Pages

Tuesday, September 20, 2016

মাত্র একটি তুলসীপাতা প্রতিরোধ করবে ৭টি রোগ

http://banglanews2010.blogspot.com/
বহু ভেষজ গুণে গুণান্বিত তুলসী গাছ। আর এইজন্য তুলসী পাতাকে ভেষজের রানীও বলা হয়। প্রতিদিন তুলসীপাতা সেবন করার অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সহজলভ্য এই পাতাটি মাথাব্যথা থেকে শুরু করে ক্যানসারের মত রোগও প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিন একটি তুলসী পাতা আপনাকে দূরে রাখবে ৭ টি অসুখ থেকে। আসুন জেনে নিই তুলসীপাতার গুনাগুণ।
১। মাথাব্যথা দূর করতে :- মাথাব্যথা খুব পরিচিত একটা রোগ। এটি যে কোন সময় যে কারোর হতে পারে। এই ব্যথা অল্প থেকে শুরু হলেও তীব্র হতে বেশি সময় লাগে না। তুলসীপাতা এই মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এতে রয়েছে শক্তিশালী প্রাকৃতিক গুণাগুণ যা মাথাব্যথা দূর করে থাকে। এমনকি মাইগ্রেন, সাইনাস, কারণে মাথাব্যথাও দূর হতে পারে কেবল প্রতিদিন একটি তুলসীপাতা খেলে।
২। ইনফেকশন বা সংক্রমণের চিকিৎসায় :- দেহের ইনফেকশন দূর করে থাকে তুলসী পাতা। এতে ফাংজিসাইডাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে, যা দেহের অভ্যন্তরীন ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।
৩। কিডনির পাথর দূর করতে :- তুলসীপাতা কিডনির পাথর সারাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসীপাতা খেলে এটি প্রাকৃতিকভাবে কিডনির পাথর দূর করে দিবে।
৪। ডায়াবেটিকস রোধ করতে :- তুলসী পাতাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিথাইল, ইউজিনল উপাদান আছে। এটি রক্তের সুগারের পরিমাণ কমিয়ে থাকে। আবার শরীরে প্রয়োজনীয় ইন্সুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে থাকে। যা ডায়াবেটিকস রোধ করতে সাহায্য করে।
৫। কাশি দূর করতে :- এটা আমরা সবাই জানি তুলসী পাতার রস কাশি দূর করে থাকে। সকালে এক গ্লাস পানির সঙ্গে তুলসীপাতা খান। এতে অ্যান্টিটুসিভ উপাদান যা কফ দূর করতে সাহায্য করবে। এক্সপেকটোরেন্ট উপাদান বুকের শ্লেষ্মাকে বের করে দেবে।
৬। ক্যানসার প্রতিরোধে :- তুলসী পাতাতে এ্যান্টি অক্সিডেণ্ট উপাদান আছে যা স্তন ক্যানসার এবং ওরাল ক্যানসার প্রতিরোধ করে। তুলসীপাতার রস রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে যা টিউমার হওয়া প্রতিরোধ করে থাকে।
৭। ফুসফুসের জন্য :- তুলসীপাতার মধ্যে পলিফেনল উপাদান আছে যা রক্তাধিক্যজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যা ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

দাড়ি কামালে কি চোখের জ্যোতি কমে?

http://banglanews2010.blogspot.com/
প্রতিদিন সকালে দাড়ি শেভ করা আধুনিক জীবনের একটি পর্ব। নিজেকে স্মার্ট, রুচিসম্পন্ন ও তারুণ্যদীপ্ত করে তুলতে ‘শেভ’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই বলে শ্মশ্রুমণ্ডিত হয়ে যে স্মার্ট হওয়া যাবে না, সে কথা বলছি না। শ্মশ্রুমণ্ডিত হয়েও রুচিশীল ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলা যায়। তবে সে ক্ষেত্রে সেই শ্মশ্রুকে নিয়মিত যত্ন ও পরিচর্যা করতে হয়; কেটে-ছেঁটে একটি সুন্দর আদলে রাখতে হয়। কিন্তু শেভ করা নিয়ে অনেকের মনে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে।
কেউ কেউ ভাবেন, শেভ করলে বুঝি চোখের জ্যোতি কমে যায়, চোখ নষ্ট হয়। এই ধারণা মোটেও সত্যি নয়। শেভ করল চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে না। শেভ করলে যদি চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যেত, তাহলে পৃথিবীতে সঠিক দৃষ্টিসম্পন্ন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল হতো। দৃষ্টিশক্তির তারতম্য বিভিন্ন কারণে হতে পারে। ছোটবেলায় ভিটামিন-এ’র অভাব হলে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়। ৪০ বছর বয়সের পর অধিকাংশ লোকের চোখের বার্ধক্যজনিত পরিবর্তন আসে। এটি চালশে বলে পরিচিত। এ ছাড়া চোখের কিছু রোগ ও চোখে অতিরিক্ত চাপ পড়লে চোখের দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তন হতে পারে। চোখের পরিচর্যা করাই হলো আসল কথা। দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তনের সঙ্গে অন্য অনেক কিছুর পরিবর্তন রয়েছে। কিন্তু এর সঙ্গে দাড়ি শেভ করার সম্পর্ক নেই।

'ভিটামিন-ই' ম্যাজিকে ১০টি ভয়ঙ্কর সমস্যার সমাধান

সঠিকভাবে এর সুবিধা পেতে হলে জানা প্রয়োজন ভিটামিন 'ই' কিভাবে ও কেন ব্যবহার করবেন।
http://banglanews2010.blogspot.com/
শারীরিক সমস্যাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ভিটামিন 'ই' গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এমনকি ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে ভিটামিন 'ই'-এর কার্যকারিতার কথা সবার জানা।

১. ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কার্যকর
বিভিন্ন কেমিক্যাল-সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার বা লোশন দীর্ঘ দিন ব্যবহারের ফলে ত্বক অনেক সময় এর আর্দ্রতা হারিয়ে শুষ্ক হয়ে যায়। ভিটামিন ‘ই’সমৃদ্ধ লোশন বা ক্রিম ব্যবহারে ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণে আর্দ্রতা জোগায় ও ত্বক থাকে সতেজ ও কোমল। ত্বকের পুনর্গঠন ও ক্ষতি সারাতে প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভিটামিন ‘ই’ অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ত্বকের জন্য খুবই কার্যকর হবে।
২. ক্লিনজার হিসেবে খুব ভালো
প্রতিদিন রোদ, ধুলাবালি দূষণের কারণে আমাদের ত্বক নির্জীব ও রুক্ষ হয়ে যায়। এগুলো দূর করে ত্বক সজীব করে তুলতে ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ভিটামিন ‘ই’সমৃদ্ধ তেল। তুলোয় কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ‘ই’সমৃদ্ধ তেল নিয়ে ত্বকের উপরিভাগ মুছে ফেলুন। ত্বক পরিষ্কার করার সথে সাথে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।
৩.ত্বকের দাগ দূর করতে
ত্বকে বিভিন্ন ধরনের স্পট বা দাগ দূর করতে ভিটামিন ‘ই’সমৃদ্ধ তেল ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহার ত্বককে মসৃণ ও আর্দ্র হতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন দাগ বিশেষ করে ব্রাউন স্পট ধীরে ধীরে হালকা করে দেয় ভিটামিন ‘ই’সমৃদ্ধ অয়েল ম্যাসাজ।

৪.চোখের কালি দূর করে
চোখের নিচে কালি দেখতে খুবই খারাপ দেখায়। গোসলের পর চোখের চার পাশে ভিটামিন ‘ই’যুক্ত তেল নিয়মিত ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে চোখের কালি দূর হওয়ার পাশাপাশি চোখের নিচে কোনো বলিরেখা থাকলে সেগুলোও দূর হবে। শুধু তা-ই নয়, মেকআপ রিমুভার হিসেবেও এটি ভালো কাজ করে। তুলোয় কয়েক ফোঁটা তেল নিয়ে মেকআপ তুলে ফেলুন। ত্বকের পরিচর্যার কাজও একই সাথে হয়ে যাবে।

৫.অ্যান্টি এজিং
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকের কোলাজনের উৎপাদন কমতে থাকে। ফলে ত্বক ইলাস্টিসিটি হারাতে থাকে। অপুষ্টিকর খাবার, দূষণ, কেমিক্যালের ব্যবহার এই প্রক্রিয়াকে আরো দ্রুত করে। ফলে ত্বক শুষ্ক ও নির্জীব হয়ে যায়, বলিরেখা দেখা দেয়। ভিটামিন ‘ই’তে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের এসব সমস্যা দূর করে ত্বককে রাখে মসৃণ টানটান। তাই নিয়মিত ভিটামিন ‘ই’-সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
৬.বাথ অয়েল
এই তেল বাথ অয়েল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। গোসলের পানিতে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ‘ই’যুক্ত তেল মিশিয়ে নিন। এটি আপনার শরীর ও মনের ওপর থেরাপি হিসেবে কাজ করবে। নিয়মিত ব্যবহারের ত্বক মসৃণ, সতেজ হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
৭.সানবার্ন সারায়
ভিটামিন ‘ই’ ত্বকে সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির ক্ষতি সারিয়ে তুলতে খুবই কার্যকর। তাই রোদে পোড়া ত্বকের পরিচর্যায় দিনে দু’বার ভিটামিন ‘ই’সমৃদ্ধ তেল বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
৮.নখের যত্নে
ভঙ্গুর নখ ও হলদেটে নখের যত্নে ভিটামিন ‘ই’সমৃদ্ধ তেল খুবই কার্যকর। একটি বাটিতে তেল নিয়ে তাতে নখ ডুবিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। নখ শক্ত হবে। এ ছাড়া তুলোয় এই তেল নিয়ে নখে ম্যাসাজ করতে পারেন। প্রতিদিন পরিচর্যায় নখের সমস্যা দূর হয়ে নখ হবে শক্ত ও সুন্দর।
৯. চুল ঘন করে
ত্বকের মতো চুল পরিচর্যায়ও ভিটামিন 'ই' খুবই কার্যকর। ভিটামিন 'ই' ম্যাসাজ শুধু মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়ায় না, একই সাথে পুষ্টি জুগিয়ে চুলকে ঘন ও মজবুত করে। চুল পড়া রোধ ও চুলের নানা সমস্যা সমাধানে ব্যাপকভাবে ভিটামিন 'ই' ব্যবহার হয়ে থাকে। ভিটামিন ''ই'তে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করে শরীরের প্রতিটি অংশে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধির ফলে চুল বাড়তে সাহায্য করে।
১০. অকালে চুল পাকা রোধ করে
ভিটামিন 'ই' যেহেতু অ্যান্টি এজিং রোধ করে, সেই প্রক্রিয়ায় চুল পাকাও বিলম্বিত করে। সতর্কতা ভিটামিন 'ই' কখনো সরাসরি ত্বকে বা চুলে লাগানো উচিত নয়। তেল বা অন্য উপাদানের সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।

