Pages

Wednesday, October 19, 2016

হৃৎপিণ্ডের শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা দূর করবে ৬টি খাবার

http://banglanews2010.blogspot.com/
বিভিন্ন কারণে হৃৎপিণ্ডের শিরায় রক্ত জমাট বাঁধে। এতে হার্ট অ্যাটাক, হার্টে ব্লক হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে কিছু খাবার এই রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে সাহায্য করবে। এতে হার্ট সুস্থ থাকে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি কেয়ারওয়ে জানিয়েছে খাবারগুলোর নাম।

ওট

ওটের মধ্যে থাকা সলিউবল আঁশ কোলেস্টেরল তৈরি করতে বাঁধা দেয়। এই আঁশ হৃৎপিণ্ডের শিরার রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে।

ডালিম

ডালিম একটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি শিরার শক্ত হয়ে যাওয়া সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে এবং শিরার রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। এই খাবারটি শিরাকে ভালো রাখে।

মাছ

যেসব মাছের ওমেগা তিন ফ্যাটি এসিড রয়েছে, এগুলো রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। যেমন : স্যালমন, টুনা ইত্যাদি।

রসুন

রসুন বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। হৃৎপিণ্ডের শিরার রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

জলপাইয়ের তেল

অলিভওয়েল বা জলপাইয়ের তেল কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করে। এর মধ্যে থাকা ম্যানুস্যাচুরেটেড চর্বি বাজে কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করে। শিরার রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়।

টমেটো

টমোটো হৃৎপিণ্ডের শিরাকে শক্ত হতে দেয় না। টমেটোর মধ্যে থাকা লাইকোপেন টমেটোকে লাল করে। যাদের শরীরে লাইকোপেন ভালো মাত্রায় থাকে, তাদের হৃৎপিণ্ডের শিরার সমস্যা কমে যায়।

৭টি শারীরিক সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন একটি আমলকী খান

http://banglanews2010.blogspot.com/
আমলকী ফল হিসেবে একটি অনন্য ফল। এছাড়া এটি ভেষজ চিকিৎসায় একটি বিখ্যাত উদ্ভিদ। আমাদের দেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় ৫০০০ হাজার বছরের বেশি সময় ধরে দেহের প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং দেহের পুনর্যৌবন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হলদে সবুজ রঙের এই ফলটির রয়েছে আশ্চর্য ক্ষমতা।
সারা বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন ঋতুতে, বিভিন্ন আবহাওয়ায় মানুষ এই ফলটি খেয়ে থাকেন এবং ব্যবহার করে বিশেষ করেন এর টক, ঝাল, মিষ্টি ও তেঁতো স্বাদের জন্য। জেনে অবাক হবেন যে একটি আমলকীতে প্রায় ২০টি কমলার সমান ভিটামিন সি থাকে। ১০০ গ্রাম তাজা আমলকীতে থাকে প্রায় ৪৭০-৬৮০ মিলিগ্রাম খাঁটি ভিটামিন সি। বিজ্ঞানে এই ফলকে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে দেখানো হয়েছে।
আমরা অনেকেই জানি ভিটামিন সি কেন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি দেহকে ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখে, হাড়কে মজবুত করে, প্রতিরোধক ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং leukocytes বা শ্বেত কনিকা উৎপাদন করে। আমলকীতে শুধু যে ভিটামিন সি-ই থাকে তা নয়। এতে আরো থাকে ফ্লেভোনয়েড, ট্যানিন এবং খনিজ পদার্থ। আমলকী খেলে সর্দি, কাশি থেকে শুরু করে অ্যাজমা, ব্রংকাইটিসের মত শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত রোগগুলো থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
আমলকীর কিছু উপকারিতা এখানে উল্লেখ করা হলো-

যকৃতের বিষাক্ততা দূর করে

গবেষণায় দেখা যায় যে আমলকী যকৃতে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ বিশেষ করে যক্ষ্মা রোগের ঔষধের নেতিবাচক প্রভাব পরার ফলে যেসব বিষাক্ততার সৃষ্টি হয় তা দূর করতে সাহায্য করে।

