েলপ-এর বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় উঠে এসেছে ভিন্ন ফলাফল। তাতে বলা হয়, বয়স ৪০-এর কোঠায় পৌঁছলেই যৌনজীবনটা হয়ে ওঠে আরো রোমাঞ্চকর।
এ গবেষণায় কানাডার ২৪০০ জন মানুষের ওপর জরিপ চালানো হয়। এদের সবার বয়স ৪০-৫৯ বছরের মধ্যে। তাদের যৌনস্বাস্থ্য, সুখের মাত্রা এবং তৃপ্তি সম্পর্কে তথ্য নেওয়া হয়। তাদের যৌন আচরণ ও উদ্দীপনাও বিবেচনায় আনা হয়।
প্রধান গবেষক এবং সেক্সুয়ালিটি অ্যান্ড রিলেশনশিপ রিসার্চার রবিন মিলহাউসেন জানান, মানুষের মনে সাধারণ এক ধারণা কাজ করে যে, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে যৌনতা গুরুত্ব হারায়। এটি কম উপভোগ্য হয়ে ওঠে। তা ছাড়া ঘন ঘন করতেও আর ভালো লাগে না। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, মধ্যবয়সের শুরুতেই যৌনতা সবচেয়ে বেশি গভীরতা পায়। এতে তৃপ্তির মাত্রা চূড়ায় পৌঁছে। জরিপে এ তথ্যই পাওয়া গেছে। কানাডায় মধ্যবয়সীরাই তৃপ্তিকর যৌনতা উপভোগ করেন।





দেশটির সেক্স ইনফরমেশন অ্যান্ড এডুকেশন কাউন্সিল অব কানাডা (এসআইইসিসিএএন) এবং ট্রোজান নামের এক কনডম কম্পানির যৌথ গবেষণায় এসব তথ্য প্রকাশ পায়। যৌন আকঙ্ক্ষা বা তৃপ্তি বয়সের সঙ্গে কমে আসে না।
জরিপে দেখা গেছে, এ বয়সী মানুষরা তাদের শেষ যৌনকর্মকে সবচেয়ে তৃপ্তিকর বলে উল্লেখ করেছেন। এদের প্রত্যেকেই প্রাথমিক অবস্থায় নিজেদের মধ্যকার আবেগগত সম্পর্ক নিয়ে সন্তুষ্ট।
জরিপকৃতদের ৬৩ শতাংশই মনে করেন, বয়স্করা মনে করেন তারা যৌনতায় আরো নতুন নতুন বিষয় চেষ্টা করতে পারেন। আরেক তথ্যে বলা হয়, ৫৫-৫৯ বছর বয়সীদের ২২ শতাংশ পুরুষের এবং ২৬ শতাংশ নারীর লুব্রিকেন্ট ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে।
মিলহাউসেন জানান, সম্পর্ক এবং যৌনতার মধ্যকার তৃপ্তি একে অপরের সঙ্গে জড়িত। এ দুয়ের সমন্বয়েই তৃ্প্তিকর অনুভূতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে যায়।
এ ছাড়া বিবাহিত মানুষের জীবনে যৌন তৃপ্তি একাকীদের চেয়েও অনেক বেশি থাকে বলে জানানো হয় গবেষণায়।

Wednesday, August 24, 2016

‘আশা’ কনডম নিয়ে বিড়ম্বনায় স্বাস্থ্যকর্মীরা

http://banglanews2010.blogspot.com/
নাম নিয়ে কত কাণ্ডই না ঘটে।তাই বলে কনডমের নাম নিয়ে লঙ্কা কাণ্ড! কনডমের নাম আশা, আর তাই নিরাপদ যৌনমিলনের প্রচার চালাতে ঘরে ঘরে এই কনডম পৌঁছতে বিড়ম্বনা বোধ করছেন আশা কর্মীরা। কনডমের নাম বদল হওয়া না পর্যন্ত এই প্রচারে অংশগ্রহণ তারা করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের আশা কর্মীরা।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে নিরাপদ সেক্স-এর প্রচার চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে গ্রামের পড়ালেখা না জানা মহিলাদের উৎসাহ দিতে বিনামূল্যে জন্মনিয়ন্ত্রক জাতীয় ওষুধের পাশাপাশি কনডমও ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবে।



মে মাসে যখন নতুন প্যাকেটগুলি আসে তখন তার নাম ডিলাক্স-এর পরিবর্তে আশা করে দেওয়া হয়। আর তাতেই বিড়াম্বনায় পড়তে হয় আশা কর্মীদের। আশা কর্মীদের একাংশের কথায়, প্রথমে কর্মী হিসাবে আমাদের শোষণ করা হয়েছে, আর এখন ওরা আমাদের ভাবমূর্তিকেও কালিমালিপ্ত করছে। এখন লোকে আমাদের বলে, ‘একটা আশা দে তো, আমাদেরকে নিয়ে বিদ্রূপ করে লোকজন। আমাদের পক্ষে এটা সত্যিই খুব বিড়াম্বনার এবং অপমানজনক।’
সরকারের নজরে কনডমের এই নতুন প্যাকেট আরও বেশি আকর্ষণীয় করা হয়েছে। যদিও আশাকর্মীদের নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, আশা কর্মীরা এই কনডমের প্যাকেট বিতরণ বয়কট করেছে। যতক্ষণ সরকার এই কনডমের নাম না বদলাচ্ছে ততক্ষণ আশা কর্মীরা এই নয়া কনডমের প্যাকেট বিতরণ করবে না।
আশা কর্মীদের চাপে পড়ে সরকার কনডমের নাম পরিবর্তন করে কি না তা তো সময়ই বলবে। তবে এই নামের জেরে কেন্দ্রের এই জাতীয় প্রচার যে আপাতত মাথায় উঠেছে তা নিয়ে কোনও অন্তরায় নেই।