৫ টি শারীরিক সমস্যার সমাধান করবে শুধুমাত্র চীনাবাদামের স্বাস্থ্য উপকারিতা

http://banglanews2010.blogspot.com/
চীনাবাদাম খেতে কমবেশী সকলেই পছন্দ করেন। কিন্তু বাসায় কিনে এনে চীনাবাদাম খাওয়া খুবই কম হয়। বাইরে গেলে তাও যদি পার্কে বা অন্যান্য স্থানে বসা হয় তখনই চীনাবাদাম খান অনেকে। কিন্তু বাদাম খাওয়ার অনেক ভালো স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। প্রতিদিন একমুঠো চীনাবাদাম খেলে নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা দূর হয় খুব সহজেই।

১) কোলেস্টোরল কমায়
কোলেস্টোরল সমস্যা খুবই কমন একটি সমস্যা। কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যাসহ নানা শারীরিক সমস্যার মূলে রয়েছে এই বাড়তি কোলেস্টোরল। চীনাবাদাম দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টোরল কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী। বাদামের ভালো ফ্যাট কলেস্টোরল এবং ট্রাইগ্লিসারয়েড কমিয়ে ফেলে কোনো ধরণের ওজন বাড়ানো ছাড়াই।

২) রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
চীনাবাদাম রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সকালের নাস্তায় চীনাবাদাম বা চীনাবাদামের বাটার খেলে প্রায় পুরো দিনই সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন অনায়াসেই।

৩) ওজন কমায়
ওজন কমানোর জন্য কিছুটা ভালো ফ্যাটের প্রয়োজন রয়েছে। আর চীনাবাদামে রয়েছে এমনই কিছু ভালো ফ্যাট। এর ক্যালোরি এবং ফ্যাট ওজন বাড়ানোর চাইতে ওজন কমিয়ে রাখতে বিশেষ কাজ করে থাকে। এছাড়াও প্রতিদিন অল্প হলেও চীনাবাদাম খাওয়া উচিত ডায়বেটিসের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলেও।

৪) স্মৃতিশক্তি উন্নত করে
বয়স হতে না হতেই স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া শুরু করে অনেকেরই। এর কারণ হচ্ছে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়। মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজন সঠিক খাদ্যের। চীনাবাদামকে বলা হয় মস্তিষ্কের খাবার। চীনাবাদামের ভিটামিন বি৩ মস্তিষ্কের সুস্থতা নিশ্চিত করে।

৫) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
খুব হুটহাট নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ার সমস্যাকে মূলত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে ধরা হয়। চীনাবাদাম এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেই উন্নত করতে কাজ করে থাকে। চীনাবাদামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে।

Thursday, September 8, 2016

লো প্রেসার হলে কী খাবেন

http://banglanews2010.blogspot.com/
উচ্চরক্তচাপের মতোই নিম্ন রক্তচাপ অর্থাৎ লো ব্লাড প্রেসার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। লো ব্লাড প্রেসারের আরেক নাম হাইপোটেনশন। অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ভয় ও স্নায়ুর দুর্বলতা থেকে লো-ব্লাড প্রেসার হতে পারে। প্রেসার লো হলে মাথা ঘোরানো, ক্লান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড় করা, অবসাদ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা ও স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা দেখা দেয়।
একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০। অন্যদিকে রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ বা এর আশেপাশে থাকে তাহলে তা লো ব্লাড প্রেসার হিসেবে ধরা হয়। প্রেসার যদি অতিরিক্ত নেমে যায় তাহলে মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃদপিন্ডে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না, ফলে ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই প্রেসার লো হলে বাড়িতেই প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। একবার চোখ বুলিয়ে নিন।
http://banglanews2010.blogspot.com/

 লবণ পানি

লবণে রয়েছে সোডিয়াম যা রক্তচাপ বাড়ায়। তবে পানিতে বেশি লবণ না দেওয়াই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয়, এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ চিনি ও এক-দুই চা চামচ লবণ মিশিয়ে খেলে। তবে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে চিনি বর্জন করতে হবে।

 





http://banglanews2010.blogspot.com/
কফি
স্ট্রং কফি, হট চকলেট, কোলাসহ যেকোনো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ায়। হঠাৎ করে লো প্রেসার দেখা দিলে এক কাপ কফি খেতে পারেন। যারা অনেকদিন ধরে এ সমস্যায় ভুগছেন তারা সকালে ভারি নাশতার পর এক কাপ স্ট্রং কফি খেতে পারেন। তবে সবসময় লো প্রেসার হলে কোলা না খাওয়াই ভালো। কারণ এর অন্যান্য ক্ষতিকারক দিকও রয়েছে।
কিসমিস
হাইপোটেনশনের ওষুধ হিসেবে অতি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে কিসমিস। 

http://banglanews2010.blogspot.com/
এক-দুই কাপ কিসমিছ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালিপেটে সেগুলো খান। সঙ্গে কিছমিছ ভেজানো পানিও খেয়ে নিন। এছাড়াও পাঁচটি কাঠবাদাম ও ১৫ থেকে ২০টি চীনাবাদাম খেতে পারেন।
পুদিনা পাতা
ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম,পটাশিয়াম ও প্যান্টোথেনিক উপাদান যা দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অবসাদও দূর করে। পুদিনা পাতা বেঁটে তাতে মধু মিশিয়ে পান করুন।
justhi-mudho31-300x216যষ্টিমধু
যষ্টিমধু আদিকাল থেকেই নানা রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দিয়ে পান করুন। এছাড়াও দুধে মধু দিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
bit_21বিটের রস
বিটের রস হাই প্রসার ও লো প্রেসার উভয়ের জন্যই সমান উপকারী। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। হাইপোটেনশনের রোগীরা দিনে দুই কাপ বিটের রস খেতে পারেন। এভাবে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন।

খেজুরের ৫৩টি উপকারিতা ।

http://banglanews2010.blogspot.com/
নিম্নে খেজুরের সংক্ষিপ্ত ৫৩টি উপকারিতার কথা বর্ণনা করা হলো:

