Pages

Ads 468x60px

Featured Posts

Saturday, July 22, 2017

ঘরোয়া প্রতিষেধক

https://banglanews2010.blogspot.com/

সাধারণ মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা বা গলা ব্যথায় আমরা অনেক ধরনের ওষুধ সেবন করে থাকি। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া হয় না।
যে কোনো ওষুধ সেবনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। এক্ষেত্রে ভেষজ উপাদান হতে পারে নিরাপদ সমাধান।
https://banglanews2010.blogspot.com/
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এমনই কিছু ঘরোয়া টোটকা উল্লেখ করা হয়।
দীর্ঘদিনের মাথা ব্যথা: একটি আপেলের খোসা ছিলে টুকরা করে কেটে নিতে হবে। এর উপর স্বাদ মতো লবণ ছড়িয়ে সকালে খালি পেটে খেতে হবে। এটি মাথা ব্যথা কমাতে বেশ সহায়ক।
গ্যাসের সমস্যা: আধা গ্লাস পানিতে সোয়া চামচ বেকিং সোডা গুলিয়ে পান করতে হবে। এটি গ্যাসের সমস্যা উপশমে বেশ সাহায্য করে।
গলা ব্যথা: পানিতে খানিকটা পুদিনা-পাতা নিয়ে সিদ্ধ করতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না পাতার রস পুরোপুরি বের

মুখে আলসার বা ঘা: পাকাকলা এবং মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেস্ট মুখে যেখানে ঘা হয়েছে ওখানে সরাসরি লাগাতে হবে। এতে দ্রুত ওই ক্ষত সেরে উঠবে।
সাইনাসের সমস্যা: বিশুদ্ধ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে আধা কাপের খানিকটা কম পানির সঙ্গে গুলে নিতে হবে। কুসুম গরম অবস্থায় ওই মিশ্রণ দিনে দু’বার পান করতে হবে।
শ্বাস কষ্ট: আধা টেবিল-চামচ দারুচিনির সঙ্গে এক টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে ঘুমানোর আগে খেলে শ্বাস কষ্টে উপকার পাওয়া যাবে।চুল পাকা: শুকানা আমলকি নিয়ে নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে গরম করতে হবে। প্রতিদিন এই তেল চুলে লাগিয়ে মালিশ করতে হবে।
চোখের নিচে কালোদাগ: গ্লিসারিনের সঙ্গে কমলার রস মিশিয়ে চোখের চারপাশে ব্যবহারে কালোদাগ দূর হয়।

ক্যানসার তৈরি করে যেসব খাবার

https://banglanews2010.blogspot.com/
মরণব্যাধি ক্যানসার। প্রতিরোধের উত্তম চিকিৎসা। শরীরের অতি দ্রুত অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনের মাধ্যমে ক্যানসার তৈরি হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক খাবার ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় এবং অনেক খাবার আবার ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। যেসব খাবার ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় তা নিজে জানুন এবং অন্যকে জানিয়ে সচেতন করে দিন।
১. আলুর চিপস : চিপসের স্বাদ মচমচে করার জন্য কৃত্রিম রং, ফ্লেভার, ট্রান্স ফ্যাট ও প্রচুর লবণ মিশানো হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এটি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
২. ফ্রেঞ্চ ফ্রাই : আমেরিকান ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরির সময় উচ্চ তাপ ও তেলের সংস্পর্শে অ্যাক্রাইলেমাইড সৃষ্টি হয়ে ক্যানসার হয়।
৩. প্রক্রিয়াজাত মাংসের খাবার : বেকন, হটডগ, মিডলোফ, সসেজ, বার্গার ইত্যাদি খাবারে সোডিয়াম নাইট্রেট থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, সোডিয়াম নাইট্রেটযুক্ত প্রক্রিয়াজাত মাংস মানবদেহে এন নাইট্রোসোতে পরিণত হয়ে ক্যানসার সৃষ্টি করে।
৪. সফট ড্রিংকস : বাজারের কোমল পানীয়তে থাকে ক্ষতিকর রং, অতিরিক্ত সোডা ও কৃত্রিম চিনি। এটি রক্তে গ্লুকোজ বাড়িয়ে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট বাড়িয়ে মেটাবলিক সিনড্রোম ও ক্যানসার তৈরি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, কোমল পানীয়তে ‘৪-মিথাইলমিডাজল’ নামের যে রং থাকে, এটি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
৫. কৃত্রিম চিনি : কৃত্রিম চিনি অ্যাসপার্টের চিনির চেয়ে ১০ গুণ বেশি মিষ্টি এবং ক্যালোরি শূন্য। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই খুব জনপ্রিয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিতভাবে কৃত্রিম চিনি খেলে ব্রেইন ক্যানসার হতে পারে।
৬. অ্যালকোহল : অতিরিক্ত অ্যালকোহল মানব দেহে রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে অ্যাসিটেলডিহাইডে পরিণত হয়ে ডিএনএ ভেঙ্গে ক্যানসার তৈরি করে।
৭. গ্রিল, বারবিকিউ : গ্রিল, বারবিকিউ এ ধরনের মাংসে উচ্চ তাপে হেটারোসাইক্লিক অ্যামাইন তৈরি হয়। এ থেকে ক্যানসার হতে পারে।
৮. বিষাক্ত কীটনাশক ও ক্যামিক্যাল যুক্ত ফলমূল : আমেরিকান ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, ৩০ ভাগ কীটনাশক হচ্ছে কারসিনোজেন। এটি মানব দেহে কোনো না কোনো ক্যানসার তৈরি করে।
৯. খোলা বাজারের শরবত : বাজারের শরবতে থাকে দূষিত পানি, বরফ ও ক্ষতিকর রং। এগুলো জন্ডিস, হেপাটাইটিস ও লিভার ক্যানসার সৃষ্টি করে।
১০. পুরোনো তেল : পুরোনো তেল দিয়ে বারবার খাবার রান্না করলে ফ্রি রেডিক্যাল তৈরি হয়ে ডিএনএ কে ভেঙে ক্যানসার হতে পারে।