ন্যাপকিন থেকেও হতে পারে নারীদের জরায়ুর ক্যান্সার !

http://banglanews2010.blogspot.com/
আধুনিক যুগের কর্মব্যস্ত নারীদের ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়গুলোতে তাদের প্রধান সঙ্গী হয়ে ওঠে স্যানিটারি ন্যাপকিন। এই স্যানিটারি ন্যাপকিনই হতে পারে জরায়ু ক্যান্সারের কারণ! বিশ্বব্যাপী ৭৫% নারীই পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে যৌনাঙ্গে চুলকানি, র‍্যাশ ও ব্যথা বোধ করেন। যার জন্য বেশিরভাগই দায়ি থাকে স্যানিটারি ন্যাপকিন।
আসুন জেনে নেয়া যাক বিজ্ঞানের দৃষ্টি থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিনের স্বাস্থ্যঝুঁকি।
  • ইউএস এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সির গবেষণায় পাওয়া গেছে, স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ডাইঅক্সিন (Dioxin) নামক এক ধরণের কেমিকেল। যা সরাসরি ক্যান্সারের জন্যে দায়ী। এছাড়া জরায়ুর নানা ধরনের সংক্রমণের জন্যেও দায়ী থাকে।
  • এই এজেন্সির ১৯৯৬ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিটি স্যানিটারি ন্যাপকিনে ডায়োক্সিন থাকে ৪০০ পিপিটি। এই ডায়োক্সিন সন্তাণ ধারণ ক্ষমতা ও জরায়ুর নানা ধরনের রোগের জন্যও দায়ী।
  • দীর্ঘ সময় ধরে সুরক্ষা দেয় যে ন্যাপকিন গুলো, সেগুলো রক্তকে জেলে পরিণত করে ফেলে। কিন্তু ৫ ঘন্টা পরেই সেখানে ফাঙ্গাস জন্মাতে শুরু করে। আর ত্বকের সংস্পর্শে এসে নানা ধরনের জরায়ুর সংক্রমণ, লাল র‍্যাশ সহ চুলকানী হতে পারে।
  • প্যাডের নিচে থাকা প্লাস্টিকের কারণে রক্ত যেমন বাইরে বের হতে পারে না, তেমনি বাতাস চলাচলেও বাধা পড়ে। ফলে স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় সহজেই ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেয়। এ থেকে সংক্রমণও হতে পারে।
  • প্রস্তুত প্রক্রিয়ার বিভিন্ন সময়ে নানা কেমিক্যাল ওয়াশের প্রয়োজন হয়। এর ফলে কিছু কেমিকেল রয়েই যায়। যা ত্বকের সংস্পর্শে এলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
যে কোম্পানীর ন্যাপকিনই ব্যবহার করুণ না কেন, চেষ্টা করুন, তা দীর্ঘ সময় ব্যবহার না করার। ব্যবহারের জন্য তুলোর তৈরি ন্যাপকিন বেছে নিন। যা পাঁচ ঘন্টা পর পর বদলে নেয়া যায়।

টাকা বাড়ানোর সহজ উপায়

http://banglanews2010.blogspot.com
মাসে ভালোই আয় করছেন। খরচের পাশাপাশি জমাও করছেন। কিন্তু টাকা জমিয়ে খরচের সঙ্গে সঙ্গে টাকাটা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। সঠিক ভাবে প্ল্যানিং করে এগোলে বছরের শেষে ভরে উঠবেই আপনার ব্যাঙ্ক-ব্যালান্স। কিন্তু, বিনিয়োগ করবেন কোন খাতে আর এড়িয়ে চলবেন কোন দিক, তা ঠিক করতেই কপালে ভাঁজ পড়ে অনেকের। নুতন হোক বা পুরনো বিনিয়োগকারী— বেশ কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চললে আগামী দিনে এর সুবিধা মিলবেই।
১। বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ: কখনই কোনও একটি খাতে ১০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ করবেন না। ঝুঁকি কমাতে শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ডেট ফান্ড, এসআইপি বা ফিক্সড ডিপোজিটে-সহ বিভিন্ন খাতে বিনিযোগ করুন।
বুঝে শুনে বিনিয়োগ করবেন: বিনিয়োগের আগে টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন ভাল করে বুঝে নিন। অনেকেই না বুঝে একসঙ্গে অনেক টাকা বিনিয়োগ করে বসেন। পাশাপাশি, ইনভেস্টমেন্ট পেপার খুঁটিয়েও পড়েন না। মন দিয়ে তা পড়ে তবে বিনিয়োগ করা উচিত।
৩। দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগ: স্বল্প সময়ের জন্য নয়, বিনিয়োগ করুন দীর্ঘকালীন মেয়াদে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার বিনিয়োগে সুদ বাড়বেই। এতে আখেরে লাভবান হবেন আপনিই। শেয়ার বাজার থেকে চটজলদি মুনাফার লোভে না পড়ে দীর্ঘকালীন মেয়াদে গেলে তার ফল পাবেনই।
৪। নিয়মিত বিনিয়োগ: মাঝেমধ্যে নয়, নিয়মিত ভাবে বিনিয়োগ করুন। এতে বাজারে ওঠাপড়ার আঁচ থেকে বাঁচতে পারবেন। শৃঙ্খলাবদ্ধ বিনিয়োগ হলে তার ফল মিলবেই। পাশাপাশি, নিজের পোর্টফোলিও নজরে রাখুন। বাজারের ওঠাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগের ক্ষেত্র বদলান।
৫। বাজারের খবরাখবর রাখুন: নিজেকে সব সময় আপডেটেড রাখুন। খবরের কাগজ, বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইনভেস্টমেন্টের খুঁটিনাটি খবর পড়ুন। এতে বিনিয়োগের নানা দিক সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হবেন। ফলে এ সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব দিক জেনেশুনে এগোতে পারবেন।
৬। কেবলমাত্র কর বাঁচাতে বিনিয়োগ করবেন না: অনেকেই কেবলমাত্র কর বাঁচাতে বিনিয়োগ করেন। এর ফলে তারা অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের সুযোগ হারান। সম্ভাব্য সব দিক দেখে বিনিয়োগ করুন বিভিন্ন ক্ষেত্রে। মনে রাখবেন, কর বাঁচানো ছাড়াও আপনার পোর্টফোলিও শক্তিশালী করাটাও জরুরি।
৭। মুনাফার অংশ বিনিয়োগ করুন: এ যেন মাছের তেলে মাছ ভাজা। নিজের গাঁটের কড়ি খরচ না করে পূর্ব-বিনিয়োগের মুনাফার অংশ ফের কাজে লাগান। নিজের রিটায়ারমেন্টের টাকা বা জমানো অর্থ কখনই বাজারে খাটাবেন না।