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে

যখন দেহ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে তখন দেহের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি অনেক সময় ক্যান্সার প্রতিরোধও করতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের প্রদাহ এবং নষ্ট হওয়ার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী

যকৃতের এবং অগ্নাশয়ের প্রদাহ, ফোলা, ব্যাথা দূর করতে এবং সঠিকভাবে অগ্নাশয়ের কাজে সাহায্য করে। নিয়মিত আমলকী খেলে তা ইন্সুলিনের নির্গমনকে নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে। গবেষণায় দেখা যায় যে মাত্র ৩ গ্রাম আমলকীর গুঁড়ো অন্য যেকোনো ডায়াবেটিসের ঔষধের চেয়ে বেশি কার্যকরী।

পেটের ব্যাথা দূর করতে

পেটের ব্যাথা, ডায়রিয়া, বমি, পেট মোচড়ানো, প্রদাহ সহ বিভিন্ন ধরনের হজমজনিত পেটের সমস্যা আমলকীর দ্বারা দূর করা সম্ভব।

সুন্দর ত্বক, চুল এবং নখের জন্য

আমলকী দেহ কোষের পুনর্গঠনে যার ফলে দেহে পুনর্যৌবন লাভ করে। নিয়মিত আমলকী খেলে এবং ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয়, বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়, অকালে চুল পেকে যাওয়া প্রতিরোধ করে এবং চুলের খুশকি দূর করার প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায় হচ্ছে এই আমলকী। শ্যাম্পু, ফেসিয়াল ক্রিম, চুলের মাস্ক এবং অন্যান্য আরো অনেক কিছুতেই আমলকী ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ত্বকের সমস্যা দূর করতে

ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আমলকীর ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্রণ, ফুসকুড়ি, রুক্ষ ত্বক, ইত্যাদি ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাসহ ত্বকের অনেক ধরনের প্রদাহ দূর করতে পারে এই আমলকী।

চুলের সুরক্ষায়

শুকনো আমলকীর গুঁড়ো সামান্য কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে ১ ঘন্টা রেখে দিয়ে তারপর সেই মিশ্রণটি পুরো চুলে ম্যাসেজ করে লাগিয়ে আধা থেকে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে দ্রুত চুলের বৃদ্ধি হবে, আর্দ্রতা বজায় থাকবে, চুল হবে মসৃন এবং উজ্জ্বল।