বিনা পয়সার যে খাবারটি আজীবন যৌবন ধরে রাখে ও নতুন চুল গজায়, দেখে নিন কিভাবে খাবেন

সমস্যা সমাধান ও রোগ নিরাময়ের জন্য আমরা কত কিনা করি। চিকিৎসা করতে গিয়ে বেশ ক্ষতি ডেকে আনি নিজেদের জন্যই। কষ্ট লাঘবে তখন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টা মাথায় থাকে না। বিশেষ করে টাইফয়েড জ্বর, ডায়রিয়া, কলেরার মতো পেটের রোগে অ্যান্টিবায়োটিকও চলে আকছার।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত ওই সব ওষুধগুলির দামও অনেক সময় নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে হয়ে যায়। অথচ আমাদের হাতের কাছেই কিছু
ভেষজ গাছ রয়েছে, যেগুলি অত্যন্ত অল্প দামে বা একটু খুঁজলে বিনামূল্যেও পাওয়া যায়, আমরা জানি না। অনেক সময় জেনেও, বিশ্বাস হয় না। তেমনই একটি ভেষজ উদ্ভিদ হল থানকুনি।
থানকুনি আমাদের অতিপরিচিত পাতা। পুকুরপাড় বা জলাশয়ে হামেশাই দেখা মেলে। কথায় বলে, পেট ভালো থাকলে মনও ফুরফুরে থাকে। চিকিত্‍সকরাই বলছেন, থানকুনি পাতার এমন ভেষজ গুণ রয়েছে, মিয়মিত খেতে পারলে, পেটের অসুখে কোনও দিনও ভুগতে হবে না। শরীর-স্বাস্থ্য তো সতেজ থাকেই, ছোট থেকে খাওয়াতে পারলে বুদ্ধিরও বিকাশ হয়। দেখে নেওয়া যাক, যৌবন ধরে রাখতে ও সুস্থ থাকতে থানকুনি পাতার ভেষজ গুণগুলি।
১. পেটের রোগ নির্মূল করতে থানকুনির বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যে কোনও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
২. শুধু পেটই নয়, আলসার, এগজিমা, হাঁপানি-সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে।
 ৩. থানকুনি পাতায় থাকে Bacoside A ও B। Bacoside B মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে ও রক্ত চলাচল বাড়ায়। থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৪. থানকুনি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
৫. মৃতকোষের ফলে চামড়ায় অনেক সময়ই শুষ্ক ছাল ওঠে। রুক্ষ হয়ে যায়। থানকুনি পাতার রস মৃতকোষগুলিকে পুনর্গঠন করে ত্বক মসৃণ করে দেয়।
৬. পুরনো ক্ষত কোনও ওষুধেই না সারলে, থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে তার জল লাগালে সেরে যায়। সদ্য ক্ষতে থানকুনি পাতা বেটে লাগালে, ক্ষত নিরাময় হয়ে যায়।
৭. থানকুনি পাতা চুল পড়া আটকে দেয়। এমনকি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
৮. বয়স বাড়লেও, যৌবন ধরে রেখে দেয় থানকুনি পাতার রস। প্রতিদিন একগ্লাস দুধে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য চলে আসে। আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়।
৯. দাঁতের রোগ সারাতেও থানকুনির জুড়ি মেলা ভার। মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে বা দাঁতে ব্যথা করলে একটা বড় বাটিতে থানকুনি
পাতা সিদ্ধ করে, তারপর ছেঁকে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায় চটজলদি।