৮। প্রয়োজনে পেশাদারের সাহায্য নিন: নিজে না বুঝলে বিনিয়োগ করবেন না। প্রয়োজনে পেশাদারের সাহায্য নিলে তার সুবিধা পাবেনই। ইনভেস্টমেন্টের ক্ষেত্রে পরামর্শদাতাদের ভূমিকা তুলনাহীন। এ রকম অনেক সংস্থা রয়েছে যারা আপনাকে সঠিক পরামর্শ দেবে। সামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এদের সাহায্য নিন।

Sunday, August 21, 2016

একজন চরম দুর্বল পুরুষকে সবল শক্তিশালী করতে অতি প্রয়োজনীয় ৪টি খাবার!

http://banglanews2010.blogspot.com/
বেশীরভাগ পুরুষেরা তাদের খাদ্য সম্পর্কে সচেতন নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, নারী ও পুরুষ উভয়েরই নিজেদের খাদ্য তালিকার প্রতি সচেতন হওয়া জরুরী। উভয়ের খাদ্য তালিকায় পরিবর্তনও রয়েছে বটে। আসুন জেনে নেয়া যাক, পুরুষের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার সমূহের নাম-

১. টমেটো:
টমেটো, এর বিভিন্ন সুবিধার কারনে অনেক বেশী সুপরিচিত। টমেটোর অসাধারণ পুষ্টিগুণের কারনে এটি “সুপারফুড” নামে পরিচিত। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমানিত, টমেটোতে রয়েছে “লিকোফিন” যা কলোরেক্টাল ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সার, হৃদরোগ ও কোলেস্টেরল কমাতে অনেক উপকারী।
২. ঝিনুক বা শুক্তিসমূহ:
ঝিনুক বা শুক্তিসমূহে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক রয়েছে। যা, পুরুষদের প্রজনন ও যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। জিঙ্ক শরীরের টেসটোসটের মাত্রা বজায় রাখে যা সুস্থ শুক্রাণু উৎপাদনের জন্য অন্যতম। এটি চুলের জন্য অনেক ভালো।
৩. গোটা শস্য:
সব ধরণের শস্যতে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং ফাইবার রয়েছে। ওট এবং বাদামী চালে (ব্রাউন রাইস) ভালো পরিমাণে ভিটামিন বি রয়েছে। যা বিষণ্ণতা উপশম করতে সাহায্য করে। গবেষণায় আরও পাওয়া গেছে, বায়টিন চুলের ক্ষতিকে বাধাপ্রাপ্ত করে এবং ফলেট শুক্রাণু সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। যা শস্যতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
৪. রসুন:
আমরা সকলেই জানি, রসুন আমাদের হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। যারা প্রতিদিন রসুন খাওয়ার অভ্যাস করছেন, তাদের কোলেস্টেরল এর মাত্রা অনেক কমে যাবে। তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধিত হবে।

Tuesday, August 16, 2016

১০ উপায়ে সুস্থ রাখুন লিভার

http://banglanews2010.blogspot.com/
শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার। সুস্থ থাকতে লিভারের খেয়াল রাখতেই হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লিভার খারাপ হওয়ার কারণ হয় কিছু বদ অভ্যাস। জেনে নিন লিভার সুস্থ রাখার ১০টা সহজ নিয়ম।
১। লো ফ্যাট ফুডেনা’- ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এড়াতে অতিরিক্ত মদ্যপান, তেল-মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত্ ঠিকই, তবে লো ফ্যাট ফুড হইতে সাবধান। সুপারমার্কেটে গিয়ে লো ফ্যাট বা ৯৯ শতাংশ লোয়ার ইন ফ্যাট লেখা ফুড কেনা অবিলম্বে ত্যাগ করুন। এই সব খাবার থেকে ফ্যাট বাদ দেয়া হয় ঠিকই, কিন্তু স্বাদ ধরে রাখতে যোগ করা হয় প্রচুর পরিমাণ চিনি। এতে লিভারের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
২। স্ট্রেস থাকলে খাবেন নাবোর হলে, এনার্জি কম লাগলে কী করি আমরা? অনেকেই এই সময় খাবার খেয়ে মুড ঠিক করতে চান। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন লিভার সুস্থ রাখতে স্ট্রেসের সময় খাবার ছোঁবেন না। এই সময় হজম ঠিক মতো হয় না।
৩। হার্বাল কেয়ার শুনতে অদ্ভুত লাগলেও বেশ কিছু গাছের মূল রয়েছে যা লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ড্যানডেলিওন, মিল্ক থিসল বা হলুদের মূল লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
৪। সাপ্লিমেন্ট প্রোটিন বা ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন। এমন সাপ্লিমেন্ট বাছুন যা লিভার ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি লিভার পরিষ্কার রাখে। প্রোটিনের মধ্যে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিডও লিভার পরিষ্কার রাখার জন্য ভাল। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।