(১) খাদ্যশক্তি থাকায় দুর্বলতা দূর হয়
(২) স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে
(৩) রোজায় অনেকক্ষন খালি পেটে থাকা হয় বলে দেহের প্রচুর গ্লুকোজের দরকার হয়
(৪)  খেজুরে অনেক গ্লুকোজ থাকায় এ ঘাটতি পূরণ হয়
(৫)   হৃদরোগীদের জন্যও খেজুর বেশ উপকারী
(৬) খেজুরের প্রচুর খাদ্য উপাদান রয়েছে
(৭)  খেজুর রক্ত উৎপাদনকারী
(৮) হজমশক্তি বর্ধক, যকৃৎ ও পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক
(৯) রুচি বাড়ায়
(১০)  ত্বক ভালো রাখে
(১১) দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
(১২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
(১৩) পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারী
(১৪) ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধ করে
(১৫) অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তান জন্মের সময় খেজুর খেলে জরায়ুর মাংসপেশির দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে, প্রসব হতে সাহায্য করে
(১৬) প্রসব-পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়।
(১৭)  খেজুরে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়।
(১৮) খেজুর লাংস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখে।
(১৯) নারীদের শ্বেতপ্রদর ও শিশুর রিকেট নিরাময়ে খেজুরের কার্যকারিতা প্রশ্নাতীত।
(২০) তাজা খেজুর নরম এবং মাংসল যা সহজেই হজম হয়।
(২১) খেজুরে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়।
(২২) ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ এই ফল দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
(২৩) খেজুর লাংস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখে।
(২৪) আজওয়া খেজুর বিষের মহৌষধ।
(২৫) মুখের অর্ধাঙ্গ রোগ, পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারী। খেজুরের বিচিও রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
(২৬) পাতলা পায়খানা বন্ধ করে।
(২৭) এর চুর্ণ মাজন হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁত পরিষ্কার হয়।
(২৮) খেজুর পেটের গ্যাস, শ্লেষ্মা, কফ দূর করে, শুষ্ক কাশি এবং এজমায় উপকারী।
(২৯) সারাদিন রোজা রাখার পর পেট খালি থাকে বলে শরীরে গ্লুকোজের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। খেজুর সেটা দ্রুত পূরণে সাহায্য করে।
(৩০) তুলনামূলকভাবে শক্ত খেজুরকে পানিতে ভিজিয়ে (সারা রাত) সেই পানি খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
(৩১) পেটের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে খেজুর। এছাড়াও মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধেও এই ফল বেশ কার্যকরী।
(৩২) মুখের লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে খেজুর। ফলে বদহজম দূর হয়। হৃদরোগ কমাতেও খেজুর বেশ উপকারী।
(৩৩) উচ্চমাত্রার শর্করা, ক্যালরি ও ফ্যাট সম্পন্ন খেজুর জ্বর, মূত্রথলির ইনফেকশন, যৌনরোগ, গনোরিয়া, কণ্ঠনালির ব্যথা বা ঠান্ডাজনিত সমস্যা, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী।
(৩৪) নেশাগ্রস্তদের অঙ্গক্ষয় প্রতিরোধ করে খেজুর। স্বাস্থ্য ভালো করতে বাড়িতে তৈরী ঘিয়ে ভাজা খেজুর ভাতের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
(৩৫) খেজুর মস্তিষ্ককে প্রাণবন্ত রাখে খেজুর।
(৩৬) ক্লান্ত শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ শক্তির যোগান দেয় খেজুর।
(৩৭)সুস্থ হৃদপিন্ডে দেহযন্ত্রে স্বাচ্ছন্দ এবং সতেজ বিধান করে এমন শক্তিদায়ক বা বলবর্ধক ঔষধ হিসেবে খেজুরের জুড়ি নেই।
(৩৮) যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী।
(৩৯) প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর ব্লেন্ড করা জুস খেলে হার্টের সমস্যায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি ভাল সমাধান পাবেন।
(৪০)  খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি থাকে বিধায় যারা একটু দূর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী, সামান্য পরিশ্রমে হয়রান হয়ে যায় তাদের জন্য খেজুর একটি উৎকৃষ্ট পথ্য।
(৪১) ৭/৮ মাস সময় থেকে গর্ভবতী মায়েদের জন্য খেজুর একটি উৎকৃষ্ট খাদ্য। এসময় গর্ভবতী মায়েদের শরীরে অনেক দুর্বলতা কাজ করে। তখন খেজুর মায়েদের শরীরের এই (৪২) দুর্বলতা কাটাতে অনেক সাহায্য করে এবং ডেলিভারীর পর মায়েদের অতিরিক্ত রক্তপাত বন্ধ করতে ও খেজুর সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং পরবর্তী সময়ে শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে খেজুর কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
(৪৩) দেহকে সচল ও কার্যক্ষম রাখতে শক্তির প্রয়োজন। এর অভাবে দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়,শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মানসিক অবসাদ সৃষ্টি হয়। এসব ক্ষেত্রে শর্করা জাতীয় খাদ্য শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।আর এই শর্করা জাতীয় খাদ্য হিসেবে খেজুর খাদ্য শক্তির উল্লেখযোগ্য উৎস হিসেবে কাজ করে।
(৪৪) খনিজ পদার্থ দৈহিক পুষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের অন্যতম উপাদান হিসেবে কাজ করে। খেজুর দেহে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে।
(৪৫)  খেজুর লৌহসমৃদ্ধ ফল হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। রক্তে লৌহিত কণিকার প্রধান উপাদানের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। খেজুর লৌহসমৃদ্ধ বলে এই রক্তশূন্যতা দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
(৪৬)  খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম বিদ্যমান যা আমাদের শরীরের নার্ভ সিস্টেমকে সচল রাখার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, খেজুরের মধ্যে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম বিদ্যমান থাকে যা মানুষের ষ্ট্রোক হওয়ার ভয়াবহতাকে ৪০% কমিয়ে দেয়।
(৪৭) খেজুর হৃদরোগ, জ্বর ও পেটের পীড়ায় উপকারী এবং বলবর্ধক ঔষধ হিসেবে কাজ করে ।
(৪৮)খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল, যা আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে।
(৪৯) প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে ৩২৪ মিলিগ্রাম ক্যালরি থাকে। ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে, তাই খেজুর শিশুদের জন্যও অনেক উপকারী একটি ফল।
(৫০) খেজুরে রয়েছে ৭৭.৫% কার্বহাইড্রেট, যা অন্যান্য খাদ্যের বিকল্প শক্তি হিসেবে কাজ করে।
(৫১) ক্ষুধা নিবারণের বিকল্প খাদ্য হিসেবে আমরা ২-৪টি খেজুর খেয়ে এক গ্লাস পানি পান করতে পারি।
(৫২) খেজুরে রয়েছে ৬৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৭.৩ মিলিগ্রাম লৌহ – যা হাড়, দাঁত, নখ, ত্বক, চুল ভালো রাখতে সহয়তা করে।
(৫৩)আয়রনের পরিমাণও রয়েছে খেজুরে। তাই রক্তস্বল্পতা ও শরীরের ক্ষয়রোধ করতে খেজুরের রয়েছে বিশেষ গুণ।

