Pages

Tuesday, December 20, 2016

আলুর পুষ্টিগুন

http://banglanews2010.blogspot.com/
আজকাল ডায়েটের হুজুগে অনেকে আলু খাওয়া ছেড়েই দিচ্ছেন। অথচ আলু ওজন আদতেই বাড়ায় কি-না, এ নিয়ে এখনও সংশয় আছে। কারণ আলুর পুষ্টিগুণ অন্যান্য সবজি থেকে কোনো অংশেই কম নয়। বরং শিশুদের জন্য আলু একটি অত্যাবশ্যক খাবার। আলুতে একদিকে যেমন ভাতের মতো শর্করা আছে, তেমনি সবজির মতো আঁশ, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম আলুতে পাবেন শর্করা ১৯ গ্রাম, খাবার আঁশ ২.২ গ্রাম, উদ্ভিজ্জ প্রোটিন ২ গ্রাম, খনিজ লবণ ০.৫২ গ্রাম, যার মধ্যে পটাশিয়াম লবণই ০.৪২ গ্রাম এবং ভিটামিন ০.০২ গ্রাম। রোগ প্রতিরোধে আলু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। জেনে নিন কিছু জরুরি তথ্য। ১. আলু শরীরের ভেতরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আলুতে থাকা ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-বি আমাদের শরীরের দুর্বলতা সারাতে সাহায্য করে। ২. আলুতে কোনো চর্বি বা ফ্যাট প্রায় নেই বললেই চলে। অথচ এতে আছে লোহা ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। এই দুটি খনিজ উপাদান হার্টের অসুখ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ৩. আলুতে প্রচুর পটাশিয়াম থাকায় এটি শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। ৪. আলু রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি উপকারী খাদ্য। আবার এক ধরনের প্রোটিনেস ইনহেবিটর থাকায় এটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। ৫. নিয়মিত আলু খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া থাকে না। ৬. আলু থেকে প্রাপ্ত শক্তি লাইকোজেন হিসেবে মাংসপেশি ও লিভারে সঞ্চিত থাকে। তাই শারীরিক ব্যায়ামের ক্ষেত্রে বিশেষ করে খেলোয়াড়দের জন্য আলু একটি উত্তম খাদ্য। ৭. আলু কম মাত্রায় সোডিয়ামযুক্ত, প্রায় ফ্যাটমুক্ত ও সহজে হজমযোগ্য। আলুকে বলা হয় স্কার্ভি ও রিউমেটিক প্রতিরোধক। আলুর প্রোটিন কিডনি রোগীদের জন্য উপকারী। ৮. ডায়রিয়া হলে আলু খেলে সহজে ঘাটতি পূরণ হয় এতে অতিরিক্ত ক্যালরি থাকার কারণে। শিশুদের জন্য আলু খুবই সহায়ক খাদ্য। ৯. আলুর সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখ ও শরীরে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং ত্বকের দাগও দূর করে। ব্রণ নির্মূলেও আলু বিশেষ সহায়ক।

Wednesday, October 19, 2016

হৃৎপিণ্ডের শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা দূর করবে ৬টি খাবার

http://banglanews2010.blogspot.com/
বিভিন্ন কারণে হৃৎপিণ্ডের শিরায় রক্ত জমাট বাঁধে। এতে হার্ট অ্যাটাক, হার্টে ব্লক হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে কিছু খাবার এই রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে সাহায্য করবে। এতে হার্ট সুস্থ থাকে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি কেয়ারওয়ে জানিয়েছে খাবারগুলোর নাম।

ওট

ওটের মধ্যে থাকা সলিউবল আঁশ কোলেস্টেরল তৈরি করতে বাঁধা দেয়। এই আঁশ হৃৎপিণ্ডের শিরার রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে।

ডালিম

ডালিম একটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি শিরার শক্ত হয়ে যাওয়া সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে এবং শিরার রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। এই খাবারটি শিরাকে ভালো রাখে।

মাছ

যেসব মাছের ওমেগা তিন ফ্যাটি এসিড রয়েছে, এগুলো রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। যেমন : স্যালমন, টুনা ইত্যাদি।

রসুন

রসুন বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। হৃৎপিণ্ডের শিরার রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

জলপাইয়ের তেল

অলিভওয়েল বা জলপাইয়ের তেল কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করে। এর মধ্যে থাকা ম্যানুস্যাচুরেটেড চর্বি বাজে কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করে। শিরার রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়।

টমেটো

টমোটো হৃৎপিণ্ডের শিরাকে শক্ত হতে দেয় না। টমেটোর মধ্যে থাকা লাইকোপেন টমেটোকে লাল করে। যাদের শরীরে লাইকোপেন ভালো মাত্রায় থাকে, তাদের হৃৎপিণ্ডের শিরার সমস্যা কমে যায়।

৭টি শারীরিক সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন একটি আমলকী খান

http://banglanews2010.blogspot.com/
আমলকী ফল হিসেবে একটি অনন্য ফল। এছাড়া এটি ভেষজ চিকিৎসায় একটি বিখ্যাত উদ্ভিদ। আমাদের দেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় ৫০০০ হাজার বছরের বেশি সময় ধরে দেহের প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং দেহের পুনর্যৌবন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হলদে সবুজ রঙের এই ফলটির রয়েছে আশ্চর্য ক্ষমতা।
সারা বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন ঋতুতে, বিভিন্ন আবহাওয়ায় মানুষ এই ফলটি খেয়ে থাকেন এবং ব্যবহার করে বিশেষ করেন এর টক, ঝাল, মিষ্টি ও তেঁতো স্বাদের জন্য। জেনে অবাক হবেন যে একটি আমলকীতে প্রায় ২০টি কমলার সমান ভিটামিন সি থাকে। ১০০ গ্রাম তাজা আমলকীতে থাকে প্রায় ৪৭০-৬৮০ মিলিগ্রাম খাঁটি ভিটামিন সি। বিজ্ঞানে এই ফলকে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে দেখানো হয়েছে।
আমরা অনেকেই জানি ভিটামিন সি কেন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি দেহকে ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখে, হাড়কে মজবুত করে, প্রতিরোধক ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং leukocytes বা শ্বেত কনিকা উৎপাদন করে। আমলকীতে শুধু যে ভিটামিন সি-ই থাকে তা নয়। এতে আরো থাকে ফ্লেভোনয়েড, ট্যানিন এবং খনিজ পদার্থ। আমলকী খেলে সর্দি, কাশি থেকে শুরু করে অ্যাজমা, ব্রংকাইটিসের মত শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত রোগগুলো থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
আমলকীর কিছু উপকারিতা এখানে উল্লেখ করা হলো-

যকৃতের বিষাক্ততা দূর করে

গবেষণায় দেখা যায় যে আমলকী যকৃতে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ বিশেষ করে যক্ষ্মা রোগের ঔষধের নেতিবাচক প্রভাব পরার ফলে যেসব বিষাক্ততার সৃষ্টি হয় তা দূর করতে সাহায্য করে।