Wednesday, October 5, 2016

কিডনি ভালো রাখার ৬টি উপায়

http://banglanews2010.blogspot.com/
মানবশরীরের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি বা বৃক্ক। এর প্রথম কাজ হলো মূত্র উৎপাদন করা ও বের করা। পাশাপাশি এটি শরীরে পানি, ইলেকট্রোলাইট সোডিয়াম, পটাসিয়াম ইত্যাদির ভারসাম্য বজায় রাখে এবং অন্তক্ষরা গ্রন্থি হিসাবে কাজ করে। পুরুষের বৃক্কের ওজন ১২০ থেকে ১৭০ গ্রাম এবং নারীদের ১১৫ থেকে ১৫৫ গ্রাম হয়ে থাকে। কিডনি ভালো রাখতে বিশেষজ্ঞরা ৬টি পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
জেনে নিন সেগুলো-
১। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন
কিডনি মানবদেহ থেকে বিপাক প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। কিডনির গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে শরীরে পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করা। এজন্য কিডনিকে সচল রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির প্রয়োজন। তাই প্রতিদিন বেশি করে পানি পান করার অভ্যাস করুন। এছাড়া যথেষ্ট পানি পান করলে পাথর রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
২। বিয়ার কম খান
বিয়ারও এক ধরনের ওয়াইন বা মদ। যাদের বিয়ার পান করার অভ্যাস আছে, তারা কিডনির সুস্থতার জন্য বিয়ার পান করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ বিয়ার পান করা কিডনির জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া কিডনির সুস্থতা ঝাচাইয়ের প্রাথমিক মাপকাঠি হচ্ছে মুত্র। তাই যদি প্রস্রাবে কোন সমস্যা থাকে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩। শাকসবজি ও ফল কম খান
সাধারণত সুস্বাস্থ্যের জন্য বেশি করে শাকসবজি ও ফল খাওয়া ভালো। কিন্তু যারা কিডনির রোগে আক্রান্ত তাদের উচিত খাওয়ার ব্যাপারে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা। শাকসবজি ও ফলমূলে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। অসুস্থ বা দুর্বল কিডনির জন্য এই পটাশিয়াম ক্ষতিকর। তাই কিডনি রোগীদের শাকসবজি ও ফল কম খাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।
৪। কোমল পানীয়ের পরিবর্তে পানি পান করুন
এমন অনেকেই আছেন যারা কোকা কোলা, পেপসি ইত্যাদি কোমল পানীয়ের ওপরই নির্ভর করেন। তারা পানি কম খান বা একেবারেই খান না। সমস্যা হলো, কোন কোন কোমল পানীয়তে ক্যাফেইন থাকে, যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। আর উচ্চরক্তচাপ কিডনির জন্য ক্ষতিকর। সুতরাং বিশেষজ্ঞরা কিডনির যত্নে বিভিন্ন কোমল পানীয় পান করার পরিবর্তে সাধারণ পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৫। মাংস কম খান
একজন মানুষের দিনে ৩০০ গ্রামের বেশি মাংস খাওয়া উচিত না। এর বেশি মাংস খেলে কিডনির উপর চাপ পড়ে। তাই কিডনির রোগীদের মাংস খাওয়ার পরিমাণ আরো কমাতে হবে। এ ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
৬। লবণ কম খান
খাবারে থাকা লবণের ৯৫ শতাংশই কিডনির মাধ্যমে বিপাক হয়ে যায়। এজন্য যত বেশি লবণ খাবেন, কিডনিকে তত বেশি কাজ করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন একজন মানুষের ৬ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়। ইনস্ট্যান্ট নুডুলসের মধ্যে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই তা কম খাওয়া উচিত।

মেথির হরেক উপকারিতা

http://banglanews2010.blogspot.com/
রান্নায় মেথি সাধারণত মসলা হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই মেথি যে শুধুমাত্র মশলা নয়! মেথির ঔষুধিগুণ এত বেশি যে, তা বলে শেষ করা যাবে না।
আসুন জেনে নেই মেথির গুণাগুণ –
মেথি স্বাদে একটু তেতো। এতে রয়েছে রক্তে চিনির মাত্রা কমানোর বিস্ময়কর শক্তি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে বা এক গ্লাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খেলে কৃমি নাশ হয়। রক্তে চিনির মাত্রা কমে। রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা কমে যায়।
বার্ধক্যকে দূরে ঠেলে দিয়ে তারুণ্যকে দীর্ঘস্থায়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে মেথি। গবেষণায় দেখা গেছে, যে ডায়াবেটিক রোগীরা নিয়মিত মেথি খান, তাঁদের ডায়াবেটিসজনিত অসুখগুলো কম হয় এবং স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম।
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য মেথি শ্রেষ্ঠ পথ্য। যাদের ডায়াবেটিস নেই মেথি তাদের জন্যও জরুরি। মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধির জন্য কালো জিরার মতো মেথি পিষে খাওয়াটাও যথেষ্ট উপকারী। তবে খেয়াল রাখতে হবে, মেথি ভেজে পিষলে পুষ্টিগুন নষ্ট হয়ে যায়। রৌদ্রে শুকিয়ে ভাজলে খেতে মচমচে লাগবে।
মেথি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীরকে রাখে সতেজ। রক্তের উপাদানগুলোকে করে কর্মক্ষম। ফলে মানুষের কর্মোদ্দীপনাও বৃদ্ধি পায়। মৌসুমি রোগগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ৩০টি দেশের ২৫ হাজার পুরুষের উপর গবেষণায় করে দেখা গেছে, যেসব পুরুষ তাদের যৌনশক্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন, তারা মেথির রস দিনে দু’বার পরিমাণ মতো সেবন করলে আশ্চর্য সুফল পেতে পারেন। এই পরিমিত সেবনে তাদের দাম্পত্য জীবন হয়ে উঠবে আরও সুখময়।
হতাশা বা অবসাদ, অতিরিক্ত শারীরিক ওজন ও অ্যালকোহল পানে অসুস্থতা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি বহু অসুখ ও শারীরিক সমস্যার জন্য মেথির রস এক মহৌষধ! মেথির রসে ‘সাপোনিস’ বা ‘ডাইওসজেনিন’ নামে এক ধরনের যৌগ পদার্থ আছে, যা মানবদেহের হরমোন স্তর বা এর পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
গবেষণায় আরও বলা হয়, অন্তত ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত দিনে দু’বার করে এর রস নিয়মিত পান না করলে তেমন উপকারিতা পাওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, আপনি যদি মেথি সরাসরি খেয়ে ফেলেন তবে এটি আপনার ডায়েটে সহায়তা করবে।
মেথি যদি আপনি আপনার চুলে প্রয়োগ করেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করবে। যেমন, চুল পড়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। মেথির দানাকে কিছুটা গরম করে সারারাত নারিকেল তেলে ভিজিয়ে রেখে চুলে মেসেজ করলে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পাওয়া যাবে। এভাবে নিয়মিত দিলে চুল পড়া রোধ করে, চুল ঘন হয়। এছাড়া এটি চুলের খুসকি দূর করে, উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং চুলের বিভিন্ন পুষ্টির যোগান দেয়।
এছাড়াও, ত্বক পরিষ্কার করতে, বিভিন্ন ক্ষত এবং ব্যথা সারাতেও এটি অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া আপনার প্রতিদিনের ফেসপ্যাকে মেথি গাছের নির্যাস ব্যবহার করলে মুখের ব্রণ, কালো দাগ এবং ফুসকুড়ি নিরাময় হয়।