৫। ওষুধ থেকে সাবধানবেশি কিছু ওষুধ লিভারের ক্ষতি করে। এ সব ওষুধ থেকে দূরে থাকুন। কিছু পেনকিলার, যেমন টাইলেনল বা কোলেস্টেরলের ওষুধ লিভারের প্রভূত ক্ষতি করে।
৬। কফি চা, কফি খেলে শরীরের ক্ষতি হয় এই কথাটা কত বার শুনেছেন? কফি খাওয়ার কিন্তু অনেক সুফল রয়েছে। গবেষণা জানাচ্ছে, নিয়মিত কফি খেলে লিভারের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্তত ১৪ শতাংশ কমে যায়।
৭। টক্সিন ত্বকে বিষক্রিয়া লিভারের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ত্বকের মাধ্যমে বিষ রক্তে শোষিত হয়। তাই স্প্রে, টক্সিন থেকে দূরে থাকুন।
৮। প্লান্ট প্রোটিন লিভার সুস্থ রাখতে সবচেয়ে বেশি জরুরি সঠিক খাবার বাছা। অ্যানিমাল প্রোটিনের থেকে লিভারের জন্য বেশি ভাল প্লান্ট প্রোটিন। ডাল, সবুজ শাক-সব্জি, বাদাম, ফাইবার খান।
৯। ইজি বুজিং অ্যালকোহল লিভারে টক্সিন জমা করে। ফলে অতিরিক্ত মদ্যপান লিভারের ক্ষতি করে। তবে হালকা অ্যালকোহল শরীরের পক্ষে ভাল।
১০। হেলদি ফ্যাটফ্যাট শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই লিভার সুস্থ রাখতে ফ্যাট ডায়েট থেকে একেবারে বাদ দিয়ে দেবেন না। হেলদি ফ্যাট খান। অলিভ, ওয়ালনাট জাতীয় খাবারে হেলদি ফ্যাট থাকে।

Sunday, August 14, 2016

চটজলদি ১০ ব্যায়ামে চোখ সুস্থ রাখুন

http://banglanews2010.blogspot.com/
আপনাকে কি দিনরাত কম্পিউটারের সামনে বসতে হয়? দিনের শেষে ক্লান্ত চোখদুটো কি ভারী হয়ে আসে? শুরু হয়ে যায় মাথার যন্ত্রণা? তাহলে এই প্রতিবেদন আপনার জন্য। খুব অল্প সময় নিজের চোখের জন্য দিন, আর শরীরের অতি মূল্যবান এই অঙ্গকে সুস্থ রাখুন। ১. দু মিনিট ধরে অবিরাম চোখের পাতা ফেলুন এককথায় বলা চলে, ২ মিনিট টানা চোখ পিটপিট করুন। এই ব্যায়াম আপনার চোখের রক্তসরবরাহ বাড়াতে সাহায্য করবে। টানা অনেকক্ষণ কম্পিউটারের সামনে কাজ করলে, কিছুক্ষণ পরে পরেই এই ব্যায়াম করলে সুফল পাবেন। ২. মাথা স্থির রেখে দু পাশে তাকান মাথা না নাড়িয়ে একবার ডানদিকে ও একবার বাঁদিকে তাকান। এভাবে ১০ বার করুন। ৩. চোখ বন্ধ রেখে মণি দুটো উপর-নীচ করুন মাথাটা স্থির রেখে চোখ দুটো বন্ধ করুন। এবার ধীরে ধীরে চোখের মণি দুটো একবার উপরে ও একবার নীচে করুন। এভাবে করুন ১০ বার। ৪. চোখের মণিদুটি ঘোরান মাথাটা স্থির রেখে চোখের মণিদুটি একবার ঘড়ির কাঁটার দিকে ১০ বার ঘোরান। এরপর একইভাবে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে মণিদুটি ঘোরান আরও ১০ বার। ৫. চোখের পাতার উপরের অংশে সামান্য চাপ চোখের দুটে পাতার উপর আঙুল দিয়ে হাল্কা চাপসৃষ্টি করুন কয়েক সেকেন্ড। তারপর ছেড়ে দিয়ে একইভাবে আরও ৫ বার করুন। এতে ইন্ট্রাকিউলার ফ্লুইডের সরবরাহ বাড়বে। ৬. চোখের মণি দিয়ে বিভিন্ন আকার আঁকুন মাথাটা স্থির রেখে চোখের মণি ঘুরিয়ে ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ ও অন্যান্য জ্যামিতিক আকার আঁকুন। ৭. চোখের পাতা বন্ধ করে তার উপর হাল্কা চাপ দিন কয়েক মিনিট চোখের পাতা বন্ধ রেখে, তার উপর আঙুল দিয়ে হাল্কা চাপ দিন। তারপর হাত সরিয়ে রিল্যাক্স করুন। এভাবে করুন ৫-৭ বার। এতে চোখের রক্ত সরবরাহ বাড়বে এবং চোখের পেশি সক্রিয় থাকবে। ৮. চোখ স্থির রেখে মাথাটা ঘোরান সামনে কোনও একটি জিনিসের দিকে স্থিরভাবে তাকিয়ে ঘড়ির কাঁটার দিকে ১০বার মাথাটা ঘোরান। একইভাবে ঘড়ির কাঁটার দিকে মাথা ঘোরান আরও ১০ বার। ৯. কাছের ও দূরের জিনিসের দিকে তাকান খুব কাছের কোনও কিছুর দিকে টানা কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থাকুন। এরপরেই দূরের কোনও জিনিসের দিকে চোখ ফিরিয়ে সেটি দেখুন কয়েক সেকেন্ড। এভাবে করুন ৫ বার। ১০. চোখ বন্ধ করে রিল্যাক্স করুন কিছুক্ষণ চোখটা বন্ধ রেখে রিল্যাক্স করুন। আপনার চোখের পেশির উপর যে অতিরিক্ত চাপ পড়েছে, তা এভাবে কিছুটা কমবে।