কিসমিসের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

http://banglanews2010.blogspot.com/
বিভিন্ন রকম রান্নার কাজে ব্যবহার করা হলেও কিসমিস সাধারণ ভাবে খাওয়া হয় না। অনেকে এটাকে ক্ষতিকর মনে করেন। অথচ পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে রয়েছে এনার্জি ৩০৪ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ৭৪.৬ গ্রাম, ডায়েটরি ফাইবার ১.১ গ্রাম, ফ্যাট ০.৩ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম, আয়রন ৭.৭ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৭৮ মিলিগ্রাম ও সোডিয়াম ২০.৪ মিলিগ্রাম। 

কিসমিসের কিছু উপকারিতা :

দুর্বলতা দূর করতে কিসমিসের জুড়ি মেলা ভার। কিসমিসে রয়েছে চিনি, গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ, যা তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহ করে। তাই দুর্বলতার ক্ষেত্রে কিসমিস খুবই উপকারী।

বাচ্চাদের কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করালে দাঁতের সুরক্ষা হবে। আবার একই স্বাদ পাওয়ার সাথে সাথে বিপুল পরিমাণ উপকারও পাবে। চিনি থাকার পাশাপাশি কিসমিসে রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড, যা মুখের ভেতরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাঁধা দেয়।

কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, যা হাড় মযবূত করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। কিসমিসে আরো রয়েছে বোরন নামক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, যা হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে।

কিসমিসের মধ্যে রয়েছে পলিফেনলস এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফেমেটরী উপাদান, যা কাঁটা-ছেড়া বা ক্ষত হতে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা দূরে রাখে।

কিসমিসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহে ক্যান্সারের কোষ উৎপন্ন হওয়ায় বাধা প্রদান করে। কিসমিসে আরো রয়েছে ক্যাটেচিন, যা পলিফেনলিক অ্যাসিড। এটি ক্যান্সার মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা আমাদের পরিপাকক্রিয়া দ্রুত হতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

রক্তশূন্যতার কারণে অবসাদ, শারীরিক দুর্বলতা, বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যতে পারে, এমনকি বিষণ্ণতাও দেখা দিতে পারে। কিশমিশে আছে, প্রচুর পরিমাণে লৌহ উপাদান, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।

তিতা করলা দূর করবে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস!