Sunday, October 2, 2016

নর্মাল রাখতে চান প্রেসার? সুস্থ রাখতে চান হার্ট? পেট ভরান পান্তায়

http://banglanews2010.blogspot.com/
নর্মাল রাখতে চান প্রেসার? সুস্থ রাখতে চান হার্ট? লাভ করতে চান দীর্ঘজীবন? তাহলে পিত্জা, বার্গার নয়। পেট ভরান পান্তায়। সুফল পান হাতেনাতে। কথাগুলো কে বলেছিলেন, জানেন কি? ভারতের প্রথম মিস্টার ইউনিভার্স মনোহর আইচ সেঞ্চুরি পার করে বলেছিলেন কথাগুলো। তাঁর দীর্ঘজীবনের অন্যতম সিক্রেট।
পকেট হারকিউলিসের বলিষ্ঠ শরীর আর দীর্ঘজীবনের রহস্য তো বটেই। কিন্তু মনোহর আইচের মতো শরীরচর্চা না করেও উজ্জ্বল ত্বক আর পাতলি কোমরের অধিকারিণী হতে চান? তাহলে পান্তা মাস্ট। কী আছে পান্তায়? সম্প্রতি অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক একটি পরীক্ষায় দেখেছেন,
বারো ঘণ্টা ভাত ভিজিয়ে রাখলে একশো গ্রাম পান্তা ভাতে তিয়াত্তর দশমিক নয় এক মিলিগ্রাম আয়রন তৈরি হয়। সেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে আয়রন থাকে মাত্র তিন দশমিক চার মিলিগ্রাম। এ ছাড়াও একশো গ্রাম পান্তা ভাতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে হয় আটশো ঊনচল্লিশ মিলিগ্রাম এবং ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে হয় আটশো পঞ্চাশ মিলিগ্রাম। যেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে ক্যালসিয়াম থাকে মাত্র একুশ মিলিগ্রাম। এছাড়া পান্তাভাতে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে হয় তিনশো তিন মিলিগ্রাম। সেখানে সম পরিমাণ গরম ভাতে সোডিয়াম থাকে চারশো পঁচাত্তর মিলিগ্রাম।
আমেরিকান নিউট্রিশন অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা জানাচ্ছে, ভাত জলে ভিজিয়ে রাখলে পাকস্থলীর প্যানক্রিয়াটিক অ্যামাইলেজ সহ আরও কিছু এনজাইমের কার্যকারিতা বহুগুণ বেড়ে যায়। ফলে পান্তা ভাতের জটিল শর্করাগুলো খুব সহজেই হজম হয়ে যায়। এছাড়া পান্তাভাত ভিটামিন বি-সিক্স এবং ভিটামিন বি-টুয়েলভের ভাল উত্স। দেহের বহু উপকারি ব্যাকটেরিয়া পান্তা ভাতে তৈরি হয়। পেটের সমস্যার সমাধান, কোষ্ঠবদ্ধতা দূর হয়, শরীর সতেজ থাকে। পাশাপাশি শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় থাকে। রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। সুস্থ থাকে হার্ট। তাই পান্তা খান। সুস্থ শরীরে দীর্ঘদিন বাঁচুন।