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে

যখন দেহ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে তখন দেহের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি অনেক সময় ক্যান্সার প্রতিরোধও করতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের প্রদাহ এবং নষ্ট হওয়ার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী

যকৃতের এবং অগ্নাশয়ের প্রদাহ, ফোলা, ব্যাথা দূর করতে এবং সঠিকভাবে অগ্নাশয়ের কাজে সাহায্য করে। নিয়মিত আমলকী খেলে তা ইন্সুলিনের নির্গমনকে নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে। গবেষণায় দেখা যায় যে মাত্র ৩ গ্রাম আমলকীর গুঁড়ো অন্য যেকোনো ডায়াবেটিসের ঔষধের চেয়ে বেশি কার্যকরী।

পেটের ব্যাথা দূর করতে

পেটের ব্যাথা, ডায়রিয়া, বমি, পেট মোচড়ানো, প্রদাহ সহ বিভিন্ন ধরনের হজমজনিত পেটের সমস্যা আমলকীর দ্বারা দূর করা সম্ভব।

সুন্দর ত্বক, চুল এবং নখের জন্য

আমলকী দেহ কোষের পুনর্গঠনে যার ফলে দেহে পুনর্যৌবন লাভ করে। নিয়মিত আমলকী খেলে এবং ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয়, বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়, অকালে চুল পেকে যাওয়া প্রতিরোধ করে এবং চুলের খুশকি দূর করার প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায় হচ্ছে এই আমলকী। শ্যাম্পু, ফেসিয়াল ক্রিম, চুলের মাস্ক এবং অন্যান্য আরো অনেক কিছুতেই আমলকী ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ত্বকের সমস্যা দূর করতে

ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আমলকীর ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্রণ, ফুসকুড়ি, রুক্ষ ত্বক, ইত্যাদি ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাসহ ত্বকের অনেক ধরনের প্রদাহ দূর করতে পারে এই আমলকী।

চুলের সুরক্ষায়

শুকনো আমলকীর গুঁড়ো সামান্য কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে ১ ঘন্টা রেখে দিয়ে তারপর সেই মিশ্রণটি পুরো চুলে ম্যাসেজ করে লাগিয়ে আধা থেকে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে দ্রুত চুলের বৃদ্ধি হবে, আর্দ্রতা বজায় থাকবে, চুল হবে মসৃন এবং উজ্জ্বল।

Wednesday, October 5, 2016

কিডনি ভালো রাখার ৬টি উপায়

http://banglanews2010.blogspot.com/
মানবশরীরের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি বা বৃক্ক। এর প্রথম কাজ হলো মূত্র উৎপাদন করা ও বের করা। পাশাপাশি এটি শরীরে পানি, ইলেকট্রোলাইট সোডিয়াম, পটাসিয়াম ইত্যাদির ভারসাম্য বজায় রাখে এবং অন্তক্ষরা গ্রন্থি হিসাবে কাজ করে। পুরুষের বৃক্কের ওজন ১২০ থেকে ১৭০ গ্রাম এবং নারীদের ১১৫ থেকে ১৫৫ গ্রাম হয়ে থাকে। কিডনি ভালো রাখতে বিশেষজ্ঞরা ৬টি পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
জেনে নিন সেগুলো-
১। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন
কিডনি মানবদেহ থেকে বিপাক প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। কিডনির গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে শরীরে পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করা। এজন্য কিডনিকে সচল রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির প্রয়োজন। তাই প্রতিদিন বেশি করে পানি পান করার অভ্যাস করুন। এছাড়া যথেষ্ট পানি পান করলে পাথর রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
২। বিয়ার কম খান
বিয়ারও এক ধরনের ওয়াইন বা মদ। যাদের বিয়ার পান করার অভ্যাস আছে, তারা কিডনির সুস্থতার জন্য বিয়ার পান করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ বিয়ার পান করা কিডনির জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া কিডনির সুস্থতা ঝাচাইয়ের প্রাথমিক মাপকাঠি হচ্ছে মুত্র। তাই যদি প্রস্রাবে কোন সমস্যা থাকে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩। শাকসবজি ও ফল কম খান
সাধারণত সুস্বাস্থ্যের জন্য বেশি করে শাকসবজি ও ফল খাওয়া ভালো। কিন্তু যারা কিডনির রোগে আক্রান্ত তাদের উচিত খাওয়ার ব্যাপারে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা। শাকসবজি ও ফলমূলে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। অসুস্থ বা দুর্বল কিডনির জন্য এই পটাশিয়াম ক্ষতিকর। তাই কিডনি রোগীদের শাকসবজি ও ফল কম খাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।
৪। কোমল পানীয়ের পরিবর্তে পানি পান করুন
এমন অনেকেই আছেন যারা কোকা কোলা, পেপসি ইত্যাদি কোমল পানীয়ের ওপরই নির্ভর করেন। তারা পানি কম খান বা একেবারেই খান না। সমস্যা হলো, কোন কোন কোমল পানীয়তে ক্যাফেইন থাকে, যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। আর উচ্চরক্তচাপ কিডনির জন্য ক্ষতিকর। সুতরাং বিশেষজ্ঞরা কিডনির যত্নে বিভিন্ন কোমল পানীয় পান করার পরিবর্তে সাধারণ পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৫। মাংস কম খান
একজন মানুষের দিনে ৩০০ গ্রামের বেশি মাংস খাওয়া উচিত না। এর বেশি মাংস খেলে কিডনির উপর চাপ পড়ে। তাই কিডনির রোগীদের মাংস খাওয়ার পরিমাণ আরো কমাতে হবে। এ ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
৬। লবণ কম খান
খাবারে থাকা লবণের ৯৫ শতাংশই কিডনির মাধ্যমে বিপাক হয়ে যায়। এজন্য যত বেশি লবণ খাবেন, কিডনিকে তত বেশি কাজ করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন একজন মানুষের ৬ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়। ইনস্ট্যান্ট নুডুলসের মধ্যে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই তা কম খাওয়া উচিত।