http://banglanews2010.blogspot.com/
খেতে ভীষণ তিতা, কিন্তু গুণে ভরপুর। ইংরেজীতে বিটার মেলন বাংলা নাম করলা- এমন একটি সবজি যা দূর করতে পারে কান্সার, ডায়াবেটিস বা বহুমূত্ররোগ। এছাড়াও করলা দূর করে অন্যান্য অনেক মারাত্মক সব শারীরিক সমস্যা। যদিও এর তেতো স্বাদের কারণে কারো মুখে রোচে না, কিন্তু শুধুমাত্র স্বাদের কথা ভেবে স্বাস্থ্যেউপকারিতা ও মিঠাগুণের কথা একেবারে ভুলে বসলেও হবে না।
দ্য নেভাডা সেন্টার অফ আল্টারনেটিভ অ্যান্ড অ্যান্টি এইজিং মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ, ডঃ ফ্রাংক শ্যালেনবার্গার এম.ডি দেখতে পান এই করলার রয়েছে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধির প্রতিরোধ ক্ষমতা। এবং তিনি তার রোগীদের এই প্রাকৃতিক ক্যান্সার নিরাময়ের সবজিটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি প্রতিরোধের জন্য। তিনি তার নতুন গবেষণায় দেখতে পান করলার রস পানিতে মাত্র ৫% মিশ্রিত হয় যা প্রমাণ করে এটি অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। করলার প্রায় ৯০%- ৯৮% পর্যন্ত ক্যান্সারের কোষ ধ্বংসের ক্ষমতা রয়েছে। দ্য ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডোর একটি গবেষণায় দেখা যায় করলা অগ্ন্যাশয়ের টিউমার প্রায় ৬৪% কমিয়ে আনতে সক্ষম।
এছাড়াও ডঃ শ্যালেনবার্গার তার গবেষণায় দেখতে পান, উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা, অ্যাজমা, ত্বকের ইনফেকশন, ডায়বেটিস এবং পাকস্থলীর নানা সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে শুধুমাত্র এই একটি সবজি ‘করলা’। খুব কম ক্যালরি সমৃদ্ধ করলায় রয়েছে পটাশিয়াম, বেটাক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, হাই ডায়াটেরি ফাইবার, ভিটামিন বি১, বি২, বি৩ ও সি, ফোলায়েট, জিংক এবং ফসফরাস।
করলা দূর করে আরও ৭ টি শারীরিক সমস্যা:
১) পরীক্ষিত ভাবে প্রমাণিত যে করলা স্ট্যামিনা ও এনার্জি লেভেল বাড়ায়।
২) গর্ভধারণের প্রাথমিক সময়ে নারীরা করলা নিয়মিত খেলে শিশুদের নিউট্রাল টিউব ডিফেক্ট হতে রক্ষা করে।
৩) করলার নানা পুষ্টি উপাদান রক্তের সুগারের মাত্রা কমায় এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
৪) করলার রস নিয়মিত পান করার ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং নানা ধরণের ইনফেকশনের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৫) হজমে সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও করলার জুড়ি নেই।
৬) করলার রস লিভার পরিস্কারে সহায়ক এবং লিভারকে টক্সিনমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা উন্নত করে।
৭) নিয়মিত করলার রস পানের অভ্যাস সোরাইসিসের অবস্থা উন্নত করে এবং ফাঙ্গাস জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
যেভাবে খেতে পারেন করলা
বাজার থেকে ভালো করলা কেনার পর ঠান্ডা পানিতে ভালো করে ধুয়ে নরম ব্রাশ দিয়ে আলতো ঘষে পরিষ্কার করে নিন।

Monday, September 5, 2016

প্রতিদিন ১টি গাজর করবে ৬ সমস্যার সমাধান

http://banglanews2010.blogspot.com/
সুস্বাদু ও পুষ্টিকর শীতকালীন শাক সবজির মধ্যে অন্যতম সবজি গাজর। গাজর ভিটামিন ও মিনারেল যেমন, থায়ামিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি৬, ফলেইট এবং ম্যাংগানিজে ভরপুর একটি সবজি যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি জরুরী।
এছাড়াও গাজরে আছে ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে ও পটাশিয়াম। অর্থাৎ আমাদের দেহকে সুস্থ সবল রাখতে যে সব ভিটামিন ও মিনারেলস দরকার তার সবই রয়েছে এই গাজরে। গাজরকে সে কারণে বলা হয় সুপারফুড। শুরু তাই নয় গাজরের রয়েছে ৬টি মারাত্মক শারীরিক সমস্যা সমাধানের দারুণ ক্ষমতা।
 
১) লিভার সুস্থ রাখে
গাজর একটি টক্সিন মুক্তকারি খাবার হিসেবে পরিচিত। এইধরনের খাদ্য লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। গাজর লিভারকে পরিস্কার করে। লিভারজনিত সকল ধরনের রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। গাজর লিভারে জমে থাকা মেদ দূর করে লিভারজনিত নানা সমস্যা দূরে রাখে।
 
২) কার্ডিওভ্যস্কুলার রোগ প্রতিরোধ করে
গবেষণায় দেখা যায়, যারা কোলেস্টোরলের সমস্যায় ভোগেন তারা যদি প্রতিদিন ১টি করে গাজর খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন তবে কোলেস্টোরলজনিত বেশীরভাগ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
কারণ গাজরে রয়েছে আলফা ক্যারোটিন, বিটা ক্যারোটিন ও লুটেইন অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা কোলেস্টোরলের বিরুদ্ধে কাজ করে ও হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। এছাড়াও গাজরে বিদ্যমান ফাইবার দেহের খারাপ কোলেস্টোরল শুষে নেয়। এতে দেহে কোলেস্টোরলের মাত্রা ঠিক থাকে এবং হৃৎপিণ্ডকে কোলেস্টোরলজনিত প্রায় সকল ধরনের রোগ থেকে বাঁচায়।
 
৩) চোখের সুরক্ষায় কাজ করে
গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। ভিটামিন এ চোখের সুরক্ষায় কাজ করে। এছাড়াও গাজরের বিটা ক্যারোটিন লিভারে ভিটামিন এ তে পরিনত হয় যা সরাসরি রেটিনায় পৌঁছায়। যা রেটিনা থেকে রডোস্পিনে পৌঁছে যায়। রডোস্পিন একটি হালকা বেগুনি রঙের পিগম্যান্ট যা রাতেরবেলায় আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। সুতরাং গাজর রাতকানা রোগ থেকে আমাদের মুক্ত রাখে।
 
৪) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
গবেষণায় দেখা যায় গাজরের মধ্যে রয়েছে ফুসফুস, স্তন ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। ফ্যালক্যারিওনল ও ফ্যালক্যারিনডিওল দুটি ক্যান্সার প্রতিরোধী যৌগ যা দেহে ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে। গাজরে এই দুটি যৌগ প্রাকৃতিকভাবেই রয়েছে। প্রতিদিন গাজর খাওয়ার অভ্যাস দেহকে ভেতর থেকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করে গড়ে তোলে।
এছাড়া গাজর চামড়ার ক্যান্সারও প্রতিরোধ করে। গবেষকদের মতে যারা নিয়মিত গাজর খান তাদের প্রায় ৭০% মানুষ চামড়ার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যান।
 