সমস্যা সমাধান ও রোগ নিরাময়ের জন্য আমরা কত কিনা করি। চিকিৎসা করতে গিয়ে বেশ ক্ষতি ডেকে আনি নিজেদের জন্যই। কষ্ট লাঘবে তখন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টা মাথায় থাকে না। বিশেষ করে টাইফয়েড জ্বর, ডায়রিয়া, কলেরার মতো পেটের রোগে অ্যান্টিবায়োটিকও চলে আকছার।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত ওই সব ওষুধগুলির দামও অনেক সময় নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে হয়ে যায়। অথচ আমাদের হাতের কাছেই কিছু
ভেষজ গাছ রয়েছে, যেগুলি অত্যন্ত অল্প দামে বা একটু খুঁজলে বিনামূল্যেও পাওয়া যায়, আমরা জানি না। অনেক সময় জেনেও, বিশ্বাস হয় না। তেমনই একটি ভেষজ উদ্ভিদ হল থানকুনি।
থানকুনি আমাদের অতিপরিচিত পাতা। পুকুরপাড় বা জলাশয়ে হামেশাই দেখা মেলে। কথায় বলে, পেট ভালো থাকলে মনও ফুরফুরে থাকে। চিকিত্‍সকরাই বলছেন, থানকুনি পাতার এমন ভেষজ গুণ রয়েছে, মিয়মিত খেতে পারলে, পেটের অসুখে কোনও দিনও ভুগতে হবে না। শরীর-স্বাস্থ্য তো সতেজ থাকেই, ছোট থেকে খাওয়াতে পারলে বুদ্ধিরও বিকাশ হয়। দেখে নেওয়া যাক, যৌবন ধরে রাখতে ও সুস্থ থাকতে থানকুনি পাতার ভেষজ গুণগুলি।


১. পেটের রোগ নির্মূল করতে থানকুনির বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যে কোনও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একই সঙ্গে পেট নিয়ে কোনও দিনও সমস্যায় ভুগতে হয় না।
২. শুধু পেটই নয়, আলসার, এগজিমা, হাঁপানি-সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। ত্বকেও জেল্লা বাড়ে।
 ৩. থানকুনি পাতায় থাকে Bacoside A ও B। Bacoside B মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে ও রক্ত চলাচল বাড়ায়। থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৪. থানকুনি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
৫. মৃতকোষের ফলে চামড়ায় অনেক সময়ই শুষ্ক ছাল ওঠে। রুক্ষ হয়ে যায়। থানকুনি পাতার রস মৃতকোষগুলিকে পুনর্গঠন করে ত্বক মসৃণ করে দেয়।
৬. পুরনো ক্ষত কোনও ওষুধেই না সারলে, থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে তার জল লাগালে সেরে যায়। সদ্য ক্ষতে থানকুনি পাতা বেটে লাগালে, ক্ষত নিরাময় হয়ে যায়।
 ৭. থানকুনি পাতা চুল পড়া আটকে দেয়। এমনকি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
৮. বয়স বাড়লেও, যৌবন ধরে রেখে দেয় থানকুনি পাতার রস। প্রতিদিন একগ্লাস দুধে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য চলে আসে। আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়।
৯. দাঁতের রোগ সারাতেও থানকুনির জুড়ি মেলা ভার। মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে বা দাঁতে ব্যথা করলে একটা বড় বাটিতে থানকুনি
পাতা সিদ্ধ করে, তারপর ছেঁকে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায় চটজলদি।