বিয়ের দিন মেয়েরা কাঁদে কেন?

http://banglanews2010.blogspot.com/
একটা মেয়ে যতই চঞ্চল প্রকৃতির হোকনা কেন । বিয়ের দিন একেবারে থমথমে ভাড়াক্রান্ত মন নিয়ে বসে খাকে । চেহারা মধ্যে যেন আষাঢ়ের কাল মেঘ ধীরে ধীরে জমাট বাঁধতে শুরু করে । কবুল বলার সময় যতো ঘনিয়ে আসে আষাঢ়ের মেঘের ঘ…নত্বটা ততই গাঢ় হয় । তার চারপাশে এতো আনন্দ, এতো হইচই ,এতো পরিচিত অপরিচিত লোকের আনাগোনা । কোথাও যেন তার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই । যেন এতকিছুর মাঝেও তার মনের মধ্যে দশ নম্বর সিগনালে সাগরের উত্তাল ঢেউখেলে যাচ্ছে।
কিন্তু কেন?
এই দিনতো তার সবচেয়ে আনন্দিত হওয়ার কথা । কারন যাকে নিয়ে সে তার সারাজীবন কাটাবে যাকে ঘিরে তার জীবনের সব স্বপ্ন । যার জন্য এতটা বছর ধরে তার সকল সম্ভ্রম যতনে আগলে রেখেছে…যাকে ইহকালে পাওয়ার সাথে সাথে পরকালেও পাবার স্বপ্ন দেখে…আর কিছুক্ষন পরেই সেই প্রিয় মানুষটিকে চিরদিনের মতো নিজের করে পেতে যাচ্ছে…এমন সুখকর মূহুর্তে মেয়েরা কাঁদে কেন??আসুন জেনে নেই বিয়ের সময় মেয়েরা কাঁদে কেন এর প্রকৃত কারন………এমন হাসিমুখ বিদায়ের সময় কান্নার রুপ নেয় কেন ?
পারিবারিক দৃষ্টিকোন থেকে :একটা মেয়ে তার ক্ষুদ্র জীবনের এক তৃতীয়াংশ সময় তার বাবার বাড়ীতে থাকে । জন্মের পর থেকে বাবা-মায়েরকোলে পিঠে করে বড় হয়েছে । ভাইবোনদের সাথে হেসে খেলে হৃদয়েরভালবাসা বেড়েছে । এতোদিনের এই মায়া-মমতা একটু পরেই অধরা হয়ে যাবে । আর একটু পরেই এ মায়ায় ভরা পরিবারের সকলকে ছেড়ে যেতে হবে । নতুন এক পরিবারের সদ্য নবীন সদস্য হতে হবে । বিয়ের দিন এই ভাবনাগুলো একটি মেয়েকে পেরেক ঢুকার মতো করে হৃদয়ে ক্ষতবিক্ষত করতে থাকে । তাইতো বিদায় ঘনমূহুর্তে বাধঁভাঙ্গা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে…




সামাজিক দৃষ্টিকোন থেকে : একটা মেয়ে জীবনের বিশটা বছর যে এলাকায় বেড়ে উঠেছে । যে মাঠ-ঘাট সে চসে বেড়িয়েছে । যে নদীর সাথে সে সদা খেলা করেছে । যে বন্ধু-বান্ধবীদে র সাথে তার সারাদিন কেটেছে । সেই সমাজের সকল মানুষের সকল প্রকৃতিকে বিদায় জানিয়েঅন্য কোন পরিবেশে, অন্য কোন সমাজে চলে যেতেহচ্ছে । বিয়ের দিন হয়তো এগুলো ভেবে মন ভাড়াক্রান্ত হয়ে অঝড়ে ঝড়ো বৃষ্টি বর্ষন শুরু করেন…….
ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে : ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে একটি মেয়ে বিয়ের পর থেকে স্বামীর নিয়ন্ত্রনে চলে যান । স্বামীর মতের সাথে মিলিয়ে চলতে হয় । সে ভালো করেই বুঝতে পারছে বিয়ের পরে ইচ্ছে করলেও আগের মতো দৌড়ে পেয়ারা গাছে চড়া যাবেনা । ইচ্ছে করলেও এখন আর আগেরমতো এদিক ওদিক বেড়াতে যেতো পারবেনা ।স্বামীকে সন্তুষ্টিতেতার উপর অনেক দায়িত্ব বর্তাবে । শশুড়-শাশুড়ীর খেদমত করতে হবে । এখানে মন চায়জিন্দেগীর অনেকটাই কোরবানী দিতে হবে । বিয়ের সময় এইসব ভেবে হয়তো পাহাড়েরর চূড়া থেকে নেমে আসা ঢলের মতো কাঁন্নার বন্যা বইয়ে দেন…
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে : মেয়েদের শরীরের হরমোন ও ছেলেদের শরীরের হরমোনের মধ্যে অনেক পার্থক্য বিদ্যমান । এই ধরুন টেস্টোটেরন হরমোনের আধিক্যর কারনে ছেলেদের কন্ঠস্বর মোটা হয় এবং গালে দাড়ি গজায় । পক্ষান্তরে মেয়েদের শরীরে এই হরমোন কম বলে তাদের কন্ঠস্বার চিকন ওগালে দাড়িগজায় না । অনুরোপ ভাবে প্রোলাকটিন হরমোনের আধিক্যর কারনে মেয়েরা বেশি কাঁদে ।হয়তো বিয়ের সময় সকল কষ্টগুলো একত্রি হওয়ার দরুন শরীরে এই হরমোন বেশি নিশৃত হয় । ফলাফলে জোয়ারের পানির মতো দু’চোখগলে পানি গড়িয়ে পরে……
মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোন থেকে : ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের আবেগ অনেক বেশি । মেয়েদের মন ছেলেদের তুলনায় অনেক বেশি নরম । তাইতো দেখি মায়ের মমতা ও পিতার আদরের মধ্যে একজন সন্তান মাকেই বেশি ভালবাসে । সেই আবেগী নারী যখন বিয়ের দিন সকল মায়ার বাধঁন ছিন্ন করে নতুন বাঁধনে আবধ্য হতে যাচ্ছে তখন নিজের আবেগ ধরে রাখতে না পেরে । নিয়ন্ত্রনহীন ভাবে বর্ষন করে বারিধারা……. .
অভিনয়ের দৃষ্টিকোন থেকে : অনেক মেয়ে আছে যারা মনের দিক থেকে অনেকশক্ত । তারা সহজেই কাঁদে না । আবার অনেক মেয়ে আছে প্রেমের বিয়ে ভালবাসার মানুষটিকে পেয়ে তার চিত্ত নিত্যই উচাটন ।প্রিয় মানুষটির কাছে যেতে আর তর সইছে না। এমন সময় বিয়ের সময় যে কাঁদতে হয় এটাও ভুলে যায় । অগত্য বাধ্য হয়ে কোন ভাবী বা সই মনে করিয়ে দেয় কিরে বিয়ের সময় সব মেয়েরাই কাঁদে তুই এমন ভোতা হয়ে আছিসকেন ।উপস্থিত সবাই কি মনে করবে । মেয়েও অগত্য বাধ্য হয়েই অভিনয়ের কান্না জুড়ে দেয় । চোখে পানি আসুকআর নাই আসুন । কান্নার চিৎকারে আসে……

