Pages

Tuesday, May 23, 2017

চোখের যত্ন

আমাদের চোখের চারপাশের ত্বক খুবই স্পর্শকাতর। সামান্য অবহেলাতেই দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। তাই প্রথম থেকে সচেতন থাকুন এবং বিশেষ যত্ন নিন।
চোখের পাতায় কাজলের গাঢ় টান, মাসকারার ঘন প্রলেপকে আড়াল করে যদি আগে নজর যায় চোখের চারপাশের কুঁচকানো ত্বক ও বলিরেখার দিকে তা হলে সেটা নিশ্চয় আপনার পক্ষে খুব একটা সুখকর অভিজ্ঞতা হবে না! ডার্কসার্কলসহীন অভিব্যক্তিতে পূর্ণ কোমল দুই চোখের আবেদন উপেক্ষা করা কখনওই সম্ভব নয়। কীভাবে পাবেন সেই আবেশ জড়ানো চোখ, রইল তা নিয়েই একটি বিশেষ আলোচনা।
http://banglanews2010.blogspot.com/

১. কখনও চোখের চারপাশের ত্বক ঘসে ঘসে মুছবেন না। চোখ ধোয়ার পরে নরম কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে হালকা করে থুপে থুপে জল মুছে নিন। খুব জোরে ঘসলে চোখের চারপাশের ত্বকে ইরিটেশন তৈরি হয় এবং ত্বক কুঁচকে যায়।
২. প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে যত ক্লান্তই থাকুন না কেন চোখের মেক-আপ তুলতে কখনও ভুলবেন না। সারা রাত মেকআপ না তুললে পরোক্ষে ক্ষতি আপনারই হবে। আসলে মেকআপে নানা রকম কেমিক্যাল থাকে, যা বেশিক্ষণ ত্বকের ওপরে থাকলে ত্বকের নানা রকম সমস্যা যেমন অ্যালার্জি হতে পারে।
৩. আই মেকআপ রিমুভার আলাদা পাওয়া যায়। যে কোনও নামী কোম্পানির প্রোডাক্ট রেঞ্জে এই আই মেকআপ রিমুভার পেয়ে যাবেন। তবে এই রিমুভার কেনার আগে দেখে নেবেন যে এটি অয়েল ফ্রি কিনা। যে সব প্রোডাক্টে তেল আছে তা ব্যবহার করলে চোখের চারপাশে ক্লগড গ্ল্যান্ডসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা নিয়মিত কনট্যাক্ট লেন্স পড়েন, তাঁরা করে অয়েল বেসড প্রোডাক্ট একেবারেই এড়িয়ে চলবেন। কারণ অয়েল বেসড আই মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করলে অনেক সময়ে ব্লারড ভিশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর কোনও রকমের ইনফেকশন এড়ানোর জন্যে একটা দিকে সব সময়ে খেয়াল রাখবেন। রিমুভার কন্টেনারের ভিতরে আঙুল দেবেন না। সব সময়ে তুলো ব্যবহার করবেন।
৪. চড়া রোদ এবং আলট্রাভায়োলেট রেজ় চোখের চারপাশের ত্বকেরও খুব ক্ষতি করে। তাই রোদে বেরোনোর আগে অবশ্যই চোখের চারপাশে সানস্ক্রিন লোশন লাগিয়ে নেবেন এবং সানগ্লাস ইজ় আ মাস্ট। সানগ্লাস ছাড়া কখনওই রোদে বেরোবেন না।

৫. সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খান। জল ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সাহায্য করে। দিনে অন্তত এক থেকে দেড় লিটার জল অবশ্যই খাবেন।
৬. প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুম একান্তই প্রয়োজন। খুব বেশি স্ট্রেস এবং কম ঘুম থেকে চোখের তলায় কালি পড়ে যাবে।
৭. বেশি ধূমপান এবং ড্রিংক করলে ত্বক ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। ফলে চোখের চারপাশের ত্বকও ড্রাই হয়ে গিয়ে কুঁচকে যায়।
৮. অনেকেরই একটা স্বভাব আছে চোখ কুঁচকে তাকানোর। এই স্বভাবটটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছেড়ে দিন। চোখ কুঁচকে তাকালে চোখের চারপাশের ত্বকে স্ট্রেস পড়ে এবং তার ফলে ফাইন লাইনস দেখা দেয়, যাকে সহজ ভাষায় রিঙ্কলস্ বলে।
৯. প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে আই মেকআপ রিমুভ করে আন্ডার আই জেল বা ময়েশ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নেবেন। এতে চোখের চারপাশের সেন্সিটিভ ত্বক আরাম পাবে এবং ক্ষতিগ্রস্থ সেলগুলো রিজুভিনেটেড হবে।