মাখনের চেয়েও বেশি উপকারি ঘি, বলছেন চিকিত্সকরা

http://banglanews2010.blogspot.com/
হার্টের অসুখের ভয়ে ঘি ছেড়েছেন? ভাবছেন, মোটা হয়ে যাবেন? ঘি খেলে কোলেস্টেরল হওয়ার ভয়কেও দূরে সরিয়ে রাখুন। চিকিত্সকরা বলছেন, ঘি খান নিশ্চিন্তে। মাখনের চেয়েও বেশি উপকারি ঘি। বিভিন্ন রোগ নিরাময়েও ঘি-এর উপকারিতা অসীম।
সেই দুধ থেকেই ঘি। দুধ না খেলে যেমন গায়ে লাগে না গত্তি, ঘি-ও তাই। স্বাদ, গন্ধেও অদ্বিতীয়। ঘি-এ ভাতে বাঙালির ষোলোআনা রসনা তৃপ্তি। কিন্তু সেই ঘি-ই একান্নবর্তী সেনশর্মা পরিবারের হেঁশেলে ঘটিয়ে দিয়েছে বিভাজন। কোলেস্টেরল ধরা পড়ায় ঘি খাওয়া মানা বড়ভাইয়ের। তাই তার মনে ভারী দুঃখ।
সেই দুঃখে সামিল ছোটভাইও। বাড়ির সব সদস্যের পাতে ঘি মাস্ট। ঘি-এর গন্ধে ম ম করে গোটা বাড়িটা। ব্রেকফাস্ট হোক বা লাঞ্চ, টিফিন হোক বা ডিনার, ঘি ছাড়া সেনশর্মা পরিবার কিচ্ছু ভাবতেই পারে না। কিন্তু বড়ভাইয়ের পাতে ঘি পড়ে না। বাবার কোলেস্টেরল ধরা পড়েছে দুবছর আগে। ওজন বাড়ছে মেয়েরও। তাই একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন আইনের ছাত্রীটি।
ঘি-ময় পরিবারটিতে তাই একটু একটু করে ঢুকে পড়েছে অজানা ভয়। এই ঘি-প্রীতি আবার হার্টের অসুখ ডেকে আনবে না তো? সেনশর্মা পরিবারকে আশ্বস্ত করছেন চিকিত্সকরা। কোলেস্টেরল বা হার্টের অসুখের ভয় ঝেড়ে ফেলে নিশ্চিন্তে ঘি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
১) দুধের চেয়েও ঘি হজমের শক্তি বেশি বাড়িয়ে দেয় বলে দাবি চিকিত্সকদের।
২) জ্বর থেকে সেরে ওঠার পর এনার্জি ফিরে পাওয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ঘি।
৩) চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ঘি খেতে বলছেন চিকিত্সকরা।
৪) সদ্যোজাতদের দুই থেকে পাঁচ ফোঁটা ঘি খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।
৫) কেটে গেলে ঘি লাগালে চটজলদি উপকার।
৬) ফাটা ঠোঁট, ফাটা গোড়ালি এবং নতুন মায়েদের স্তনবৃন্তে সমস্যা হলে ঘি-এর মতো ওষুধ নেই।
৭) ঘি খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে, বাড়ে বুদ্ধিও।
৮) ব্রেকফাস্টের তিরিশ মিনিট আগে নাকে দুফোঁটা ঘি দিলে চুল ওঠার সমস্যা, মাথা যন্ত্রণা, কানে শোনার সমস্যা, মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
৯) বমির প্রবণতা কমিয়ে দেয় ঘি।
তবে জানতে হবে ঘি ব্যবহারের নিয়ম। যেমন খুশি ঘি খেলে বিপদ। চিকিত্সকরা বলছেন, ব্রেকফাস্টে শক্ত কোনও খাবারের সঙ্গে আধ চামচ ঘি, তারপর নরম খাবার এবং শেষে দই খেতে হবে। ঘি খাওয়ার পর খেতে হবে কোনও গরম পানীয়। অর্থাত্‍ সকালের চা বা কফির আগে পাউরুটিতে ঘি মাখিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।