প্রথম প্রেমে ধাক্কা খেয়ে মেয়েরা যা করে

http://banglanews2010.blogspot.com/
প্রথম প্রেম তো প্রথমই, জীবনের সবচেয়ে সুন্দর অভিজ্ঞতা। তার সঙ্গে কি কোনও কিছুর তুলনা চলে? তবে সত্যি বলতে কি, প্রথম প্রেম মোটেও আহামরি কিছু নয়। বরং বলা যায় সবচেয়ে গুরুত্বহীন। একটা বয়সে আমরা সকলেই প্রেমে পড়তে উদগ্রীব থাকি আর তখনই হুটহাট প্রেমটা ‘হয়ে যায়’। এবং সত্যি বলতে কি, পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষের প্রথম প্রেমটা কিন্তু সফল হয় না আর সেটা খুবই স্বাভাবিক। বরং প্রথম প্রেমটা হয় বেশিরভাগ মানুষের জন্যই একটা বিশেষ শিক্ষা।
জানতে চান কি, একটি মেয়ে প্রথম প্রেমে ধাক্কা খেয়ে কী কী শেখে?
১) প্রথম প্রেমেই শারীরিকভাবে বেশি ঘনিষ্ঠ হতে নেই: প্রথম প্রেমের ভুল থেকে মেয়েরা সকলের আগে এটাই শেখে। প্রথম প্রেম যেহেতু ব্যর্থ হবার সম্ভাবনাই বেশি থাকে, তাই শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়া হচ্ছে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভুল যার জন্য আজীবন পস্তাতে হতে পারে।






২) বিয়ে করতে হয় তাঁকেই, যে সন্তান ভালোবাসে: যে পুরুষ সন্তান ভালোবাসে না, তাঁর সঙ্গে প্রেম করেও লাভ নেই। কেননা সেই প্রেম কখনও বিয়ের দিকে যাবে না। সন্তান ভালোবাসেন না যে পুরুষেরা, তাঁরা বিয়েতেও আগ্রহী হন না সাধারণত।
৩) দেখতে সুন্দর হলেই ‘ভালো’ মানুষ হয় না: প্রথম প্রেমে মানুষের চেহারা বা বাহ্যিক সৌন্দর্যটাই সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। একটি ছেলে কেবল দেখতে সুন্দর, পেশীবহুল বা ওয়েল ড্রেসড- এটুকুর মানেই যে সে ভালো ও যোগ্য মানুষ, এই ধারণাটা মেয়েদের প্রথম প্রেমের পরেই ভাঙে।
৪) পুরুষের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য তাঁর ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিমত্তা: একজন বুদ্ধিমান মানুষ মাত্রই তাঁর নিজস্ব একটি ব্যক্তিত্ব থাকবে। আর ব্যক্তিত্ববান ও রুচিশীল পুরুষ হচ্ছেন আদর্শ প্রেমিক ও স্বামী।
৫) আসলে আমি কেমন প্রেমিক চান: প্রথম প্রেমটা মানুষের ভুলই হয়ে থাকে। আর এই ভুলটা করেই মেয়েরা বুঝতে পারে যে আসলে কেমন স্বামী বা প্রেমিক চাই তাঁর।
৬) অশিক্ষিত পুরুষদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়: যে পুরুষ বই পড়ে না বা যাঁর পড়াশোনা নিয়ে আগ্রহ নেই- এমন পুরুষ যে প্রেমিক বা স্বামী হিসাবে মোটেও সুখকর নন, সেটা বুদ্ধিমতী মেয়েরা প্রথম প্রেমের পরেই বুঝে নেয়।
৭) বিয়ে তাঁকেই করতে হবে, যিনি আজীবনের সঙ্গিনী চান: বিয়ে কোনও ছেলেখেলা নয়। প্রেম-প্রেম খেলে বেড়ানো ছেলেরা মূলত চরিত্রহীন হয়। যিনি আসলেই বিয়ে করে সংসার পাততে চান, এমন মানসিকতার পুরুষের সঙ্গেই প্রেম করা উচিত।
৮) মন তাঁকেই দিতে হবে, যে মনকে যত্নে রাখবে: যাকে তাঁকে মন দিলে কি হবে? মন কি এতই সস্তা?
৯) কীভাবে ঝগড়া করতে হবে: আর কিছু হোক বা না হোক, কীভাবে ঝগড়ার সময় কৌশলী হতে হবে সেটা প্রথম প্রেমে মেয়েরা ভালোই শিখে ফেলে।
১০) ভালো তাঁকেই বাসা উচিত, যিনি ভালবাসতে জানেন: ভালোবাসা একটি সম্পূর্ণ দু’তরফা ব্যাপার। এটা তখনই সুন্দর যখন দু’জন মানুষ পরস্পরকে সমান ভালোবাসেন। এক তরফা ভালোবাসা কষ্ট ছাড়া কিছুই দেয় না।