Tuesday, May 23, 2017

চোখের যত্ন

আমাদের চোখের চারপাশের ত্বক খুবই স্পর্শকাতর। সামান্য অবহেলাতেই দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। তাই প্রথম থেকে সচেতন থাকুন এবং বিশেষ যত্ন নিন।
চোখের পাতায় কাজলের গাঢ় টান, মাসকারার ঘন প্রলেপকে আড়াল করে যদি আগে নজর যায় চোখের চারপাশের কুঁচকানো ত্বক ও বলিরেখার দিকে তা হলে সেটা নিশ্চয় আপনার পক্ষে খুব একটা সুখকর অভিজ্ঞতা হবে না! ডার্কসার্কলসহীন অভিব্যক্তিতে পূর্ণ কোমল দুই চোখের আবেদন উপেক্ষা করা কখনওই সম্ভব নয়। কীভাবে পাবেন সেই আবেশ জড়ানো চোখ, রইল তা নিয়েই একটি বিশেষ আলোচনা।
http://banglanews2010.blogspot.com/

১. কখনও চোখের চারপাশের ত্বক ঘসে ঘসে মুছবেন না। চোখ ধোয়ার পরে নরম কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে হালকা করে থুপে থুপে জল মুছে নিন। খুব জোরে ঘসলে চোখের চারপাশের ত্বকে ইরিটেশন তৈরি হয় এবং ত্বক কুঁচকে যায়।
২. প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে যত ক্লান্তই থাকুন না কেন চোখের মেক-আপ তুলতে কখনও ভুলবেন না। সারা রাত মেকআপ না তুললে পরোক্ষে ক্ষতি আপনারই হবে। আসলে মেকআপে নানা রকম কেমিক্যাল থাকে, যা বেশিক্ষণ ত্বকের ওপরে থাকলে ত্বকের নানা রকম সমস্যা যেমন অ্যালার্জি হতে পারে।
৩. আই মেকআপ রিমুভার আলাদা পাওয়া যায়। যে কোনও নামী কোম্পানির প্রোডাক্ট রেঞ্জে এই আই মেকআপ রিমুভার পেয়ে যাবেন। তবে এই রিমুভার কেনার আগে দেখে নেবেন যে এটি অয়েল ফ্রি কিনা। যে সব প্রোডাক্টে তেল আছে তা ব্যবহার করলে চোখের চারপাশে ক্লগড গ্ল্যান্ডসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা নিয়মিত কনট্যাক্ট লেন্স পড়েন, তাঁরা করে অয়েল বেসড প্রোডাক্ট একেবারেই এড়িয়ে চলবেন। কারণ অয়েল বেসড আই মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করলে অনেক সময়ে ব্লারড ভিশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর কোনও রকমের ইনফেকশন এড়ানোর জন্যে একটা দিকে সব সময়ে খেয়াল রাখবেন। রিমুভার কন্টেনারের ভিতরে আঙুল দেবেন না। সব সময়ে তুলো ব্যবহার করবেন।
৪. চড়া রোদ এবং আলট্রাভায়োলেট রেজ় চোখের চারপাশের ত্বকেরও খুব ক্ষতি করে। তাই রোদে বেরোনোর আগে অবশ্যই চোখের চারপাশে সানস্ক্রিন লোশন লাগিয়ে নেবেন এবং সানগ্লাস ইজ় আ মাস্ট। সানগ্লাস ছাড়া কখনওই রোদে বেরোবেন না।

৫. সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খান। জল ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সাহায্য করে। দিনে অন্তত এক থেকে দেড় লিটার জল অবশ্যই খাবেন।
৬. প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুম একান্তই প্রয়োজন। খুব বেশি স্ট্রেস এবং কম ঘুম থেকে চোখের তলায় কালি পড়ে যাবে।
৭. বেশি ধূমপান এবং ড্রিংক করলে ত্বক ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। ফলে চোখের চারপাশের ত্বকও ড্রাই হয়ে গিয়ে কুঁচকে যায়।
৮. অনেকেরই একটা স্বভাব আছে চোখ কুঁচকে তাকানোর। এই স্বভাবটটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছেড়ে দিন। চোখ কুঁচকে তাকালে চোখের চারপাশের ত্বকে স্ট্রেস পড়ে এবং তার ফলে ফাইন লাইনস দেখা দেয়, যাকে সহজ ভাষায় রিঙ্কলস্ বলে।
৯. প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে আই মেকআপ রিমুভ করে আন্ডার আই জেল বা ময়েশ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নেবেন। এতে চোখের চারপাশের সেন্সিটিভ ত্বক আরাম পাবে এবং ক্ষতিগ্রস্থ সেলগুলো রিজুভিনেটেড হবে।

