প্রতিদিন সকালে দাড়ি শেভ করা আধুনিক জীবনের একটি পর্ব। নিজেকে স্মার্ট,
রুচিসম্পন্ন ও তারুণ্যদীপ্ত করে তুলতে ‘শেভ’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই
বলে শ্মশ্রুমণ্ডিত হয়ে যে স্মার্ট হওয়া যাবে না, সে কথা বলছি না।
শ্মশ্রুমণ্ডিত হয়েও রুচিশীল ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলা যায়। তবে সে ক্ষেত্রে
সেই শ্মশ্রুকে নিয়মিত যত্ন ও পরিচর্যা করতে হয়; কেটে-ছেঁটে একটি সুন্দর
আদলে রাখতে হয়। কিন্তু শেভ করা নিয়ে অনেকের মনে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে।
কেউ
কেউ ভাবেন, শেভ করলে বুঝি চোখের জ্যোতি কমে যায়, চোখ নষ্ট হয়। এই ধারণা
মোটেও সত্যি নয়। শেভ করল চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে না। শেভ করলে যদি চোখের
দৃষ্টিশক্তি কমে যেত, তাহলে পৃথিবীতে সঠিক দৃষ্টিসম্পন্ন লোক খুঁজে পাওয়া
মুশকিল হতো। দৃষ্টিশক্তির তারতম্য বিভিন্ন কারণে হতে পারে। ছোটবেলায়
ভিটামিন-এ’র অভাব হলে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়। ৪০ বছর বয়সের পর অধিকাংশ লোকের
চোখের বার্ধক্যজনিত পরিবর্তন আসে। এটি চালশে বলে পরিচিত। এ ছাড়া চোখের কিছু
রোগ ও চোখে অতিরিক্ত চাপ পড়লে চোখের দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তন হতে পারে। চোখের
পরিচর্যা করাই হলো আসল কথা। দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তনের সঙ্গে অন্য অনেক কিছুর
পরিবর্তন রয়েছে। কিন্তু এর সঙ্গে দাড়ি শেভ করার সম্পর্ক নেই।Tuesday, September 20, 2016
Subscribe to:
Post Comments (Atom)

0 comments:
Post a Comment