মেথির হরেক উপকারিতা

http://banglanews2010.blogspot.com/
রান্নায় মেথি সাধারণত মসলা হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই মেথি যে শুধুমাত্র মশলা নয়! মেথির ঔষুধিগুণ এত বেশি যে, তা বলে শেষ করা যাবে না।
আসুন জেনে নেই মেথির গুণাগুণ –
মেথি স্বাদে একটু তেতো। এতে রয়েছে রক্তে চিনির মাত্রা কমানোর বিস্ময়কর শক্তি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে বা এক গ্লাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খেলে কৃমি নাশ হয়। রক্তে চিনির মাত্রা কমে। রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা কমে যায়।
বার্ধক্যকে দূরে ঠেলে দিয়ে তারুণ্যকে দীর্ঘস্থায়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে মেথি। গবেষণায় দেখা গেছে, যে ডায়াবেটিক রোগীরা নিয়মিত মেথি খান, তাঁদের ডায়াবেটিসজনিত অসুখগুলো কম হয় এবং স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম।
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য মেথি শ্রেষ্ঠ পথ্য। যাদের ডায়াবেটিস নেই মেথি তাদের জন্যও জরুরি। মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধির জন্য কালো জিরার মতো মেথি পিষে খাওয়াটাও যথেষ্ট উপকারী। তবে খেয়াল রাখতে হবে, মেথি ভেজে পিষলে পুষ্টিগুন নষ্ট হয়ে যায়। রৌদ্রে শুকিয়ে ভাজলে খেতে মচমচে লাগবে।
মেথি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীরকে রাখে সতেজ। রক্তের উপাদানগুলোকে করে কর্মক্ষম। ফলে মানুষের কর্মোদ্দীপনাও বৃদ্ধি পায়। মৌসুমি রোগগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ৩০টি দেশের ২৫ হাজার পুরুষের উপর গবেষণায় করে দেখা গেছে, যেসব পুরুষ তাদের যৌনশক্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন, তারা মেথির রস দিনে দু’বার পরিমাণ মতো সেবন করলে আশ্চর্য সুফল পেতে পারেন। এই পরিমিত সেবনে তাদের দাম্পত্য জীবন হয়ে উঠবে আরও সুখময়।
হতাশা বা অবসাদ, অতিরিক্ত শারীরিক ওজন ও অ্যালকোহল পানে অসুস্থতা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি বহু অসুখ ও শারীরিক সমস্যার জন্য মেথির রস এক মহৌষধ! মেথির রসে ‘সাপোনিস’ বা ‘ডাইওসজেনিন’ নামে এক ধরনের যৌগ পদার্থ আছে, যা মানবদেহের হরমোন স্তর বা এর পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
গবেষণায় আরও বলা হয়, অন্তত ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত দিনে দু’বার করে এর রস নিয়মিত পান না করলে তেমন উপকারিতা পাওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, আপনি যদি মেথি সরাসরি খেয়ে ফেলেন তবে এটি আপনার ডায়েটে সহায়তা করবে।
মেথি যদি আপনি আপনার চুলে প্রয়োগ করেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করবে। যেমন, চুল পড়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। মেথির দানাকে কিছুটা গরম করে সারারাত নারিকেল তেলে ভিজিয়ে রেখে চুলে মেসেজ করলে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পাওয়া যাবে। এভাবে নিয়মিত দিলে চুল পড়া রোধ করে, চুল ঘন হয়। এছাড়া এটি চুলের খুসকি দূর করে, উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং চুলের বিভিন্ন পুষ্টির যোগান দেয়।
এছাড়াও, ত্বক পরিষ্কার করতে, বিভিন্ন ক্ষত এবং ব্যথা সারাতেও এটি অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া আপনার প্রতিদিনের ফেসপ্যাকে মেথি গাছের নির্যাস ব্যবহার করলে মুখের ব্রণ, কালো দাগ এবং ফুসকুড়ি নিরাময় হয়।

Sunday, October 2, 2016

নর্মাল রাখতে চান প্রেসার? সুস্থ রাখতে চান হার্ট? পেট ভরান পান্তায়

http://banglanews2010.blogspot.com/
নর্মাল রাখতে চান প্রেসার? সুস্থ রাখতে চান হার্ট? লাভ করতে চান দীর্ঘজীবন? তাহলে পিত্জা, বার্গার নয়। পেট ভরান পান্তায়। সুফল পান হাতেনাতে। কথাগুলো কে বলেছিলেন, জানেন কি? ভারতের প্রথম মিস্টার ইউনিভার্স মনোহর আইচ সেঞ্চুরি পার করে বলেছিলেন কথাগুলো। তাঁর দীর্ঘজীবনের অন্যতম সিক্রেট।
পকেট হারকিউলিসের বলিষ্ঠ শরীর আর দীর্ঘজীবনের রহস্য তো বটেই। কিন্তু মনোহর আইচের মতো শরীরচর্চা না করেও উজ্জ্বল ত্বক আর পাতলি কোমরের অধিকারিণী হতে চান? তাহলে পান্তা মাস্ট। কী আছে পান্তায়? সম্প্রতি অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক একটি পরীক্ষায় দেখেছেন,
বারো ঘণ্টা ভাত ভিজিয়ে রাখলে একশো গ্রাম পান্তা ভাতে তিয়াত্তর দশমিক নয় এক মিলিগ্রাম আয়রন তৈরি হয়। সেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে আয়রন থাকে মাত্র তিন দশমিক চার মিলিগ্রাম। এ ছাড়াও একশো গ্রাম পান্তা ভাতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে হয় আটশো ঊনচল্লিশ মিলিগ্রাম এবং ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে হয় আটশো পঞ্চাশ মিলিগ্রাম। যেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে ক্যালসিয়াম থাকে মাত্র একুশ মিলিগ্রাম। এছাড়া পান্তাভাতে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে হয় তিনশো তিন মিলিগ্রাম। সেখানে সম পরিমাণ গরম ভাতে সোডিয়াম থাকে চারশো পঁচাত্তর মিলিগ্রাম।
আমেরিকান নিউট্রিশন অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা জানাচ্ছে, ভাত জলে ভিজিয়ে রাখলে পাকস্থলীর প্যানক্রিয়াটিক অ্যামাইলেজ সহ আরও কিছু এনজাইমের কার্যকারিতা বহুগুণ বেড়ে যায়। ফলে পান্তা ভাতের জটিল শর্করাগুলো খুব সহজেই হজম হয়ে যায়। এছাড়া পান্তাভাত ভিটামিন বি-সিক্স এবং ভিটামিন বি-টুয়েলভের ভাল উত্স। দেহের বহু উপকারি ব্যাকটেরিয়া পান্তা ভাতে তৈরি হয়। পেটের সমস্যার সমাধান, কোষ্ঠবদ্ধতা দূর হয়, শরীর সতেজ থাকে। পাশাপাশি শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় থাকে। রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। সুস্থ থাকে হার্ট। তাই পান্তা খান। সুস্থ শরীরে দীর্ঘদিন বাঁচুন।