সুস্থ থাকতে ডিম খান, তবে হাফ বয়েল নয়

http://banglanews2010.blogspot.com/
ডিম খেতে অনেকেই ভালবাসেন। কিন্তু যে জিনিস খেতে ভাল লাগে, তাতেই বিপত্তি। ডিমের বেলায়ও তাই। কোলেস্টেরলের ভয়ে রোজকার ডিম খাওয়া থেকে অনেকেই বিরত থাকেন। আর গরমের দিনে ডিম খাওয়া মানেই পেট গরম হওয়া। সুতরাং ইচ্ছে থাকলেও ডিম খাওয়া যায় না। খেলেও বড়জোর ডিমের সাদা অংশ।
ক্লিনিক্যাল ডায়েটেশিয়ান অর্পিতা দেব ঘোষ জানাচ্ছেন, এ সব ভয় একেবারেই অমূলক। সব থেকে ভাল প্রোটিনের উৎস ডিম। এতে ন’টি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড সঠিক মাত্রায় থাকে। ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন নামের প্রোটিনটি ভাল মতো থাকে। নিয়মিত মাছ-মাংস না খেলে অবশ্যই ডিম খাওয়া দরকার। কম তেলে ডিম রান্না করা যায়। যেটা মাছ-মাংসের ক্ষেত্রে হয় না। দরকারে সেদ্ধও খাওয়া যায়। হজম হয় না বলে ডিমের যে বদনাম আছে, তা মোটেই ঠিক নয়। ডিম ঝটপট হজম হয়ে যায়।
ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল (১৫০-২০০ মিগ্রা) যথেষ্ট থাকলেও ভয় নেই। কারণ সেই কোলেস্টেরল রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে বাড়ায় না। উল্টে ডিমের লেসিথিন নামের যৌগটি কোলেস্টেরলকে কোষে নিয়ে গিয়ে শক্তি তৈরি করে। সুতরাং শক্তির উৎসও বটে ডিম। তবে কি ডিমের সব ভাল?
ডিমের একটাই দোষ। ডিমের খোলায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে। ডিম বেরোয় পাখির মল বেরোনোর রাস্তা দিয়ে। সেখান থেকে ব্যাকটেরিয়া ছিদ্র মাধ্যমে ঢুকে পড়ে ডিমে। তাই ডিম কখনওই কাঁচা বা অর্ধসেদ্ধ খাওয়া উচিত নয়। খেলে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন হয়ে পেটের গণ্ডগোল হয়। বিশেষ করে বর্ষাকাল বা গরম কালে।
মুরগির ডিম বা হাঁসের ডিম দুটোই খাওয়া যায়। কিন্তু হাঁসের ডিম খাওয়ার সময় সেটি হার্ড বয়েল (অন্তত আধ ঘণ্টা সেদ্ধ) করে খাওয়া দরকার।

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন খান কলা, জেনে নিন কলার অজানা উপকারিতা