৫) বয়সের ছাপ দূর করে
গাজরে বিদ্যমান বিটা ক্যারোটিন ত্বকের ক্ষতিপূরণ করে এবং ত্বকের টিস্যু নষ্ট হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। বিটা ক্যারোটিন খুব ভালো একটি অ্যান্টিএইজিং উপাদান যা ত্বকের বয়সজনিত দাগ ও রিঙ্কেল দূর করে। গাজর খেলে ত্বকে বয়েসের ছাপ ধীরগতিতে আসে। গবেষকদের মতে সপ্তাহে ৬টি গাজর ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।
 
৬) দাঁতের সুরক্ষা করে
চোখের পাশাপাশি দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় গাজরের গুরুত্ব অনেক বেশি। গাজর খেলে দাঁত পরিস্কার হয়। দাঁতে জমে থাকা প্লাক দূর হয়। ডাক্তাররা বলেন গাজর খাওয়ার সময় আমাদের মুখে স্যালাইভার নিঃসরণ ঘটে যা মুখের ভেতর অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে। এতে করে দাঁত ক্ষয়ের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়। প্রতিদিন একটি করে গাজর খাওয়ার অভ্যাস দাঁতের মাড়ি ও দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে।

অ্যালোভেরা জেলের অজানা ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

http://banglanews2010.blogspot.com/
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী- এই পাতাটি রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে আদিকাল থেকে। বহুগুণী এই পাতাটি শুধুমাত্র রূপ বা চুল পরিচর্যায় ব্যবহার হয় না, এর ঔষধি গুণাবলিও অনেক। বহু রোগের সমাধান করে থাকে ছোট এই একটি পাতা। অ্যালোভেরার পাতার ভিতরে থাকা জেলটি ব্রণ দূর করা থেকে শুরু করে আগুণে পুড়ে যাওয়া ত্বক সারাতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি অনেক ঔষুধ তৈরি করতেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে অ্যালোভেরা জেল। রুপচর্চায় অ্যালোভেরার জেলের ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সবাই জানি, আজ এর ঔষধি গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
অ্যালোভেরা হল অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ একটি উদ্ভিদ। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দেহের টক্সিন উপাদান দূর করে থাকে। অ্যালোভেরা জেলের জুস নিয়মিত পান করতে পারেন।
২। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে
২০১৪ সালে এক গবেষণায় দেখা গেছে অ্যালোভেরা জেল মাউথ ওয়াশের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে ভিটামিন সি আছে যা মুখের জীবাণু দূর করে মাড়ি ফোলা, মাড়ি থেকে রক্তপাত বন্ধ করে দিয়ে থাকে। এছাড়া মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।
৩। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
অ্যালোভেরা রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। থাইল্যান্ডে এক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জুস রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এবং ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে থাকে।
৪। মুখের ঘা প্রতিরোধে
মুখের ঘা এবং দাঁতের পোকা রোধ করতেও অ্যালোভেরা জেল কার্যকরী। মুখের ঘায়ের স্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিতে পারেন, এটি ঘা ভাল করতে সাহায্য করে।
৫। ক্যান্সার প্রতিরোধে
নতুন গবেষণা অনুসারে অ্যালো- ইমোডিন নামক উপাদান অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে যা স্তন ক্যান্সার ছড়ানো রোধ করে থাকে। অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধেও অ্যালোভেরা জেল বেশ কার্যকরী।
৬। ওজন কমাতে
অ্যালোভেরা জেলে ম্যাগনেশিয়াম, কপার, পটাশিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম আরও অনেক মিনারেল রয়েছে যা ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে থাকে।
এছাড়া অ্যালোভেরা জেলে প্রায় ২০ রকম অ্যামিনো অ্যাসিড আছে যা ইনফ্লামেশন এবং ব্যাকটেরিয়া রোধ করে হজম, বুক জ্বালাপোড়া রোধ করে থাকে।

৮টি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করবে প্রতিদিন মাত্র ১ কাপ পুদিনা চা

http://banglanews2010.blogspot.com/
রাঁধুনিরা প্রায় সকলেই পুদিনা পাতার সাথে বেশ ভালোই পরিচিত। খাবারে একটু ভিন্ন স্বাদ যোগ করতে এবং পুদিনার ফ্লেভারের জন্য এই পুদিনা পাতা অনেক খাবারে ব্যবহার করা হয়। অনেকেই পুদিনা পাতার তৈরি চা পান করতে পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি জানেন কি এই পুদিনা পাতার চা আমাদের দেহের জন্য কতোটা স্বাস্থ্যকর? প্রতিদিন মাত্র ১ কাপ পুদিনা পাতার চা অনেক মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
১) উচ্চ রক্ত চাপ দূর করে
পুদিনা পাতা পটাশিয়ামে ভরপুর, এতে করে উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা কমায় এবং হার্টবিটের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে থাকে।
২) মুখের নানা ইনফেকশনের সমস্যা সমাধান করে
পুদিনা পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে বিশেষ ভাবে সহায়ক। পুদিনা পাতার চা পানে মুখের ইনফেকশন জনিত সমস্যা দূর হয় এবং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
৩) দেহের নানা অঙ্গের ব্যথা দূর করে
মাথা ব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা এমনকি পেটে ব্যথার মতো সমস্যাও দূর করতে সহায়তা করে পুদিনা চা।
৪) বিষণ্ণতা দূর করে
পুদিনা পাতার চায়ের রয়েছে মানসিক চাপ দূর করে মস্তিষ্ক রিলাক্স করার জাদুকরী ক্ষমতা। মানসিক চাপের পাশাপাশি এটি দূর করে বিষণ্ণতার সমস্যাও।
৫) স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সহায়তা করে
গবেষণায় দেখা যায় পুদিনা পাতার সুঘ্রাণ মস্তিষ্ককে সজাগ, সচেতন রাখে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নতিতে সহায়তা করে। শুধুমাত্র পুদিনা পাতার ঘ্রাণ নেয়াই মস্তিষ্কের জন্য বেশ ভালো।
৬) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
পুদিনার মেন্থল নামক উপাদান নানা ধরণের ক্যান্সারের কোষ দেহে গঠন হতে বাঁধা প্রদান করে, বিশেষ করে প্রোস্টেট ক্যান্সার।
৭) বমি বমি ভাব সমস্যার সমাধান করে
অনেকেই নানা কারণে বমি ভাবের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এমন অবস্থায় খাওয়া দাওয়া করা যায় না একেবারেই। এই বমি ভাবের সমাধান করে দেবে পুদিনা চা।
৮) অ্যাজমা এবং অন্যান্য শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূরে রাখে
পুদিনার অসাধারণ ঘ্রাণ শ্বাসপ্রশ্বাস নালীর নানা সমস্যা জনিত রোগ দূর করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন পুদিনা চা পানে অ্যাজমা সহ শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাও দূর হয়।
যেভাবে তৈরি করবেন পুদিনা চাঃ
– ২ কাপ পানিতে ১ মুঠো পুদিনা পাতা ধুয়ে সামান্য ছেঁচে দিয়ে ফুটাতে থাকুন।
– যখন পানি ফুটে ১ কাপ পরিমাণে হবে তখন ছেঁকে নামিয়ে নিন।
– এতে পছন্দ অনুযায়ী মধু মিশিয়ে পান করুন।