মাখনের চেয়েও বেশি উপকারি ঘি, বলছেন চিকিত্সকরা

http://banglanews2010.blogspot.com/
হার্টের অসুখের ভয়ে ঘি ছেড়েছেন? ভাবছেন, মোটা হয়ে যাবেন? ঘি খেলে কোলেস্টেরল হওয়ার ভয়কেও দূরে সরিয়ে রাখুন। চিকিত্সকরা বলছেন, ঘি খান নিশ্চিন্তে। মাখনের চেয়েও বেশি উপকারি ঘি। বিভিন্ন রোগ নিরাময়েও ঘি-এর উপকারিতা অসীম।
সেই দুধ থেকেই ঘি। দুধ না খেলে যেমন গায়ে লাগে না গত্তি, ঘি-ও তাই। স্বাদ, গন্ধেও অদ্বিতীয়। ঘি-এ ভাতে বাঙালির ষোলোআনা রসনা তৃপ্তি। কিন্তু সেই ঘি-ই একান্নবর্তী সেনশর্মা পরিবারের হেঁশেলে ঘটিয়ে দিয়েছে বিভাজন। কোলেস্টেরল ধরা পড়ায় ঘি খাওয়া মানা বড়ভাইয়ের। তাই তার মনে ভারী দুঃখ।
সেই দুঃখে সামিল ছোটভাইও। বাড়ির সব সদস্যের পাতে ঘি মাস্ট। ঘি-এর গন্ধে ম ম করে গোটা বাড়িটা। ব্রেকফাস্ট হোক বা লাঞ্চ, টিফিন হোক বা ডিনার, ঘি ছাড়া সেনশর্মা পরিবার কিচ্ছু ভাবতেই পারে না। কিন্তু বড়ভাইয়ের পাতে ঘি পড়ে না। বাবার কোলেস্টেরল ধরা পড়েছে দুবছর আগে। ওজন বাড়ছে মেয়েরও। তাই একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন আইনের ছাত্রীটি।
ঘি-ময় পরিবারটিতে তাই একটু একটু করে ঢুকে পড়েছে অজানা ভয়। এই ঘি-প্রীতি আবার হার্টের অসুখ ডেকে আনবে না তো? সেনশর্মা পরিবারকে আশ্বস্ত করছেন চিকিত্সকরা। কোলেস্টেরল বা হার্টের অসুখের ভয় ঝেড়ে ফেলে নিশ্চিন্তে ঘি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
১) দুধের চেয়েও ঘি হজমের শক্তি বেশি বাড়িয়ে দেয় বলে দাবি চিকিত্সকদের।
২) জ্বর থেকে সেরে ওঠার পর এনার্জি ফিরে পাওয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ঘি।
৩) চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ঘি খেতে বলছেন চিকিত্সকরা।
৪) সদ্যোজাতদের দুই থেকে পাঁচ ফোঁটা ঘি খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।
৫) কেটে গেলে ঘি লাগালে চটজলদি উপকার।
৬) ফাটা ঠোঁট, ফাটা গোড়ালি এবং নতুন মায়েদের স্তনবৃন্তে সমস্যা হলে ঘি-এর মতো ওষুধ নেই।
৭) ঘি খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে, বাড়ে বুদ্ধিও।
৮) ব্রেকফাস্টের তিরিশ মিনিট আগে নাকে দুফোঁটা ঘি দিলে চুল ওঠার সমস্যা, মাথা যন্ত্রণা, কানে শোনার সমস্যা, মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
৯) বমির প্রবণতা কমিয়ে দেয় ঘি।
তবে জানতে হবে ঘি ব্যবহারের নিয়ম। যেমন খুশি ঘি খেলে বিপদ। চিকিত্সকরা বলছেন, ব্রেকফাস্টে শক্ত কোনও খাবারের সঙ্গে আধ চামচ ঘি, তারপর নরম খাবার এবং শেষে দই খেতে হবে। ঘি খাওয়ার পর খেতে হবে কোনও গরম পানীয়। অর্থাত্‍ সকালের চা বা কফির আগে পাউরুটিতে ঘি মাখিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।

সুস্থ থাকতে ডিম খান, তবে হাফ বয়েল নয়

http://banglanews2010.blogspot.com/
ডিম খেতে অনেকেই ভালবাসেন। কিন্তু যে জিনিস খেতে ভাল লাগে, তাতেই বিপত্তি। ডিমের বেলায়ও তাই। কোলেস্টেরলের ভয়ে রোজকার ডিম খাওয়া থেকে অনেকেই বিরত থাকেন। আর গরমের দিনে ডিম খাওয়া মানেই পেট গরম হওয়া। সুতরাং ইচ্ছে থাকলেও ডিম খাওয়া যায় না। খেলেও বড়জোর ডিমের সাদা অংশ।
ক্লিনিক্যাল ডায়েটেশিয়ান অর্পিতা দেব ঘোষ জানাচ্ছেন, এ সব ভয় একেবারেই অমূলক। সব থেকে ভাল প্রোটিনের উৎস ডিম। এতে ন’টি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড সঠিক মাত্রায় থাকে। ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন নামের প্রোটিনটি ভাল মতো থাকে। নিয়মিত মাছ-মাংস না খেলে অবশ্যই ডিম খাওয়া দরকার। কম তেলে ডিম রান্না করা যায়। যেটা মাছ-মাংসের ক্ষেত্রে হয় না। দরকারে সেদ্ধও খাওয়া যায়। হজম হয় না বলে ডিমের যে বদনাম আছে, তা মোটেই ঠিক নয়। ডিম ঝটপট হজম হয়ে যায়।
ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল (১৫০-২০০ মিগ্রা) যথেষ্ট থাকলেও ভয় নেই। কারণ সেই কোলেস্টেরল রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে বাড়ায় না। উল্টে ডিমের লেসিথিন নামের যৌগটি কোলেস্টেরলকে কোষে নিয়ে গিয়ে শক্তি তৈরি করে। সুতরাং শক্তির উৎসও বটে ডিম। তবে কি ডিমের সব ভাল?
ডিমের একটাই দোষ। ডিমের খোলায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে। ডিম বেরোয় পাখির মল বেরোনোর রাস্তা দিয়ে। সেখান থেকে ব্যাকটেরিয়া ছিদ্র মাধ্যমে ঢুকে পড়ে ডিমে। তাই ডিম কখনওই কাঁচা বা অর্ধসেদ্ধ খাওয়া উচিত নয়। খেলে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন হয়ে পেটের গণ্ডগোল হয়। বিশেষ করে বর্ষাকাল বা গরম কালে।
মুরগির ডিম বা হাঁসের ডিম দুটোই খাওয়া যায়। কিন্তু হাঁসের ডিম খাওয়ার সময় সেটি হার্ড বয়েল (অন্তত আধ ঘণ্টা সেদ্ধ) করে খাওয়া দরকার।

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন খান কলা, জেনে নিন কলার অজানা উপকারিতা