১০. চোখের তলায় ডার্ক সার্ককলস্ কমানোর জন্যে একটি সহজ ঘরোয়া প্যাক ট্রাই করে দেখতে পারেন। একটা টোম্যাটো ভালভাবে পেস্ট করে নিয়ে তার মধ্যে এক চিমটে হলুদগুঁড়ো, ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চোখের চারপাশে দশ মিনিট মতো লাগিয়ে রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
১১. শসা স্লাইস করে নিয়ে চোখের ওপরে দশ থেকে পনেরো মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এতে চোখের চারপাশের ত্বকে সতেজতা ফিরে আসবে আর নিয়মিত করতে পারলে ডার্ক সার্কলসের সমস্যাও মিটে যাবে।
১২. ঠাণ্ডা গোলাপ জলে তুলো ভিজিয়ে চোখের পাতায় দশ থেকে পনেরো মিনিট লাগিয়ে রাখুন। দেখবেন অনেক বেশি ফ্রেশ এবং রিজুভিনেটেড লাগবে।

শসার রূপচর্চা, মেদ ঝরানো ও পুষ্টিগুণ

আপনি কী জানেন সারা বিশ্বে সবজি আবাদ হওয়ার দিক থেকে শসার অবস্থান কত নম্বরে? শুনে অবাক হবেন, শসার অবস্থান

রয়েছে ৪ নম্বরে। খাদ্যে, রূপচর্চায় ও মেদ নিয়ন্ত্রণে এই সবজিটির রয়েছে বিশেষ জনপ্রিয়তা। আবার এই সবজিটি বেশ সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী। শসার হাজারো উপকারিতা থেকে ১ ডজন উপকারের কথাই জেনে নিন।
দেহের পানিশূন্যতা দূর করে: পথে-ঘাটে চলতে ফিরতে অনেক সময় পিপাসা লাগে। অথচ  আপনি এমন কোথাও আছেন যেখানে হাতের কাছে পানি নেই কিন্তু শসা আছে। বড়সড় একটা শসা চিবিয়ে খেয়ে নিন। পিপাসা মিটে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন চনমনে। কারণ শসার মধ্যে রয়েছে ৯০ শতাংশ পানি।
বিষাক্ততা দূর করে: আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের কারণে দেহের মধ্যে বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ জমা হয়। শসার মধ্যে যে পানি থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাঁটার মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খেলে কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়।
প্রাত্যহিক ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে: শসার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি। যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। সবুজ শাক ও গাজরের সঙ্গে শসা পিষে রস করে খেলে এই তিন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে। আপনি থাকবেন সুস্থ তরতাজা।
ত্বকবান্ধব খনিজের সরবরাহকারী: শসায় উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন আছে, যা ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ জন্য ত্বকের পরিচর্যায় গোসলের সময় শসা ব্যবহার করা হয়।
হজম ও ওজন হ্রাসে সহায়ক: স্থূল দেহের ওজন কমাতে শসা একটি আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করে। শসায় রয়েছে উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান। ফলে যারা ওজন কমাতে চান তারা স্যুপ ও সালাদে বেশি বেশি শসা ব্যবহার করবেন। কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
শসার রূপচর্চা, মেদ ঝরানো ও পুষ্টিগুণ
চোখের জ্যোতি বাড়ায়: সৌন্দর্য চর্চায় অনেকে শসা গোল গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন। এতে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা যেমন পরিষ্কার হয়, তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়াতেও কাজ করে। চোখের প্রদাহ প্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়া ঠেকাতেও এটি কাজ করে।
মাথাধরায় নিষ্কৃতি: অনেকের ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ধরে। শরীর ম্যাজম্যাজ করে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সুগার আছে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক স্লাইস শসা খেয়ে নিলে ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর এ সমস্যা থাকবে না।
চুল ও নখ সতেজ করে: চুল ও নখকে সতেজ এবং শক্তিশালী করে তুলতে শসার খনিজ সিলিকা অত্যন্ত সহায়ক। এছাড়া শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
শসার রূপচর্চা, মেদ ঝরানো ও পুষ্টিগুণ
গ্যাটেবাত থেকে মুক্তি: শসায় প্রচুর পরিমাণে সিলিকা আছে। গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেলে দেহের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নেমে আসে। এতে গাঁটেবাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে: ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয়, কোলেস্টেরল কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

 
Blogger Templates