নিরামিষ ভোজীদের হূদরোগের ঝুঁকি ৩২ ভাগ কম

http://banglanews2010.blogspot.com/
মাছ, মাংসের পরিবর্তে যারা শাক সবজি জাতীয় খাবার বেশি খায় তাদের হূদরোগের ঝুঁকি অনেক কম থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিরামিষভোজীদের হূদপিন্ডের স্বাস্থ্যগত অবস্থাও অনেক বেশি ভালো থাকে।

ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের সাড়ে ৪৪ হাজার লোকের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, নিরামিষভোজীদের হাসপাতালে চিকিত্সা নেয়ার ক্ষেত্রে কিংবা মৃত্যুঝুঁকি অন্যদের থেকে শতকরা ৩২ ভাগ কম থাকে। শারীরিক সুস্থ্যতার ক্ষেত্রে কোলেস্টরেলের মাত্রার তারতম্য, রক্তের চাপ কিংবা ওজনের বিশেষ ভূমিকা থাকে। আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনের এক নিবন্ধে এ ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

পশ্চিমা দেশগুলোতে হূদরোগ অধিকতর অনিষ্টকারী একটি ব্যাধি। অন্যান্য রোগের চেয়ে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর ৯৪ হাজার লোক মারা যায়। ২.৬ মিলিয়ন লোক শরীরে হূদরোগ নিয়ে বেঁচে থাকে। হূদপিন্ডের রক্ত সরবরাহকারী ধমনীতে চর্বি জমা হয়ে রক্তচলাচলে বাধার সৃষ্টি করে। ধমনীতে ধীরে ধীরে চর্বি জমা হয়ে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেলে হূদক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো জটিল অবস্থার সৃষ্টি করে।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি'র বিজ্ঞানীরা ১৫ হাজার ১'শ নিরামিষ ভোজী এবং ২৯ হাজার ৪'শ মাছ, মাংস ভোজী মানুষের ওপর এ গবেষণা চালায়। ১১ বছর ধরে এসব মানুষের ওপর গবেষণা চালানো হয়। এ সময়ের মধ্যে হূদরোগের কারণে ১৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১ হাজার ৬৬ জনকে হাসপাতালে চিকিত্সা নিতে হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিরামিষভোজীদের ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের পরিমাণ কম থাকার পাশাপাশি শরীরে কোলেস্টরেলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। শাক সবজিতে দ্রবীভূত চর্বির পরিমাণ খুব কম থাকে। এ কারণেই নিরামিষভোজীদের হূদরোগের ঝুঁকিও অনেক কম থাকে।

ডা. ফান্সসেক্সো ক্রো বলেন, গবেষণার মধ্য দিয়ে আমরা যে বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে চাই তাহলো নিরামিষভোজীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি অন্যদের চেয়ে অনেক কম থাকে। তার মানে এই নয় যে, সবাইকেই নিরামিষ ভোজী হতে হবে।

ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনে কর্মরত ট্রেসি পার্কার বলেন, গবেষণা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট বোঝা যায় যে হূদরোগের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে সুষম খাদ্যের কোন বিকল্প নেই। খাদ্য তালিকায় মাংস থাকবে কী থাকবে না এটা যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। খাদ্য তালিকা থেকে মাংস বাদ দিলেই যে হূদরোগের ঝুঁকি একেবারেই কমে যায় সেটাও জোর দিয়ে বলা যায় না। কারণ মাংস বাদেও এমন অনেক খাবার রয়েছে যেখানে দ্রবীভূত চর্বির পরিমাণ অনেক বেশি থাকতে পারে। তাই নিরামিষভোজীদের এ বিষয়গুলি মাথায় রেখেই খাদ্য তালিকা ঠিক করা উচিত্। আবার খাদ্য তালিকা থেকে মাছ, মাংস বাদ দেয়ার ফলে সেখান থেকে যেসব উপাদান পাওয়া যেত সেগুলোর ঘাটতি পূরণের ওপরও জোর দিতে হবে। মাছ, মাংস থেকে পাওয়া ভিটামিন, মিনারেল কিংবা আয়রন জাতীয় খাদ্য উপাদানের জন্য বিকল্প খাদ্যাভ্যাস তৈরি করে নিতে হবে।

Saturday, August 13, 2016

বিয়ের প্রথম রাতে যেসব পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় মেয়েরা