http://banglanews2010.blogspot.com/
আপনি কি কলা খেতে ভালবাসেন? যদি বাসেন তবে এই লেখা পড়ার পর আপনার ভালবাসা বাড়বে বই কমবে না। আর যদি না বাসেন, তবে ভালবাসতে শুরু করবেন কিনা জানি না, তবে হ্যাঁ, কলার প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য। মুহূর্তের মধ্যে এনার্জি পেতে কলার জুরি মেলা ভার। কিন্তি তা ছাড়াও যে প্রচুর কাজ করে কলা। জেনে নিন কলার বহুগুণ-
অবসাদ
অবসাদে ভোগা কিছু মানুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে কলা খেলে ভাল বোধ করেন তারা। কলার মধ্যে থাকা ট্রিপটোফ্যান প্রোটিন মানুষের শরীরে পরিণত করে সিরোটোনিন হরমোনে। সিরোটোনিন হরমোন অফ হ্যাপিনেস নামে পরিচিত। শরীরে এই হরমোনের মাত্রা বাড়লে মুড ভাল হয়ে রিল্যাক্স বোধ করে মানুষ। মুড অফ একটি অতি পরিচিত প্রি-মেন্সট্রয়াল সিনড্রোম। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি৬ শরীরে গ্লুকোজের সামঞ্জস্য বজায় রেখে মুড ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
অ্যানিমিয়া
কলার মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমান আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উত্‍পাদনে সাহায্য করে। ফলে অ্যামিনিয়ার সম্ভবনা কমে। এমনকী, অ্যামিনিয়া সারাতেও সাহায্য করে কলা।
রক্তচাপ
কলার মধ্যে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি অথচ নুনের মাত্রা কম থাকায় উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা রুখতে পারে কলা। ইউ ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কলার এই গুণের কথা মাথায় রেখে স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধে কলার ব্যবহার সুপারিশ করেছে।
মস্তিষ্ক
টানা ১ বছর ধরে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল ইংল্যান্ডের টুইকেনহ্যাম স্কুলের ২০০ জন পড়ুয়ার ওপর। পরীক্ষার আগে টানা ব্রেকফাস্ট, ব্রাঞ্চ ও লাঞ্চে কলা খাওয়ানো হয় তাদের। দেখা গিয়েছিল কলার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম তাদের মনসংযোগ বাড়ানোর ফলে অন্যদের থেকে পরীক্ষায় ভাল করেছিলেন ওই ২০০ জন পড়ুয়া।
কনসটিপেশন
কলার মধ্যে প্রচুর পরিমান ফাইবার থাকায় পেট পরিষ্কার রাখতে কলা অপরিহার্য্য।
http://banglanews2010.blogspot.com/
হ্যাংওভার
আগের রাতের অতিরিক্ত মদ্যপানের হ্যাংওভার কাটাতে বানান মিল্কশেকের কোনও তুলনা নেই। সঙ্গে যদি থাকে ১ চামচ মধু। কলা শরীরের অস্বস্তি কমায়, দুধ পেট ঠান্ডা করে ও মধু বজায় রাখে রক্তে শর্করার মাত্রা।
ফলে অম্বলের হাত থেকেও রেহাই পায় শরীর।
মর্নিং সিকনেস
কাজের চাপ, মানসিক চাপে অনেক সময়ই সকালে ঘুম থেকে উঠে অসুস্থ বোধ করি আমরা। রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকায় কম থাকে এনার্জির মাত্রাও। এই সময় কলা বজায় রাখতে রক্তে শর্করার সঠিক মাত্রা।
মশার কামড়
মশার কামড়ে ফুলে, লাল হয়ে ওঠা ত্বকের যত্ন নিতে ক্রিম বা অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করার আগে কলার খোসা ঘষে দেখুন ত্বকের ফুলে ওঠা অংশে।
স্নায়ু
কলায় থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি যা স্নায়ুকে শান্ত করে। মানসিক চাপ কাটাতে ফ্যাটি ফুডের থেকে বেশি প্রয়োজনীয় কলা। কার্বোহাইড্রেটে পরিপূর্ণ হওয়ায় কলা রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রেখে স্নায়বিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
আলসার
নরম ও মিহি হওয়ার জন্য পেটের সমস্যায় খুবই উপকারী খাবার কলা। অত্যন্ত খারাপ পেটের রোগেও কলাই একমাত্র ফল যা নির্বিঘ্নে খাওয়া যেতে পারে। কলা অস্বস্তি কমিয়ে আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।
তাপমাত্রা নিয়নন্ত্রণ
অনেক দেশে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কলা ব্যবহার করা হয়। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জ্বর হলে ওষুধের বদলে খাওয়ানো হয় কলা। তাইল্যান্ডে গর্ভস্থ সন্তানের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে কলা খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

Tuesday, September 20, 2016

মাত্র একটি তুলসীপাতা প্রতিরোধ করবে ৭টি রোগ

http://banglanews2010.blogspot.com/
বহু ভেষজ গুণে গুণান্বিত তুলসী গাছ। আর এইজন্য তুলসী পাতাকে ভেষজের রানীও বলা হয়। প্রতিদিন তুলসীপাতা সেবন করার অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সহজলভ্য এই পাতাটি মাথাব্যথা থেকে শুরু করে ক্যানসারের মত রোগও প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিন একটি তুলসী পাতা আপনাকে দূরে রাখবে ৭ টি অসুখ থেকে। আসুন জেনে নিই তুলসীপাতার গুনাগুণ।
১। মাথাব্যথা দূর করতে :- মাথাব্যথা খুব পরিচিত একটা রোগ। এটি যে কোন সময় যে কারোর হতে পারে। এই ব্যথা অল্প থেকে শুরু হলেও তীব্র হতে বেশি সময় লাগে না। তুলসীপাতা এই মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এতে রয়েছে শক্তিশালী প্রাকৃতিক গুণাগুণ যা মাথাব্যথা দূর করে থাকে। এমনকি মাইগ্রেন, সাইনাস, কারণে মাথাব্যথাও দূর হতে পারে কেবল প্রতিদিন একটি তুলসীপাতা খেলে।
২। ইনফেকশন বা সংক্রমণের চিকিৎসায় :- দেহের ইনফেকশন দূর করে থাকে তুলসী পাতা। এতে ফাংজিসাইডাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে, যা দেহের অভ্যন্তরীন ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।
৩। কিডনির পাথর দূর করতে :- তুলসীপাতা কিডনির পাথর সারাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসীপাতা খেলে এটি প্রাকৃতিকভাবে কিডনির পাথর দূর করে দিবে।
৪। ডায়াবেটিকস রোধ করতে :- তুলসী পাতাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিথাইল, ইউজিনল উপাদান আছে। এটি রক্তের সুগারের পরিমাণ কমিয়ে থাকে। আবার শরীরে প্রয়োজনীয় ইন্সুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে থাকে। যা ডায়াবেটিকস রোধ করতে সাহায্য করে।
৫। কাশি দূর করতে :- এটা আমরা সবাই জানি তুলসী পাতার রস কাশি দূর করে থাকে। সকালে এক গ্লাস পানির সঙ্গে তুলসীপাতা খান। এতে অ্যান্টিটুসিভ উপাদান যা কফ দূর করতে সাহায্য করবে। এক্সপেকটোরেন্ট উপাদান বুকের শ্লেষ্মাকে বের করে দেবে।
৬। ক্যানসার প্রতিরোধে :- তুলসী পাতাতে এ্যান্টি অক্সিডেণ্ট উপাদান আছে যা স্তন ক্যানসার এবং ওরাল ক্যানসার প্রতিরোধ করে। তুলসীপাতার রস রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে যা টিউমার হওয়া প্রতিরোধ করে থাকে।
৭। ফুসফুসের জন্য :- তুলসীপাতার মধ্যে পলিফেনল উপাদান আছে যা রক্তাধিক্যজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যা ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

দাড়ি কামালে কি চোখের জ্যোতি কমে?