১০. চোখের তলায় ডার্ক সার্ককলস্ কমানোর জন্যে একটি সহজ ঘরোয়া প্যাক ট্রাই করে দেখতে পারেন। একটা টোম্যাটো ভালভাবে পেস্ট করে নিয়ে তার মধ্যে এক চিমটে হলুদগুঁড়ো, ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চোখের চারপাশে দশ মিনিট মতো লাগিয়ে রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
১১. শসা স্লাইস করে নিয়ে চোখের ওপরে দশ থেকে পনেরো মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এতে চোখের চারপাশের ত্বকে সতেজতা ফিরে আসবে আর নিয়মিত করতে পারলে ডার্ক সার্কলসের সমস্যাও মিটে যাবে।
১২. ঠাণ্ডা গোলাপ জলে তুলো ভিজিয়ে চোখের পাতায় দশ থেকে পনেরো মিনিট লাগিয়ে রাখুন। দেখবেন অনেক বেশি ফ্রেশ এবং রিজুভিনেটেড লাগবে।

শসার রূপচর্চা, মেদ ঝরানো ও পুষ্টিগুণ

আপনি কী জানেন সারা বিশ্বে সবজি আবাদ হওয়ার দিক থেকে শসার অবস্থান কত নম্বরে? শুনে অবাক হবেন, শসার অবস্থান

রয়েছে ৪ নম্বরে। খাদ্যে, রূপচর্চায় ও মেদ নিয়ন্ত্রণে এই সবজিটির রয়েছে বিশেষ জনপ্রিয়তা। আবার এই সবজিটি বেশ সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী। শসার হাজারো উপকারিতা থেকে ১ ডজন উপকারের কথাই জেনে নিন।
দেহের পানিশূন্যতা দূর করে: পথে-ঘাটে চলতে ফিরতে অনেক সময় পিপাসা লাগে। অথচ  আপনি এমন কোথাও আছেন যেখানে হাতের কাছে পানি নেই কিন্তু শসা আছে। বড়সড় একটা শসা চিবিয়ে খেয়ে নিন। পিপাসা মিটে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন চনমনে। কারণ শসার মধ্যে রয়েছে ৯০ শতাংশ পানি।
বিষাক্ততা দূর করে: আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের কারণে দেহের মধ্যে বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ জমা হয়। শসার মধ্যে যে পানি থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাঁটার মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খেলে কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়।
প্রাত্যহিক ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে: শসার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি। যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। সবুজ শাক ও গাজরের সঙ্গে শসা পিষে রস করে খেলে এই তিন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে। আপনি থাকবেন সুস্থ তরতাজা।
ত্বকবান্ধব খনিজের সরবরাহকারী: শসায় উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন আছে, যা ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ জন্য ত্বকের পরিচর্যায় গোসলের সময় শসা ব্যবহার করা হয়।
হজম ও ওজন হ্রাসে সহায়ক: স্থূল দেহের ওজন কমাতে শসা একটি আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করে। শসায় রয়েছে উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান। ফলে যারা ওজন কমাতে চান তারা স্যুপ ও সালাদে বেশি বেশি শসা ব্যবহার করবেন। কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
শসার রূপচর্চা, মেদ ঝরানো ও পুষ্টিগুণ
চোখের জ্যোতি বাড়ায়: সৌন্দর্য চর্চায় অনেকে শসা গোল গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন। এতে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা যেমন পরিষ্কার হয়, তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়াতেও কাজ করে। চোখের প্রদাহ প্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়া ঠেকাতেও এটি কাজ করে।
মাথাধরায় নিষ্কৃতি: অনেকের ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ধরে। শরীর ম্যাজম্যাজ করে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সুগার আছে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক স্লাইস শসা খেয়ে নিলে ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর এ সমস্যা থাকবে না।
চুল ও নখ সতেজ করে: চুল ও নখকে সতেজ এবং শক্তিশালী করে তুলতে শসার খনিজ সিলিকা অত্যন্ত সহায়ক। এছাড়া শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
শসার রূপচর্চা, মেদ ঝরানো ও পুষ্টিগুণ
গ্যাটেবাত থেকে মুক্তি: শসায় প্রচুর পরিমাণে সিলিকা আছে। গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেলে দেহের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নেমে আসে। এতে গাঁটেবাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে: ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয়, কোলেস্টেরল কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