http://banglanews2010.blogspot.com/
বিয়ে মানেই একটি ছেলে এবং মেয়ের জীবনে অনেক বেশিই পরিবর্তন আসা। আর নারীর জীবনে পরিবর্তনটা একটু বেশিই আসে। কেননা সকল আপন মানুষকে ছেড়ে একা অন্যের বাসাতে গিয়ে মানিয়ে চলার চেষ্টা। আর নারীর জীবনের এই পরিবর্তনটা আসে হুট করেই এবং বিয়ের প্রথম দিন থেকেই।
আর বিয়ের প্রথম দিন থেকে একটি মেয়ের নানা বিষয়ে নানা রকমের ভাবনার খেলা। অনেকেই ভাবে বিয়ের প্রথম দিনগুলো স্বপ্নের মতো কেটে যায় খুব সুন্দর ভাবে কিন্তু বিবাহিতরা ভাবেন অন্য কথা। তাদের মাথাতে প্রথমেই আসে প্রথম দিনগুলো কীভাবে পার করবে একে অন্যের সাথে।
১) প্রতিটি নারীর মনে বিয়ের প্রথম দিনে প্রথম যে কথাটি বাজতে থাকে তা হচ্ছে, ‘সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবো তো, সকলে আমাকে পছন্দ করবে তো’। শ্বশুর বাড়ির সকলের সাথে তাল মেলানোর কঠিন পরীক্ষা শুরু হয়ে যায় প্রথম দিন থেকেই।
২) যদিও প্রায় অনেক ঘরেই বউ-শাশুড়ির যুদ্ধ লেগে থাকে, কিন্তু বিয়ের প্রথমেই কিন্তু নারীদের মনে শাশুড়ির প্রতি সম্মানই থাকে যা হয়তো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়। আর তাই বিয়ের প্রথম দিনেই নারীরা ভাবতে থাকেন শাশুড়ির মন জুগিয়ে কীভাবে চলা যায়।
৩) আরেকটি ভয়াবহ ব্যাপার নিয়ে বিয়ের প্রথম দিনেই নারীরা ভাবেন তা হলো রান্না করার ব্যাপারটি। যতো পাকা রাঁধুনিই হোন না কেন বিয়ের পরপর নতুন একটি বাড়িতে এসে সকলের স্বাদমতো রান্নার চাপে সব গুলিয়ে বসে থাকেন, আর ভাবেন, ‘আমার রান্না অখাদ্য হবে না তো’।
৪) নিজের বাসায় পুরনো আরামদায়ক একসেট কাপড় পড়ে দিন পার করে দিলেই চলতো, কিন্তু বিয়ের পর প্রথম দিন থেকেই কোন পোশাকটি পরা যায় তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান নারীরা। কোনটি পড়লে মানানসই হবে এবং তা আরামদায়কও হবে না নিয়ে চিন্তা করে মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করে।
৫) প্রেমের বিয়ে হোক বা পরিবারের পছন্দের বিয়েই হোক না কেন, বিয়ের প্রথম দিনেই নারীদের মনে বাজতে থাকে, ‘ভুল সিদ্ধান্ত নিলাম না তো, আরেকটু বোঝা উচিত ছিল কি অথবা এখন কি করবো’ ধরণের বিষয়গুলো।
৬) বোঝার বয়স হওয়ার পর থেকেই কমবেশি প্রায় সকল মেয়েরাই বিয়ের প্ল্যান করে থাকেন। আর তাই ‘আমি গতকালও বিয়ে নিয়ে কতো প্ল্যান করছিলাম, আজকে সত্যিই আমি বিবাহিতা!’ এই বাক্যটি কমবেশি সব নারীর মনে হতে থাকে প্রথম কয়েকটা দিন।


৭) সকালে ঘুম থেকে উঠা নিয়ে চিন্তায় থাকেন বিয়ের প্রথম দিন থেকেই প্রায় প্রতিটি নারী। ‘সঠিক সময়ে উঠলাম তো’ এই চিন্তা করেই বিছানায় পার করে দেন সকালের প্রথম ১০ মিনিট।

Wednesday, August 10, 2016

মেহেদি পাতায় ৫ সমস্যার সমাধান

http://banglanews2010.blogspot.com/
মেহেদি সাধারণত হাত রাঙাতেই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু যদি বলা হয় এটি ত্বকের সমস্যাও দূর করবে! তবে অবাক হবেন নিশ্চয়ই?



এর কিছু ঔষধি গুণও রয়েছে যা সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে ত্বকের বিভিন্ন রোগ। দেখে নেওয়া যাক এর কিছু ঔষধি গুণ—
পা ফাটা
শীতকালে তো পা হরদম ফাটে। তবে কারো কারো বারো মাস পা ফাটার সমস্যা থাকে। এ ছাড়া চামড়া ওঠার সমস্যাও থাকে অনেকের। মেহেদি পাতা বেটে ফাটা জায়গায় পুরু প্রলেপ দিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে পা ফাটা প্রতিরোধ হবে।
খুশকি
মাথার ত্বকে ফাঙ্গাসের আক্রমণে খুশকির মতো চর্মরোগ হয়। খুশকি দূর করতেও মেহেদি পাতা বেশ কার্যকর। একটি পুরো ডিম ফেটিয়ে নিন। এর সঙ্গে মেহেদি পাতা বাটা ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মাথার ত্বকসহ পুরো চুলে লাগান। আধা ঘণ্টা রেখে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইদিন এটি ব্যবহার করুন। দেখবেন খুশকি দূর হয়ে যাবে এবং চুলও পুষ্টি পাবে।
পানি পচা রোগ
সাধারণত নোংরা, জীবাণুযুক্ত পানি লেগে এই রোগ হয়। আবার দীর্ঘক্ষণ পানিতে কাজ করলেও এ রোগ হতে পারে। এতে আঙুলের মাঝের অংশে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ক্ষতে মেহেদির প্রলেপ লাগিয়ে রাখলে ঘা ভালো হয়ে যায়।
বলিরেখা
বলিরেখা দূর করতেও মেহেদির তুলনা নেই। ভাবছেন ত্বক লাল হয়ে যাবে কি না? মুখের ত্বকে মেহেদি ব্যবহারের নিয়মটি পুরো আলাদা। আপনার প্রতিদিনের ফেসপ্যাকে মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা মেহেদি পাতার রস। আর ফেসপ্যাক ১০ মিনিটের বেশি রাখবেন না। নিয়মিত ব্যবহারে বলিরেখা হবে দূর।
পুরনো ক্ষত
পুরোনো ক্ষত, যেগুলো বারবার ফিরে আসে, এসব ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে মেহেদি। মেহেদি পাতা বেটে এ রকম ক্ষতে লাগিয়ে রাখুন। দেখবেন ক্ষত সেরে গেছে।
 
Blogger Templates