http://banglanews2010.blogspot.com/
প্রতিদিন সকালে দাড়ি শেভ করা আধুনিক জীবনের একটি পর্ব। নিজেকে স্মার্ট, রুচিসম্পন্ন ও তারুণ্যদীপ্ত করে তুলতে ‘শেভ’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই বলে শ্মশ্রুমণ্ডিত হয়ে যে স্মার্ট হওয়া যাবে না, সে কথা বলছি না। শ্মশ্রুমণ্ডিত হয়েও রুচিশীল ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলা যায়। তবে সে ক্ষেত্রে সেই শ্মশ্রুকে নিয়মিত যত্ন ও পরিচর্যা করতে হয়; কেটে-ছেঁটে একটি সুন্দর আদলে রাখতে হয়। কিন্তু শেভ করা নিয়ে অনেকের মনে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে।
কেউ কেউ ভাবেন, শেভ করলে বুঝি চোখের জ্যোতি কমে যায়, চোখ নষ্ট হয়। এই ধারণা মোটেও সত্যি নয়। শেভ করল চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে না। শেভ করলে যদি চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যেত, তাহলে পৃথিবীতে সঠিক দৃষ্টিসম্পন্ন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল হতো। দৃষ্টিশক্তির তারতম্য বিভিন্ন কারণে হতে পারে। ছোটবেলায় ভিটামিন-এ’র অভাব হলে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়। ৪০ বছর বয়সের পর অধিকাংশ লোকের চোখের বার্ধক্যজনিত পরিবর্তন আসে। এটি চালশে বলে পরিচিত। এ ছাড়া চোখের কিছু রোগ ও চোখে অতিরিক্ত চাপ পড়লে চোখের দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তন হতে পারে। চোখের পরিচর্যা করাই হলো আসল কথা। দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তনের সঙ্গে অন্য অনেক কিছুর পরিবর্তন রয়েছে। কিন্তু এর সঙ্গে দাড়ি শেভ করার সম্পর্ক নেই।

'ভিটামিন-ই' ম্যাজিকে ১০টি ভয়ঙ্কর সমস্যার সমাধান

সঠিকভাবে এর সুবিধা পেতে হলে জানা প্রয়োজন ভিটামিন 'ই' কিভাবে ও কেন ব্যবহার করবেন।
http://banglanews2010.blogspot.com/
শারীরিক সমস্যাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ভিটামিন 'ই' গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এমনকি ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে ভিটামিন 'ই'-এর কার্যকারিতার কথা সবার জানা।

১. ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কার্যকর
বিভিন্ন কেমিক্যাল-সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার বা লোশন দীর্ঘ দিন ব্যবহারের ফলে ত্বক অনেক সময় এর আর্দ্রতা হারিয়ে শুষ্ক হয়ে যায়। ভিটামিন ‘ই’সমৃদ্ধ লোশন বা ক্রিম ব্যবহারে ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণে আর্দ্রতা জোগায় ও ত্বক থাকে সতেজ ও কোমল। ত্বকের পুনর্গঠন ও ক্ষতি সারাতে প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভিটামিন ‘ই’ অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ত্বকের জন্য খুবই কার্যকর হবে।
২. ক্লিনজার হিসেবে খুব ভালো
প্রতিদিন রোদ, ধুলাবালি দূষণের কারণে আমাদের ত্বক নির্জীব ও রুক্ষ হয়ে যায়। এগুলো দূর করে ত্বক সজীব করে তুলতে ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ভিটামিন ‘ই’সমৃদ্ধ তেল। তুলোয় কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ‘ই’সমৃদ্ধ তেল নিয়ে ত্বকের উপরিভাগ মুছে ফেলুন। ত্বক পরিষ্কার করার সথে সাথে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।
৩.ত্বকের দাগ দূর করতে
ত্বকে বিভিন্ন ধরনের স্পট বা দাগ দূর করতে ভিটামিন ‘ই’সমৃদ্ধ তেল ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহার ত্বককে মসৃণ ও আর্দ্র হতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন দাগ বিশেষ করে ব্রাউন স্পট ধীরে ধীরে হালকা করে দেয় ভিটামিন ‘ই’সমৃদ্ধ অয়েল ম্যাসাজ।

৪.চোখের কালি দূর করে
চোখের নিচে কালি দেখতে খুবই খারাপ দেখায়। গোসলের পর চোখের চার পাশে ভিটামিন ‘ই’যুক্ত তেল নিয়মিত ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে চোখের কালি দূর হওয়ার পাশাপাশি চোখের নিচে কোনো বলিরেখা থাকলে সেগুলোও দূর হবে। শুধু তা-ই নয়, মেকআপ রিমুভার হিসেবেও এটি ভালো কাজ করে। তুলোয় কয়েক ফোঁটা তেল নিয়ে মেকআপ তুলে ফেলুন। ত্বকের পরিচর্যার কাজও একই সাথে হয়ে যাবে।

৫.অ্যান্টি এজিং
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকের কোলাজনের উৎপাদন কমতে থাকে। ফলে ত্বক ইলাস্টিসিটি হারাতে থাকে। অপুষ্টিকর খাবার, দূষণ, কেমিক্যালের ব্যবহার এই প্রক্রিয়াকে আরো দ্রুত করে। ফলে ত্বক শুষ্ক ও নির্জীব হয়ে যায়, বলিরেখা দেখা দেয়। ভিটামিন ‘ই’তে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের এসব সমস্যা দূর করে ত্বককে রাখে মসৃণ টানটান। তাই নিয়মিত ভিটামিন ‘ই’-সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
৬.বাথ অয়েল
এই তেল বাথ অয়েল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। গোসলের পানিতে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ‘ই’যুক্ত তেল মিশিয়ে নিন। এটি আপনার শরীর ও মনের ওপর থেরাপি হিসেবে কাজ করবে। নিয়মিত ব্যবহারের ত্বক মসৃণ, সতেজ হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
৭.সানবার্ন সারায়
ভিটামিন ‘ই’ ত্বকে সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির ক্ষতি সারিয়ে তুলতে খুবই কার্যকর। তাই রোদে পোড়া ত্বকের পরিচর্যায় দিনে দু’বার ভিটামিন ‘ই’সমৃদ্ধ তেল বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
৮.নখের যত্নে
ভঙ্গুর নখ ও হলদেটে নখের যত্নে ভিটামিন ‘ই’সমৃদ্ধ তেল খুবই কার্যকর। একটি বাটিতে তেল নিয়ে তাতে নখ ডুবিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। নখ শক্ত হবে। এ ছাড়া তুলোয় এই তেল নিয়ে নখে ম্যাসাজ করতে পারেন। প্রতিদিন পরিচর্যায় নখের সমস্যা দূর হয়ে নখ হবে শক্ত ও সুন্দর।
৯. চুল ঘন করে
ত্বকের মতো চুল পরিচর্যায়ও ভিটামিন 'ই' খুবই কার্যকর। ভিটামিন 'ই' ম্যাসাজ শুধু মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়ায় না, একই সাথে পুষ্টি জুগিয়ে চুলকে ঘন ও মজবুত করে। চুল পড়া রোধ ও চুলের নানা সমস্যা সমাধানে ব্যাপকভাবে ভিটামিন 'ই' ব্যবহার হয়ে থাকে। ভিটামিন ''ই'তে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করে শরীরের প্রতিটি অংশে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধির ফলে চুল বাড়তে সাহায্য করে।
১০. অকালে চুল পাকা রোধ করে
ভিটামিন 'ই' যেহেতু অ্যান্টি এজিং রোধ করে, সেই প্রক্রিয়ায় চুল পাকাও বিলম্বিত করে। সতর্কতা ভিটামিন 'ই' কখনো সরাসরি ত্বকে বা চুলে লাগানো উচিত নয়। তেল বা অন্য উপাদানের সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।