Tuesday, April 4, 2017

জেনে নিন কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ

http://banglanews2010.blogspot.com/
‘স্থূলতা কিডনি রোগ বাড়ায়, সুষ্ঠু জীবন-যাপনে সুস্থ কিডনি’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে বিশ্ব কিডনি দিবস। গত ৯ মার্চ বিশ্ববাসীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে এ দিবসটি পালন করা হয়।
আমাদের দেশে অনেক মানুষই কিডনি রোগে আক্রান্ত। মারাও যাচ্ছেন অনেকে। তবে কিডনি তার ২০ শতাংশ কাজ ঠিকঠাক করতে পারলেই স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করা যায়। কিন্তু তাও যদি না হয়, তখন জীবন বাচাঁনোই দায় হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া কিডনি যে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা বুঝতেও পড়তে হয় বেকায়দায়। তাই এ ব্যাপারে আগে থেকে জেনে রাখা দরকার।
সাধারণত হরমোন উত্পাদন থেকে শুরু করে রক্ত ফিল্টার, ইউরিন নিঃসরণ, শরীরের বর্জ নিঃসরণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, খনিজ লবণ নিয়ন্ত্রণ করে কিডনি।
এখন জেনে নিই- কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ।
অতিরিক্ত সোডা পান:
গবেষকদের মতে, অতিরিক্ত সোডা পান করলে কিডনি ধ্বংস হতে পারে। যে ব্যক্তি দুই বা তিন গ্লাস সোডা পান করেন তার কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। প্রসাবের মাধ্যমে প্রোটিন বেরিয়ে যাওয়াটাই কিডনি ধ্বংসের একটি প্রাথমিক লক্ষণ। প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগ নির্ণয় করা গেলে তা প্রতিকার করা সম্ভব।
ভিটামিন বি-৬ এর ঘাটতি :
এটা কিডনি ক্ষতির অন্য একটি কারণ। কিডনিকে ভালো রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন বি-৬ এর অভাবে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকে। দৈনিক ১.৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-৬ গ্রহণ একটি কিডনিকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। যেসব খাবারে এই ভিটামিন বেশি থাকে তা হলো- মাছ, মুরগীর বাচ্চা, গরুর কলিজা, আলু, আঁশ যুক্ত খাবার এবং ফর্মালিনমুক্ত ফলমূল।
ব্যায়ামের অভাবে:
কিডনিকে ভালো রাখার আরও একটি উপায় হচ্ছে ব্যায়াম। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে ব্যক্তি নিয়মিত ব্যায়াম করে তার কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি ৩১ শতাংশ কম থাকে।
ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি:
শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতির কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই কিডনিকে সুস্থ রাখতে ম্যাগনেসিয়ামের জুড়ি নেই। একই সঙ্গে খাদ্য তালিকায় সবুজ শাক-সবজি , মটরশুটি, দানাজাতীয় খাবার, বাদাম এবং অ্যাভাকাদো রাখা যেতে পারে।
কম ঘুমানো:
কম ঘুম কিডনি নষ্টের আরেকটি কারণ। রাতের ঘুম আপনার কিডনি ভালো রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এক গবেষণায় দেখা যায়, দীর্ঘদিন একটু পর পর ঘুম ভাঙ্গার সমস্যাও কিডনি রোগের অন্য একটি কারণ। রাতে কিডনির টিস্যুতৈরি হয় , তাই রাতে ঘুমে বিঘ্ন ঘটলে সরাসরি তা এই ইন্দ্রিয়ের ক্ষতি করে।
পর্যাপ্ত পানি পান না করলে:
প্রতিদিন যেসব কারণে কিডনির ক্ষতি হয় তার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো পর্যাপ্ত পানি পান না করা। কিডনির অন্যতম প্রধান কাজ শরীর থেকে পরিপাক প্রক্রিয়ার বর্জ্য অপসারণ করা এবং লোহিত রক্তকণিকার ভারসাম্য রক্ষা করা। কিন্তু পর্যাপ্ত পানি পান না করলে বৃক্বের রক্তপ্রবাহ কমে যায়। এর ফলে রক্তে দূষিত রাসায়নিক জমা হতে থাকে।
প্রস্রাব আটকে রাখা
প্রস্রাব আটকে রাখলেও এটি কিডনিকে নষ্ট করে দেয় খুব দ্রুত। কারণ এতে কিডনির ওপর অনেক বেশি চাপ পরে। ফলে কিডনি তার সাধারণ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাই এই কাজটি করা উচিত নয়।