Sunday, September 4, 2016

নানা গুণের মিষ্টি আলু

http://banglanews2010.blogspot.com/
নাম তার মিষ্টি আলু। নানা গুণে গুণান্বিত এই আলুর নামের সঙ্গে কাজের মিলও রয়েছে শতভাগ। নানা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ মিষ্টি আলুর পাতা থেকে শুরু করে সব কিছু খাওয়া যায়।
সকালে শুধু মিষ্টি আলু খেয়ে দিনভর মাঠে কাজ করে সন্ধ্যায় বাড়িতে ফেরার উদাহরণও কৃষক পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া রুপচর্চাতেও এ আলুর ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে।
মিষ্টি আলুর মিষ্টতা বলে শেষ করার মতো না! তবে হতাশার কথা হলো বিভিন্ন গুণসমৃদ্ধ এ আলুর উৎপাদন ও চাষ দিনদিন কমে যাচ্ছে। এছাড়া কৃষকরা এখনো সেই প্রাচীন পদ্ধতিতেই চাষ করছেন মিষ্টি আলু।
প্রায় দুই যুগ ধরে আলু নিয়ে কাজ করা এই গবেষক জানান, বহুগুণে গুণান্বিত এই আলুর চাষ ও উৎপাদন দিনদিন শুধু কমেই যাচ্ছে। কৃষকের দোঁড়গোড়ায় যাচ্ছে না উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন জাত। এছাড়া যেসব জমিতে এই আলু চাষ হয় সেসব জমিতে অন্য ফসল চাষ হচ্ছে।
সারা বছর চাষ হওয়া এই ফসলটির উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানান, মিষ্টি আলু উৎপাদনে সময় দরকার হয় প্রায় পাঁচ মাসের মতো। অথচ একই সময়ে বর্তমানে কৃষকরা দুটি ফসল ঘরে তুলতে পারছেন। আর দামও তেমনভাবে পান না তারা।
বারি সূত্র জানায়, গত ৩০ বছরে আলু চাষে ৫০ ভাগ জমি ও উৎপাদন কমে গেছে। ১৯৮৫-৮৬ সালে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হতো। বর্তমানে আছে ৩০ হাজার হেক্টরে চাষ হচ্ছে। আর সেই সময়ে উৎপাদন হয়েছে ছয় লাখ মেট্রিক টন, যা বর্তমানে তিন লাখ মেট্রিক টনের নিচে কমে গেছে। বর্তমানে বেশি আলু চাষ হচ্ছে বারি মিষ্টি আলু চার ও আট।
মিষ্টি আলুর গুণাগুণ
এ আলুতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ও চিনি থাকে। যা শরীরে শক্তি জোগান দেওয়ার পাশাপাশি কাজে-কর্মেও গতি আনে। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৬ সহ প্রয়োজনীয় নানা পুষ্টি উপাদান।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, মিষ্টি আলুতে যেসব ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট আছে সেগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর ভারী ধাতু থেকে স্বাস্থ্য-ঝুঁকি কমাতে বেশ সহায়ক। মিষ্টি আলুতে থাকা শর্করা শরীরের জ্বালানির প্রধান উৎস।




কেন্দ্রীয় নার্ভ সিস্টেমকে চাঙা রাখে এ আলু। যা মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য খুবই প্রয়োজন। মাংসপেশি সবল রাখতে খাওয়া যেতে পারে মিষ্টি আলু। তীব্র শীতে মাংসপেশী জমে যাওয়া এড়াতেও মিষ্টি আলু অগ্রণী ভূমিকা রাখে।
কিডনি ও হৃদস্বাস্থ্যের জন্যও ভালো মিষ্টি আলু। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা শরীরের কোষে তরল ইলেকট্রোলাইটেসর ভারসাম্য বজায় রাখে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে মিষ্টি আলু। কোলন ক্যানসার প্রতিরোধেও বিশেষ উপকারী এ আলু।
এছাড়া ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য রক্ষায় মিষ্টি আলুর তুলনা নাই। এ ছাড়া মিষ্টি আলুতে প্রাকৃতিকভাবে চিনি থাকলেও তা ধীরে ধীরে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়, ফলে শরীরে প্রয়োজন মাফিক শক্তির জোগান অব্যাহত থাকে।
 
Blogger Templates