http://banglanews2010.blogspot.com/
আপনি কি কলা খেতে ভালবাসেন? যদি বাসেন তবে এই লেখা পড়ার পর আপনার ভালবাসা বাড়বে বই কমবে না। আর যদি না বাসেন, তবে ভালবাসতে শুরু করবেন কিনা জানি না, তবে হ্যাঁ, কলার প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য। মুহূর্তের মধ্যে এনার্জি পেতে কলার জুরি মেলা ভার। কিন্তি তা ছাড়াও যে প্রচুর কাজ করে কলা। জেনে নিন কলার বহুগুণ-
অবসাদ
অবসাদে ভোগা কিছু মানুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে কলা খেলে ভাল বোধ করেন তারা। কলার মধ্যে থাকা ট্রিপটোফ্যান প্রোটিন মানুষের শরীরে পরিণত করে সিরোটোনিন হরমোনে। সিরোটোনিন হরমোন অফ হ্যাপিনেস নামে পরিচিত। শরীরে এই হরমোনের মাত্রা বাড়লে মুড ভাল হয়ে রিল্যাক্স বোধ করে মানুষ। মুড অফ একটি অতি পরিচিত প্রি-মেন্সট্রয়াল সিনড্রোম। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি৬ শরীরে গ্লুকোজের সামঞ্জস্য বজায় রেখে মুড ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
অ্যানিমিয়া
কলার মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমান আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উত্‍পাদনে সাহায্য করে। ফলে অ্যামিনিয়ার সম্ভবনা কমে। এমনকী, অ্যামিনিয়া সারাতেও সাহায্য করে কলা।
রক্তচাপ
কলার মধ্যে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি অথচ নুনের মাত্রা কম থাকায় উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা রুখতে পারে কলা। ইউ ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কলার এই গুণের কথা মাথায় রেখে স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধে কলার ব্যবহার সুপারিশ করেছে।
মস্তিষ্ক
টানা ১ বছর ধরে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল ইংল্যান্ডের টুইকেনহ্যাম স্কুলের ২০০ জন পড়ুয়ার ওপর। পরীক্ষার আগে টানা ব্রেকফাস্ট, ব্রাঞ্চ ও লাঞ্চে কলা খাওয়ানো হয় তাদের। দেখা গিয়েছিল কলার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম তাদের মনসংযোগ বাড়ানোর ফলে অন্যদের থেকে পরীক্ষায় ভাল করেছিলেন ওই ২০০ জন পড়ুয়া।
কনসটিপেশন
কলার মধ্যে প্রচুর পরিমান ফাইবার থাকায় পেট পরিষ্কার রাখতে কলা অপরিহার্য্য।
http://banglanews2010.blogspot.com/
হ্যাংওভার
আগের রাতের অতিরিক্ত মদ্যপানের হ্যাংওভার কাটাতে বানান মিল্কশেকের কোনও তুলনা নেই। সঙ্গে যদি থাকে ১ চামচ মধু। কলা শরীরের অস্বস্তি কমায়, দুধ পেট ঠান্ডা করে ও মধু বজায় রাখে রক্তে শর্করার মাত্রা।
ফলে অম্বলের হাত থেকেও রেহাই পায় শরীর।
মর্নিং সিকনেস
কাজের চাপ, মানসিক চাপে অনেক সময়ই সকালে ঘুম থেকে উঠে অসুস্থ বোধ করি আমরা। রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকায় কম থাকে এনার্জির মাত্রাও। এই সময় কলা বজায় রাখতে রক্তে শর্করার সঠিক মাত্রা।
মশার কামড়
মশার কামড়ে ফুলে, লাল হয়ে ওঠা ত্বকের যত্ন নিতে ক্রিম বা অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করার আগে কলার খোসা ঘষে দেখুন ত্বকের ফুলে ওঠা অংশে।
স্নায়ু
কলায় থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি যা স্নায়ুকে শান্ত করে। মানসিক চাপ কাটাতে ফ্যাটি ফুডের থেকে বেশি প্রয়োজনীয় কলা। কার্বোহাইড্রেটে পরিপূর্ণ হওয়ায় কলা রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রেখে স্নায়বিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
আলসার
নরম ও মিহি হওয়ার জন্য পেটের সমস্যায় খুবই উপকারী খাবার কলা। অত্যন্ত খারাপ পেটের রোগেও কলাই একমাত্র ফল যা নির্বিঘ্নে খাওয়া যেতে পারে। কলা অস্বস্তি কমিয়ে আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।
তাপমাত্রা নিয়নন্ত্রণ
অনেক দেশে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কলা ব্যবহার করা হয়। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জ্বর হলে ওষুধের বদলে খাওয়ানো হয় কলা। তাইল্যান্ডে গর্ভস্থ সন্তানের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে কলা খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।
 
Blogger Templates