বেশি লবণ খেলে :
বিভিন্ন খাবার-দাবারে মিশে থাকা লবণকে পরিপাক করা কিডনির আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। রান্না করা বা প্যাকেটজাত খাবারে ব্যবহার করা লবণ আমাদের শরীরে সোডিয়ামের বড় উৎস। কিন্তু পরিপাকের মধ্য দিয়ে এই সোডিয়ামের বেশির ভাগটাই বর্জ্য হিসেবে শরীর থেকে বের করে দিতে হয়। আমরা যখন বেশি বেশি লবণ খাই, তখন এই সোডিয়াম প্রক্রিয়াজাত করা নিয়ে কিডনিকে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। এতে কিডনির ওপর প্রবল চাপ পড়ে।
এক গবেষণায় দেখা যায়, লবণ শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এটা প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত খেলে ব্লাড প্রেসার বাড়ে এবং কিডনিতে প্রেসার পড়ে। প্রতিদিন ৫.৮ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়।
ক্যাফেইনে বেশি আসক্তি:
তৃষ্ণা পেলে আমরা অনেক সময় পানি পান না করে নানা ধরনের কোমল পানীয় পান করি। কিন্তু এসব পানীয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন মেশানো থাকে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরে রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। অতিরিক্ত রক্তচাপ কিডনির ওপরও চাপ প্রয়োগ করে এবং এতে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ব্যথানাশকের প্রতি নির্ভরশীলতা:
মাথাব্যথা, গলাব্যথা যা-ই হোক না কেন কথায় কথায় ব্যথার ওষুধ খাওয়ার বাজে অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে। কিন্তু প্রায় সব ব্যথানাশক ওষুধেরই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। কিডনিসহ নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য এসব ওষুধ ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত ব্যথানাশক ওষুধের ওপর নির্ভরতা রক্তচাপ কমিয়ে দেয় এবং কিডনির কর্মক্ষমতা হ্রাস করে।
সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে:
আপনার জীবনযাত্রা এবং অস্বাস্থ্যকর ডায়েটের কারণে দুটি কমন রোগ- উচ্চমাত্রার ব্লাড প্রেসার এবং ডায়েবেটিকস হয়। তবে ইতোমধ্যে যাদের এ রোগগুলো আছে, তাদের কিডনি ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকে। তবে হ্যা যদি আপনি নিয়মিত আপনার চিকিৎসা চালিয়ে যান তবে এটা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই শরীরের এই মূল্যবান অঙ্গকে রক্ষা করতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।
অতিমাত্রায় প্রোটিন:
গবেষণায় দেখা যায়, আপনার খাদ্য তালিকায় অতিরিক্ত প্রোটিন থাকলে তা কিডনি নষ্ট করে দিতে পারে। এই প্রোটিনের পঁচনই হচ্ছে অ্যামোনিয়া। এটা এক ধরণের বিষক্রিয়া; যা কিডনির কাজকে ব্যহত করে।
অতিরিক্ত মদ্য পান:
অ্যালকোহলে যে বিষ থাকে তা শুধু লিভারই ক্ষতি করে না এটা কিডনির ক্ষতি করে থাকে। ফলে কিডনি ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কিডনি রোগ থেকে বাঁচতে অ্যালকোহলমুক্ত পানীয় পান করা উচিত।
দ্রুত চিকিৎসা না নিলে:
কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না তা জানতে আমাদের ঢের সময় লেগে যায়। চিকিৎসকের গেলেও সেখানেও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা কেটে যায় আরও কিছু সময়। আর ততক্ষণে রোগীর অবস্থা আরও বেকায়দা। তাই আগে থেকেই এ ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার। কোনো ধরনের সমস্য অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।
ধূমপানে আসক্তি:
ধূমপানও কিডনি নষ্টের বড় একটি কারণ। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের অভিমত অনুসারে ধূমপান কিডনিসহ শরীরে সব অঙ্গের জন্যই ক্ষতিকর। এ ছাড়া বিভিন্ন গবেষণাতেই ধূমপানের সঙ্গে কিডনি রোগের সম্পর্ক আছে। সুস্থ কিডনি চাইলে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