৫ টি শারীরিক সমস্যার সমাধান করবে শুধুমাত্র চীনাবাদামের স্বাস্থ্য উপকারিতা

http://banglanews2010.blogspot.com/
চীনাবাদাম খেতে কমবেশী সকলেই পছন্দ করেন। কিন্তু বাসায় কিনে এনে চীনাবাদাম খাওয়া খুবই কম হয়। বাইরে গেলে তাও যদি পার্কে বা অন্যান্য স্থানে বসা হয় তখনই চীনাবাদাম খান অনেকে। কিন্তু বাদাম খাওয়ার অনেক ভালো স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। প্রতিদিন একমুঠো চীনাবাদাম খেলে নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা দূর হয় খুব সহজেই।

১) কোলেস্টোরল কমায়
কোলেস্টোরল সমস্যা খুবই কমন একটি সমস্যা। কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যাসহ নানা শারীরিক সমস্যার মূলে রয়েছে এই বাড়তি কোলেস্টোরল। চীনাবাদাম দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টোরল কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী। বাদামের ভালো ফ্যাট কলেস্টোরল এবং ট্রাইগ্লিসারয়েড কমিয়ে ফেলে কোনো ধরণের ওজন বাড়ানো ছাড়াই।

২) রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
চীনাবাদাম রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সকালের নাস্তায় চীনাবাদাম বা চীনাবাদামের বাটার খেলে প্রায় পুরো দিনই সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন অনায়াসেই।

৩) ওজন কমায়
ওজন কমানোর জন্য কিছুটা ভালো ফ্যাটের প্রয়োজন রয়েছে। আর চীনাবাদামে রয়েছে এমনই কিছু ভালো ফ্যাট। এর ক্যালোরি এবং ফ্যাট ওজন বাড়ানোর চাইতে ওজন কমিয়ে রাখতে বিশেষ কাজ করে থাকে। এছাড়াও প্রতিদিন অল্প হলেও চীনাবাদাম খাওয়া উচিত ডায়বেটিসের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলেও।

৪) স্মৃতিশক্তি উন্নত করে
বয়স হতে না হতেই স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া শুরু করে অনেকেরই। এর কারণ হচ্ছে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়। মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজন সঠিক খাদ্যের। চীনাবাদামকে বলা হয় মস্তিষ্কের খাবার। চীনাবাদামের ভিটামিন বি৩ মস্তিষ্কের সুস্থতা নিশ্চিত করে।

৫) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
খুব হুটহাট নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ার সমস্যাকে মূলত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে ধরা হয়। চীনাবাদাম এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেই উন্নত করতে কাজ করে থাকে। চীনাবাদামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে।

Thursday, September 8, 2016

লো প্রেসার হলে কী খাবেন

http://banglanews2010.blogspot.com/
উচ্চরক্তচাপের মতোই নিম্ন রক্তচাপ অর্থাৎ লো ব্লাড প্রেসার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। লো ব্লাড প্রেসারের আরেক নাম হাইপোটেনশন। অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ভয় ও স্নায়ুর দুর্বলতা থেকে লো-ব্লাড প্রেসার হতে পারে। প্রেসার লো হলে মাথা ঘোরানো, ক্লান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড় করা, অবসাদ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা ও স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা দেখা দেয়।
একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০। অন্যদিকে রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ বা এর আশেপাশে থাকে তাহলে তা লো ব্লাড প্রেসার হিসেবে ধরা হয়। প্রেসার যদি অতিরিক্ত নেমে যায় তাহলে মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃদপিন্ডে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না, ফলে ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই প্রেসার লো হলে বাড়িতেই প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। একবার চোখ বুলিয়ে নিন।
http://banglanews2010.blogspot.com/

 লবণ পানি

লবণে রয়েছে সোডিয়াম যা রক্তচাপ বাড়ায়। তবে পানিতে বেশি লবণ না দেওয়াই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয়, এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ চিনি ও এক-দুই চা চামচ লবণ মিশিয়ে খেলে। তবে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে চিনি বর্জন করতে হবে।

 





http://banglanews2010.blogspot.com/
কফি
স্ট্রং কফি, হট চকলেট, কোলাসহ যেকোনো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ায়। হঠাৎ করে লো প্রেসার দেখা দিলে এক কাপ কফি খেতে পারেন। যারা অনেকদিন ধরে এ সমস্যায় ভুগছেন তারা সকালে ভারি নাশতার পর এক কাপ স্ট্রং কফি খেতে পারেন। তবে সবসময় লো প্রেসার হলে কোলা না খাওয়াই ভালো। কারণ এর অন্যান্য ক্ষতিকারক দিকও রয়েছে।
কিসমিস
হাইপোটেনশনের ওষুধ হিসেবে অতি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে কিসমিস। 

http://banglanews2010.blogspot.com/
এক-দুই কাপ কিসমিছ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালিপেটে সেগুলো খান। সঙ্গে কিছমিছ ভেজানো পানিও খেয়ে নিন। এছাড়াও পাঁচটি কাঠবাদাম ও ১৫ থেকে ২০টি চীনাবাদাম খেতে পারেন।
পুদিনা পাতা
ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম,পটাশিয়াম ও প্যান্টোথেনিক উপাদান যা দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অবসাদও দূর করে। পুদিনা পাতা বেঁটে তাতে মধু মিশিয়ে পান করুন।
justhi-mudho31-300x216যষ্টিমধু
যষ্টিমধু আদিকাল থেকেই নানা রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দিয়ে পান করুন। এছাড়াও দুধে মধু দিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
bit_21বিটের রস
বিটের রস হাই প্রসার ও লো প্রেসার উভয়ের জন্যই সমান উপকারী। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। হাইপোটেনশনের রোগীরা দিনে দুই কাপ বিটের রস খেতে পারেন। এভাবে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন।

খেজুরের ৫৩টি উপকারিতা ।

http://banglanews2010.blogspot.com/
নিম্নে খেজুরের সংক্ষিপ্ত ৫৩টি উপকারিতার কথা বর্ণনা করা হলো:

(১) খাদ্যশক্তি থাকায় দুর্বলতা দূর হয়
(২) স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে
(৩) রোজায় অনেকক্ষন খালি পেটে থাকা হয় বলে দেহের প্রচুর গ্লুকোজের দরকার হয়
(৪)  খেজুরে অনেক গ্লুকোজ থাকায় এ ঘাটতি পূরণ হয়
(৫)   হৃদরোগীদের জন্যও খেজুর বেশ উপকারী
(৬) খেজুরের প্রচুর খাদ্য উপাদান রয়েছে
(৭)  খেজুর রক্ত উৎপাদনকারী
(৮) হজমশক্তি বর্ধক, যকৃৎ ও পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক
(৯) রুচি বাড়ায়
(১০)  ত্বক ভালো রাখে
(১১) দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
(১২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
(১৩) পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারী
(১৪) ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধ করে
(১৫) অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তান জন্মের সময় খেজুর খেলে জরায়ুর মাংসপেশির দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে, প্রসব হতে সাহায্য করে
(১৬) প্রসব-পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়।
(১৭)  খেজুরে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়।
(১৮) খেজুর লাংস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখে।
(১৯) নারীদের শ্বেতপ্রদর ও শিশুর রিকেট নিরাময়ে খেজুরের কার্যকারিতা প্রশ্নাতীত।
(২০) তাজা খেজুর নরম এবং মাংসল যা সহজেই হজম হয়।
(২১) খেজুরে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়।
(২২) ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ এই ফল দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
(২৩) খেজুর লাংস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখে।
(২৪) আজওয়া খেজুর বিষের মহৌষধ।
(২৫) মুখের অর্ধাঙ্গ রোগ, পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারী। খেজুরের বিচিও রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
(২৬) পাতলা পায়খানা বন্ধ করে।
(২৭) এর চুর্ণ মাজন হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁত পরিষ্কার হয়।
(২৮) খেজুর পেটের গ্যাস, শ্লেষ্মা, কফ দূর করে, শুষ্ক কাশি এবং এজমায় উপকারী।
(২৯) সারাদিন রোজা রাখার পর পেট খালি থাকে বলে শরীরে গ্লুকোজের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। খেজুর সেটা দ্রুত পূরণে সাহায্য করে।
(৩০) তুলনামূলকভাবে শক্ত খেজুরকে পানিতে ভিজিয়ে (সারা রাত) সেই পানি খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
(৩১) পেটের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে খেজুর। এছাড়াও মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধেও এই ফল বেশ কার্যকরী।
(৩২) মুখের লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে খেজুর। ফলে বদহজম দূর হয়। হৃদরোগ কমাতেও খেজুর বেশ উপকারী।
(৩৩) উচ্চমাত্রার শর্করা, ক্যালরি ও ফ্যাট সম্পন্ন খেজুর জ্বর, মূত্রথলির ইনফেকশন, যৌনরোগ, গনোরিয়া, কণ্ঠনালির ব্যথা বা ঠান্ডাজনিত সমস্যা, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী।
(৩৪) নেশাগ্রস্তদের অঙ্গক্ষয় প্রতিরোধ করে খেজুর। স্বাস্থ্য ভালো করতে বাড়িতে তৈরী ঘিয়ে ভাজা খেজুর ভাতের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
(৩৫) খেজুর মস্তিষ্ককে প্রাণবন্ত রাখে খেজুর।
(৩৬) ক্লান্ত শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ শক্তির যোগান দেয় খেজুর।
(৩৭)সুস্থ হৃদপিন্ডে দেহযন্ত্রে স্বাচ্ছন্দ এবং সতেজ বিধান করে এমন শক্তিদায়ক বা বলবর্ধক ঔষধ হিসেবে খেজুরের জুড়ি নেই।
(৩৮) যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী।
(৩৯) প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর ব্লেন্ড করা জুস খেলে হার্টের সমস্যায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি ভাল সমাধান পাবেন।
(৪০)  খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি থাকে বিধায় যারা একটু দূর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী, সামান্য পরিশ্রমে হয়রান হয়ে যায় তাদের জন্য খেজুর একটি উৎকৃষ্ট পথ্য।
(৪১) ৭/৮ মাস সময় থেকে গর্ভবতী মায়েদের জন্য খেজুর একটি উৎকৃষ্ট খাদ্য। এসময় গর্ভবতী মায়েদের শরীরে অনেক দুর্বলতা কাজ করে। তখন খেজুর মায়েদের শরীরের এই (৪২) দুর্বলতা কাটাতে অনেক সাহায্য করে এবং ডেলিভারীর পর মায়েদের অতিরিক্ত রক্তপাত বন্ধ করতে ও খেজুর সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং পরবর্তী সময়ে শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে খেজুর কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
(৪৩) দেহকে সচল ও কার্যক্ষম রাখতে শক্তির প্রয়োজন। এর অভাবে দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়,শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মানসিক অবসাদ সৃষ্টি হয়। এসব ক্ষেত্রে শর্করা জাতীয় খাদ্য শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।আর এই শর্করা জাতীয় খাদ্য হিসেবে খেজুর খাদ্য শক্তির উল্লেখযোগ্য উৎস হিসেবে কাজ করে।
(৪৪) খনিজ পদার্থ দৈহিক পুষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের অন্যতম উপাদান হিসেবে কাজ করে। খেজুর দেহে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে।
(৪৫)  খেজুর লৌহসমৃদ্ধ ফল হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। রক্তে লৌহিত কণিকার প্রধান উপাদানের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। খেজুর লৌহসমৃদ্ধ বলে এই রক্তশূন্যতা দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
(৪৬)  খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম বিদ্যমান যা আমাদের শরীরের নার্ভ সিস্টেমকে সচল রাখার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, খেজুরের মধ্যে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম বিদ্যমান থাকে যা মানুষের ষ্ট্রোক হওয়ার ভয়াবহতাকে ৪০% কমিয়ে দেয়।
(৪৭) খেজুর হৃদরোগ, জ্বর ও পেটের পীড়ায় উপকারী এবং বলবর্ধক ঔষধ হিসেবে কাজ করে ।
(৪৮)খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল, যা আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে।
(৪৯) প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে ৩২৪ মিলিগ্রাম ক্যালরি থাকে। ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে, তাই খেজুর শিশুদের জন্যও অনেক উপকারী একটি ফল।
(৫০) খেজুরে রয়েছে ৭৭.৫% কার্বহাইড্রেট, যা অন্যান্য খাদ্যের বিকল্প শক্তি হিসেবে কাজ করে।
(৫১) ক্ষুধা নিবারণের বিকল্প খাদ্য হিসেবে আমরা ২-৪টি খেজুর খেয়ে এক গ্লাস পানি পান করতে পারি।
(৫২) খেজুরে রয়েছে ৬৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৭.৩ মিলিগ্রাম লৌহ – যা হাড়, দাঁত, নখ, ত্বক, চুল ভালো রাখতে সহয়তা করে।
(৫৩)আয়রনের পরিমাণও রয়েছে খেজুরে। তাই রক্তস্বল্পতা ও শরীরের ক্ষয়রোধ করতে খেজুরের রয়েছে বিশেষ গুণ।
 
Blogger Templates