Saturday, March 25, 2017

নিম পাতার অসাধারণ উপকারিতা

http://banglanews2010.blogspot.com/
নিমের বৈজ্ঞানিক নাম Azadirachta indica । নিমকে ইন্ডিয়ান লাইলাকও বলা হয়। আমাদের সবার পরিচিত নিম আয়ুর্বেদ, প্রাকৃতিক, ইউনানি এবং হোমিওপ্যাথি ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। নিমে ব্যাকটেরিয়া নাশক, ভাইরাস নাশক, ছত্রাক নাশক, বেদনানাশক, জ্বর নাশক, পচন নিবারক, জীবাণুনাশক, অ্যান্টি ডায়াবেটিক, রক্ত পরিষ্কারক এবং স্পারমিসাইডাল উপাদান আছে। নিমের নানাবিধ ঔষধি গুণের জন্য একে ‘ওয়ান ট্রি ফার্মেসি’ও বলা হয়। নিম গাছ পরিবেশের জন্যও অনেক উপকারী। নিম গাছের প্রতিটা অংশ- শিকড়, বাকল, আঠা, পাতা, ফল, ডাল,বীজ এবং বীজের তেল ভেষজ ঔষধি হিসেবে ব্যবহার হয়। নিমের কয়েকটি উপকারিতার বিষয়ে আমরা জেনে নেব আজ।

১। খুশকির চিকিৎসায়
নিমের ব্যাকটেরিয়া নাশক ও ছত্রাক নাশক উপাদানের জন্য খুশকির চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিম মাথার তালুর শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করে।
-চার কাপ পানিতে এক মুঠো নিমের পাতা দিয়ে গরম করতে হবে যতক্ষণ না পানিটা সবুজ বর্ণ ধারণ করে
-এই পানি ঠান্ডা হলে চুল শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।নিমের পানি কন্ডিশনারের মত কাজ করবে।
-সপ্তাহে ২-৩বার ব্যবহার করুন যতদিন না খুশকি দূর হয়।

২। ওজন কমাতে
যদি আপনি ওজন কমাতে চান বিশেষ করে পেটের তাহলে নিমের ফুলের জুস খেতে হবে আপনাকে। নিম ফুল মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে শরীরের চর্বি ভাংতে সাহায্য করে।
-একমুঠো নিম ফুল চূর্ণ করে নিন
-এর সাথে এক চামুচ মধু এবং আধা চামুচ লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশান।
-প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণটি পান করুন।

৩। রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে
নিম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চমৎকার ভাবে কাজ করে। নিমের পাতা রক্তের সুগার লেভেল কমতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্ত নালীকে প্রসারিত করে রক্ত সংবহন উন্নত করে। ভালো ফল পেতে নিমের কচি পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন।

৪। ছত্রাকের ইনফেকশন দূর করতে
যদি আপনার পায়ে কোন ফাঙ্গাল ইনফেকশন থাকে নিম ব্যবহার করুন। নিমে নিম্বিডল এবং জেডুনিন আছে যা ফাঙ্গাস ধ্বংস করতে পারে। নিম পাতার পেস্ট বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগালে নিরাময় লাভ করা যায়। আক্রান্ত স্থানে কয়েক ফোঁটা নিমের তেল দিনে তিনবার লাগালেও ভালো ফল পাওয়া যায়।

৬। ত্বকের সমস্যা দূর করতে
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন– ব্রণ, র‍্যাশ, এক্সিমা ও সোরিয়াসিস এর সমস্যা দূর করতে পারে নিম।

৭। উকুনের চিকিৎসায়
নিমের ব্যাবহারে উকুনের সমস্যা দূর হয়। নিমের পেস্ট তৈরি করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন, তারপর মাথা শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন এবং উকুনের চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়ান।সপ্তাহে ২-৩ বার এটা করুন। ২ মাস এভাবে করুন। উকুন দূর হবে।
এরকম আরো নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে যেমন- মুখের অতিরিক্ত তেল দূর করে,ব্রণ ও ব্ল্যাক হেডস দূর করে,মাড়ি ও দাঁতের রোগ দূর করে, হেপাটাইটিসের নিরাময়কে ত্বরান্বিত করে,মশার কামড় থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের চিকিৎসায় নিম কার্যকরী ভুমিকা রাখে।
 
Blogger Templates